চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা : আমাদের দেহ প্রতিনিয়তই নানা ধরনের রোগব্যাধির শিকার হয়। শরীরের অযত্ন কিংবা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম গেলে দেহে রোগসংক্রমণ হয়। ঠিক তেমনিভাবে ত্বকের অযত্ন করলে বিভিন্ন রকমের চর্ম রোগ দেখা যায়।
আজকে আমরা চর্মরোগ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সাথেই থাকুন এবং জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য।
Table of Contents
চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
চর্ম রোগ কি?
ত্বক বা চামড়া মানব দেহের সুরক্ষাকবচ। ত্বকে অস্বস্তি সৃষ্টিকারী যেকোন উপাদান থেকে ফোলাভাব, চুলকানি কিংবা দেখা দিলে তাকে চর্ম রোগ বলে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা প্রভাবিত হয়।
ভয়াবহ ৪টি চর্মরোগের কারণ ও প্রতিকার
চর্ম রোগ কম-বেশি সবারই হয়ে থাকে। গরমকালে এই জাতীয় রোগ বেশি দেখা দেয়৷ এছাড়াও অপরিষ্কার ও ত্বকের অযত্ন চর্মরোগের অন্যতম একটি কারণ৷ তবে রোগের কারণ ও প্রতিকার জানা থাকলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এলার্জি জাতীয় খাবার – এই ৪ টি খাবার দূরে রাখুন!
চলুন দেখে নেওয়া যাক ভয়াবহ চারটি চর্মরোগ এর কারণ ও প্রতিকার।
যেকোনো সময় শরীরের যেকোনো স্থান ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়াকে দাদ বলে৷ এটি একটি ছোয়াঁচে রোগ৷ যে স্থানে এই রোগ হয় সেইখানে অতিরিক্ত চুলকানি দেখা দেয়।
কারণ
কেউ যদি সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখে সেক্ষেত্রে এই রোগ দেখা দেয়।
একাধিক মানুষের পোশাক ব্যবহার এর ফলে এই রোগ হয়ে থাকে।
ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে স্থানে বসবাস করলে এই রোগ দেখা দেয়।
প্রতিকার
যেকোনো ক্ষতস্থানে যেনও ব্যাকটেরিয়া না জমে সেইদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
কারো ব্যবহৃত রুমাল বা কাপর এড়িয়ে ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিনিয়ত উষ্ণ গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে।
একজিমা
ত্বকের যেকোনো স্থানে প্রদাহের সৃষ্টি হওয়াকে একজিমা বলে। অতিরিক্ত গরম এর ফলে এই রোগ বেশি দেখা দেয়।
শসার রস ত্বকে ব্যবহার এর ফলে এইসব রোগ আক্রান্ত সম্ভবনা অনেকংশে কমে যায়।
এই রোগে অাক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
চর্মরোগ প্রতিরোধে যেসব খাবার খেতে পারেন
পুষ্টিকর খাবার আমাদের যেকোনো রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। দেহে চর্বি ও স্নেহ এর পরিমাণ কমে গেলে এবং পুষ্টিকর খাবার এর অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন সময় চর্ম রোগ দেখা দেয়।
চলুন দেখে নেওয়া যাক চর্মরোগ প্রতিরোধে কী কী খাবার খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম ও শস্যজাতীয় খাবার
বাদাম থেকে ফ্যাট এবং ক্যালোরি পাওয়া যায়। এছাড়া আরও নানা ধরনের উপাদান যেমন- প্রোটিন, ভিটামিন, ফসফরাস ইত্যাদি যা দেহের জন্য অনেক উপকারি। বাদামে ফ্যাট থাকায় ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে। ঘরোয়া ৯টি উপায়ে এলার্জি দূর করার উপায় জানুন!
ফলমূল
প্রতিটি ফলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়মিত ফল খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মাছে আছে প্রোটিন এবং ফ্যাট যা ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মাছ খেলে হৃদরোগ ও রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মাছ দেহের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। এছাড়াও প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। আর এসব পুষ্টি উপাদান হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ত্বকের বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
চর্মরোগ থেকে দূরে থাকার প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
আমাদের দেহের চামড়া অনেক স্পর্শকাতর, তাই রোগজীবাণুতে সহজেই আক্রান্ত হয়। তাই চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।
সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে এইসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন ও নিয়মিত গোসল করুন।
সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে দূরে থাকুন।
অন্যের পোশাক ও রুমাল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করুন।
চর্মরোগ এ আক্রান্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
একজন মানুষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা খুব জরুরি। তা না হলে চর্ম রোগ সহ নানা ধরণের রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে। শরীরে যেকোনো ধরনের চর্ম রোগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসক এর পরার্মশ নিন। এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের মাধ্যমে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
