গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন কি?

গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা – গেজ বা এনাল ফিসার অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং অস্বস্তিকর একটি পায়ুপথের রোগ। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের কিছু ঔষধের মাধ্যমে ডাক্তারেরা চিকিৎসা করে থাকেন। তবে সমস্যা পুরাতন হলে ঔষধে কাজ হয় না, অপারেশনের প্রয়োজন হয়।

অর্শ-গেজ-পাইলস রোগের লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন!

তবে গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু বিরক্তিকর এই রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য এর সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন।

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!

কারণ

কোষ্ঠকাঠিন্যকেই গেজ রোগের জন্য প্রধানত দ্বায়ী করা হয়। পায়খানা করার সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়া বা কোঁত দেওয়া বা শক্ত মল বের হওয়ার সময় পায়ুপথ ফেটে গেলে বা ঘা হলে এই রোগ হয়। এছাড়াও ডায়রিয়া, হাইপোথাইরয়ডিজম, স্থুলতা, টিউমার ইত্যাদির কারণেও গেজ রোগ হতে পারে।

অর্শ নিরাময়কারক (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে! 

লক্ষণ

গেজ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হল পায়ুপথে ব্যথা হওয়া। মলত্যাগের পরে ব্যথা শুরু হয় এবং কখনও তীব্র, কখনও কেটে যাওয়ার মতো আবার কখনও পিন দিয়ে খোচা দেওয়ার মতো ব্যথা হয়। এছাড়া পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, ব্যথার সাথে রক্ত যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তবে গেজ রোগে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয় না, মলের সাথে সামান্য রক্ত লেগে থাকতে পারে। 

গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে গেজ রোগের ফলে সৃষ্ট ব্যথা বা জ্বালা-যন্ত্রণা কমানো এবং নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায়। যেমন-

সিজ বাথ (Sitz Bath):

সিজ বাথ হলো গরম পানিতে পায়ুপথ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা ভিজিয়ে রাখা। একটি বড় বোলে হালকা গরম পানি নিয়ে এতে কিছুটা লবণ যুক্ত করে নিন। এরপর এতে নিতম্ব ডুবিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য বসে থাকুন। এর মাধ্যমে ব্যথা, জ্বালাপোড়া চুলকানি থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন। গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে এটি অন্যতম।

আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া:

যথাযথ পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার মলকে খুব কঠিন (কোষ্ঠকাঠিন্য) বা খুব তরল (ডায়রিয়া) হতে দেয় না। নরম মল গেজ আক্রান্ত স্থানে আঘাতজনিত সমস্যা কম করে, যে কারণে সমস্যা বৃদ্ধি পায় না।

কিছু আাঁশযুক্ত খাবার যেমন- মটরশুটি, ছোলা, মুগডাল, সয়াবিন, কুমড়ো বীজ, ফল (বেল, পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল, কামরাঙ্গা, পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, আপেল ইত্যাদি), শাক (কলমি শাক, মিষ্টি আলুর শাক, পুঁই শাক, মুলা শাক, লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার শাক, ডাটা শাক ইত্যাদি), সবজি (বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, শিম, পটল, কটু, বরবটি, কলার মোচা, সজনে ইত্যাদি) খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন।

বেশি পরিমান পানি পান করুন:

পানিশূন্যতা কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে অবদান রাখে যা গেজ রোগে আক্রান্ত রোগীদের কষ্ট বড়িয়ে তোলে। প্রয়োজনীয় পরিমান পানি পান করলে মল নরম ও স্বাভাবিক থাকে। তাই নিয়মিতভাবে প্রচুর পানি পান করুন।

পায়ুপথ এবং পার্শ্বপর্তী ত্বকের যত্ন:

প্রতিদিন গোসলের সময় বা পায়খানার পরে নিয়মিত পায়ুপথ এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ত্বকের যত্ন নিন। এর মাধ্যমে জীবানু বা ফাংগাস আক্রমণের মাধ্যমে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

মল নরমকারী ঔষধ:

কিছু ঔষধ আছে যেগুলো মলকে নরম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার মল শক্ত হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় মাত্রায় মল নরম করার ঔষধ খেতে পারেন।

>> পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন!

শেষ কথা

আমাদের দেশের অনেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত, যেটা অনেকেই প্রকাশ করতে লজ্জ্বা পায়। গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে আপনি কষ্ট থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে পারেন। পাশাপাশি এটি সমস্যা নিরাময়ের প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করবে।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top