পানিশূন্যতা দূর করার উপায়

এই গরমে পানিশূন্যতা দূর করার উপায় জেনে নিন!

পানিশূন্যতা দূর করার উপায় – গরমের কারণে শরীর বেশি বেশি ঘামতে থাকে। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। অতিরিক্ত এই পানি হারিয়ে ফেলায় শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য৷ শরীরের এই পানি স্বল্পতা বা পানিশূন্যতাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডিহাইড্রেশন বলা হয়। এছাড়াও ব্যায়াম, রোগ বা পরিবেশগত কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে। 

শক্তিবর্ধক (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!

অধিকাংশ মানবদেহে পানিশূন্যতা ৩-৪ ভাগ পর্যন্ত সহ্য করতে পারে। ৫-৮ শতাংশ হ্রাস পেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং মাথা ঘোরানো শুরু হয়। এবং পানির পরিমাণ ১০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। এমনকি মৃত্যু ঘটে থাকে।

তাই পানিশূন্যতার লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ অতি জরুরী। এজন্য পানিশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। শুরুতেই জেনে নেয়া যাক পানিশূন্যতার লক্ষণ সম্পর্কে। 

পানিশূন্যতার লক্ষণ

শরীরের পর্যাপ্ত পানির ঘাটতি দেখা দিলে পানিশূন্যতার বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। এবং পানিশূন্যতার এই লক্ষণগুলো পানি হ্রাসের সাথে ক্রমশ তীব্র হতে থাকে। পানিশূন্যতার বেশ কিছু পরিচিত লক্ষণগুলো হলোঃ

১. মাথা ব্যথা 

২. কোষ্ঠকাঠিন্য 

৩. প্রসাবের রঙের পরিবর্তন 

৪. অবসন্ন ভাব

৫. মুখের দুর্গন্ধ 

৬. মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং পিপাসা লাগা

৭. চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া 

৮. পেশিতে টান ধরা এবং চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি 

উপরোক্ত লক্ষণগুলো  প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এবং শরীরে পানির চাহিদা পুনরায় পূরণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাই আসুন এখন জেনে নেয়া যাক পানিশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে।

>> সকালে খালি পেটে গরম জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন!

পানিশূন্যতা হলে করণীয় – পানিশূন্যতা দূর করার উপায়

পানিশূন্যতা দূর করার উপায়

প্রচন্ড ঘামের কারণে যদি হঠাৎ শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে তবে এক্ষেত্রে লবণ-পানি পান করতে হবে। এবং খাবার স্যালাইনও পান করা যেতে পারে। আবার এক বোতল বিশুদ্ধ পানিতে এক চিমটি লবণ এবং দুই ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন।

শরীরে পানিশূন্যতার কারণে কেউ যদি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তবে তাকে সাথে সাথে শুইয়ে দিতে হবে এবং জ্ঞান ফিরে এলে পানি এবং লবণ পানি পান করাতে হবে। প্রাথমিক এই চিকিৎসা গ্রহণের পরেও যদি অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যেতে হবে।

প্রতিরোধঃ 

১. দিনে অন্তত ২-২.৫ লিটার পানি পান করতে হবে।

২. বাইরে বের হলে অবশ্যই পানির বোতল সাথে রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

৩. যদি তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে কাজকর্ম এবং ব্যায়ামের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।

৪. বাইরে বের হলে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।

৫. বেশি গরমে শরীরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা নেয়া যেতে পারে। 

৬. গরমের সময় সকলের বেশি বেশি মৌসুমী ফল খেতে হবে।

>> স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সেরা ১৮ টিপস!

শেষ কথা:

পানির অপর নাম জীবন। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পানির পরিমাণ নিশ্চিত রাখতে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিদিন  পর্যাপ্ত পানি পান করায় একমাত্র পানিশূন্যতা দূর করার উপায়। আমাদের সচেতনতায় আমাদের পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top