ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। গতকালের ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ ঠেকাতে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা তাইজুলের বলে বোল্ড আউট হন ব্রেন্ডন কিং। মাত্র ৮ রান ঝুলি
য়ে নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় এই ডানহাতি ব্যাটারের। তার দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট শিকার করে তাইজুল। স্ট্যাম্পিংয়ে আউট হন শাই হোপ। মাত্র ২ রান নিয়েই ফিরতে হয় তাকে।
তার পরের ওভারেই বলে এসে একটি উইকেট তুলো নেয় মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাট দ্বারা বল আঘাত করতে ব্যর্থ হলে পায়ে বল লাগে শামাহ ব্রকসের। এতে এলবিডব্লিউ দেয় আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেয় ব্রুকস।রিভিউতে দেখা যায় মিডল স্ট্যাম্পের উপরে আঘাত হানে বল। এতে মাত্র ৪ রানে ফিরতে হয় ব্রুকসকে।
মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের এগিয়ে নিতে দারুণ জুটি শুরু করেন নিকোলাস পুরান ও কেচি কার্টি। নাসুমের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন কার্টি।
এতে ভেঙে যায় তাদের অসাধারণ জুটি। তার আউটের ফলে ভেঙে যায় ৬৭ রানের জুটি যার মধ্যে কার্টির সংগ্রহ ছিল ৩৩ রান। কার্টির পরে রভম্যান পাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন পুরান। কিন্তু রভম্যানও খুব বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি। মাত্র ১৮ রানে রভম্যানকেও সাজঘরে ফেরায় তাইজুল।
অপর প্রান্ত থেকে তেমন সাপোর্ট না পেলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় পুরান। হাফ সেঞ্চুরি তুলতে তার খেলতে হয় ৯৩ টি বল। তার ইনিংসটি ধীর হলেও একমাত্র পুরানই টিকে খেলতে পেরেছে।
তাইজুলের বলে স্ট্যাম্পিং হয়েছে কিপো পল। মোসাদ্দেক হোসেন বোল্ড আউট করেছেন আকিল হোসাইনকে। নিজের শেষ ওভারে এসে পুরানকেও তুলে নেয় তাইজুল। ৭৩ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে পুরান।
পুরানকে তুলে নিয়ে ৫ টি উইকেট শিকার করে তাইজুল। এটা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। শেষ দুটি উইকেট নেয় মুস্তাফিজ ও নাসুম। ৪৮.৪ বলে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮ রান।
ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭৯ রানের ট লক্ষ্য তাড়া করতে নামে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে মোটামুটি রান আসলেও সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তাও মাত্র ১ রানে আউট হয় শান্ত। এরপর লিটন দাসকে সাথে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তামিম ইকবাল।
আকিল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন লিটন দাস।কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সেই যাত্রায়। লিটন দাস বেঁচে গেলেও পরের ওভারেই ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরে তামিম। তামিম বিদায়ের পর একাই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় লিটন দাস।
হাফ সেঞ্চুরি করতে মোকাবিলা করে ৬২ বলের। তবে হাফ সেঞ্চুরির পরেই সাজঘরে ফিরে লিটন। লিটনকে শিকার করেন মোতি। তার এক বল পরেই তুলে নেয় আফিফ হোসেনকেও। ১৪ রান করে সিলসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মোতির চতুর্থ শিকার হয় মোসাদ্দেক হোসেন।
এরপর নুরুল হাসান সোহান আর রিয়াদ মিলে দলকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। তবে জয়ের আগমুহূর্তে আউট হয়ে যান রিয়াদ। স্ট্যাম্পিং হয়ে ২৬ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেন রিয়াদ।
শেষ পর্যন্ত জয় এনে দেয় সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সোহান ও মিরাজ যথাক্রমে ৩২ ও ১৬ রান করে অপরাজিত ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছে মোতি। ৩২ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট তুলে নিয়েছে মোতি।
এই জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। টি টুয়েন্টি ও টেস্টের ব্যর্থতার পরে ওয়ানডেতে ফিরতে পেরেছে বাংলাদেশ।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৭৮/১০ (৪৮.৪)
পুরান ৭৩
কার্টি ৩৩
পাওয়েল ১৮
তাইজুল ৫/২৮
মুস্তাফিজ ২/২৪
বাংলাদেশ – ১৭৯/৬ (৪৮.৪)
লিটন ৫০
তামিম ৩৪
নুরুল ৩২
রিয়াদ ২৬
মোতি ৪/২৩
ফলাফল – বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।