ইংল্যান্ডের সাথে টি টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নামে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অসাধারণ জয় পেয়ে ১-০ তে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নিয়েই আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ।
মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে আজকেও প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ওপেনিংয়ে মাঠে আসে ফিলিপ সল্ট ও দাউদ মালান। তবে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা।
৮ বলে ৫ রান করে তাসকিনের বলে হাসান মাহমুদের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে মালান। আরেক ওপেনার সল্টকেও স্থায়ী হতে দেয়নি সাকিব আল হাসান। ৭ম ওভারে ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে সাকিবের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে সল্ট। এর পরের ওভারেই জস বাটলারকেও তুলে নেয় হাসান মাহমুদ।
৬ বলে ৪ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয় বাটলার। নবম ওভারে ১৭ বলে ১৫ রান করা মঈন আলীকে মিরাজ ফেরালে মাত্র ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
এরপর বেশ কিছুক্ষণের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট ও স্যাম কারেন দলকে টানতে শুরু করে। তাদের জুটি ভাঙে মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৫তম ওভারে ১৬ বলে ১২ রান করা কারেনকে সাজঘরে ফেরায় মিরাজ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। একই ওভারে ক্রিস ওয়াকসকেও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরায় মিরাজ। ১০ বলে ৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হয় ক্রিস জর্ডান। শেষ ওভারের প্রথম বলে ২৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে ডাকেট। একই ওভারের চতুর্থ বলে ২ বলে ১ রান করা রেহান আহমেদকে রান আউট করে লিটন দাস। শেষ বলে শূন্য রানে জফরা আর্চারও রান আউটের শিকার হয়।
এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৭ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ টি উইকেট শিকার করে মেহেদী হাসান মিরাজ।
১১৮ রানের ছোট লক্ষ্যে তাড়া করতে বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিংয়ে নামে লিটন দাস ও রনি তালুকদার। বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। ৯ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে তৃতীয় ওভারে আউট হয় লিটন দাস। এরপর রনিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৪ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে রনি তালুকদার।
এরপর ক্রিজে আসে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তারা দুজনে আস্তে ধীরে দলকে টানতে শুরু করে। তবে হৃদয়কে তুলে নেয় রেহান আহমেদ। ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে হৃদয়।
চতুর্থ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও শান্ত বেশ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যায় দলকে। তাদের অসাধারণ জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে মিরাজকে তুলে নেয় আর্চার। ১৬ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর শূন্য রানে সাকিবকে ফেরায় মঈন আলী।
পরের ওভারেই মাত্র ২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেয় আফিফ হোসেন। এতে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। অবশেষে তাসকিন নেমে ক্রিস জর্ডানের বলে পরপর দুই চার হাঁকিয়ে জয় এনে দেয় দলকে। এতে ৭ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিল তাসকিন এবং ৪৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড – ১১৭/১০ (২০)
বেন ডাকেট ২৮ (২৮)
ফিলিপ সল্ট ২৫ (১৯)
মঈন আলী ১৫ (১৭)
মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ – ১২ – ৪
হাসান মাহমুদ ১ – ১৩ – ৩
বাংলাদেশ – ১২০/৬ (১৮.৫)
নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৬ (৪৭)
মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ (১৬)
তৌহিদ হৃদয় ১৭ (১৮)
জফরা আর্চার ৩ – ১৩ – ৪
রপহান আহমেদ ১ – ১১ – ২
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ।