কফির উপকারিতা

কফির ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ জেনে নিন!

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা – কফিপ্রিয় মানুষমাত্রই কফির উপকারিতা ভালো জানেন। যদিও বলা হয়, কফি শরীরের ক্ষতি করে, তবে এর উপকারিতা অপকারিতার চেয়ে ঢের বেশি। 

জেনে নিন কফির ৭টি উপকারিতা

অলসতা দূর করতে অনেকেই কফি খেয়ে থাকেন। তাছাড়াও এর আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে। নীচে কফির উপকারিতাগুলি ক্রমান্বয়ে তুলে ধরা হলো। 

১. মানসিক শক্তি বৃদ্ধি

এক গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে ২০০ গ্রাম কফি গেলে তা মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এবং কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক। এভাবে কফি পানকারী মানুষেরা মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকেন। 

২. শারিরীক সক্ষমতা 

ক্যাফেইন শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তের এপিনেফ্রিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এভাবে এটি আপনার শরীরকে তীব্র শারীরিক পরিশ্রমের জন্য তৈরি করে। 

৩. ক্লান্তি দূর করে

কফি পান করলে আপনার শরীরে ক্যাফিন প্রবাহিত হয়। এটি শরীরের ডোপামিন নিঃর্গত করে এবং নিমিষেই ক্লান্তি দূর হয়।

অরিজিনাল কফি মেকার কিনুন বিডিশপ থেকে…

এছাড়াও কফি মস্তিষ্কের অন্যান্য ক্রিয়া যেমন মেমোরি, মেজাজ, প্রতিক্রিয়ার সময়, এবং সাধারণ মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। 

৪. ফ্যাট কমায়

ক্যাফেইন ফ্যাট কমানোর জন্য পরিচিত। এটি বিপাকীয় হার ১০% বাড়িয়ে তুলে। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, কফি স্থুলকায় মানুষের ১০% এবং হতাশাগ্রস্ত মানুষের ২৯% হারে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। 

৫. টাইপ-২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায় 

টাইপ-২ ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি কফি পান করেন তবে তাদের ২৩ থেকে ৫০% পর্যন্ত ডায়বেটিস কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যাফেইন শরীরের শর্করার উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়। 

৬. লিভারের ঝুঁকি কমায় 

লিভারের বিভিন্ন রোগ যেমন হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার ডিজিস, ও সিরোসিস ইত্যাদি মোকাবিলায় কফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কফি পান করলে লিভারের রোগ প্রতিরোধ করা যায়। 

৭. হতাশা দূর করে

২০১১ সালের হাভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মহিলারা দিনে অন্তত ৪ বার কফি পান করেন তাদের হতাশার পরিমাণ অন্যান্য মানুষের চেয়ে ২০% কম। হতাশা দূর করার দারুণ এক ক্ষমতা রয়েছে কফির। 

ভিডিওঃ চা খেলে যে ৫টি ক্ষতি হতে পারে।

কফির অপকারিতা

কফির উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। বিশেষ করে যখন মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করা হয়, তখন এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি চোখে পড়ে। 

হৃদপিণ্ডের জন্য অনুপযোগী

গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে অতিরিক্ত ক্যাফেইন হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচল ধীর করে দেয়। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং বুক ধরফরানির জন্য দায়ী। 

ঘুমের ব্যাঘাত 

দিনে ৩ বারের বেশি কফি পান করলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও সন্ধ্যার পর কফি পান করলে রাতের ঘুমে সমস্যা হয়। 

মাথাব্যথা 

অতিরিক্ত কফি পান নিয়মিত মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়াও এটি মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে৷

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

পার্শপ্রতিক্রিয়াগুলি ব্যক্তিভেদে ক্ষেত্রবিশেষে দেখা দেয়। 

  • খালি পেটে কফি পান করলে হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি হয়। এটি হজমে সমস্যা করতে পারে৷ 
  • ক্যাফেইন ও কফিতে বিদ্যমান অন্যান্য উপাদান অনেকসময় পাকস্থলীর গায়ে আলসার ও অন্যান্য ক্ষতের সৃষ্টি করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

পরিশেষ 

পরিশেষে জানা যায়, কফির উপকারিতা অনেক৷ তবে মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করলে হীতে বিপরীত হতে পারে। তাই, পরিমাণমতো কফি পান করুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top