দিনের প্রথম ম্যাচে দুপুর ১টায় দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে মাঠে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তানজিদ হাসান তামিমের ঝুঁকি এড়ানো ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম।
দিনের অপর হাই স্কোরিং ম্যাচে ১৮৮ রানের টার্গেট দিয়েও খুলনা টাইগার্সের কাছে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে ফরচুন বরিশালের।
ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে ঢাকার বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় চট্টগ্রামের
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকা শুরুতেই হোঁচট খায়। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভার শেষে মাত্র ২৫ রান করে ২ উইকেট হারিয়ে বসে রাজধানীর দলটি।
৮ম ওভারে একসাথে ঢাকার দুই উইকেটের পতন ঘটলে ব্যাটিং বিপাকে পড়ে দল। দলের হয়ে হাল ধরেন তরুণ ব্যাটার ইরফান শুক্কুর এবং শ্রীলঙ্কান লাসিথ ক্রসপুল্লে।
৪৬ রান করে লাসিথ ক্রসপুল্লে সাজ ঘরে ফিরলে দুইজনের ৭৩ রানের জুটি ভাঙে। ইরফান শুক্কুরের ২৭ এবং তাসকিন আহমেদের ১৫ রানের ইনিংসে সবশেষে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।
১৩৭ রানের ছোট টার্গেট তাড়া করতে নামা চট্টগ্রামের দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ঢাকার হয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন পেসার শরিফুল ইসলাম।
দ্রুত উইকেট হারানো চট্টগ্রামের হয়ে ব্যাটিং সামাল দেন দুই তরুণ ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। ২২ রান করে দিপু প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
এরপর, তানজিদ হাসান তামিম ৪৯ রান করে তাসকিনের শিকার হলে আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরান তিন ছক্কায় চট্টগ্রামের হয়ে ম্যাচ জেতান।
৪০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলা চ্যালেঞ্জার্স ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম হন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ।
দুর্দান্ত ঢাকা – ১৩৬/০৮ (২০ ওভার)
লাসিথ ক্রসপুল্লে – ৪৬ (৩১)
আল আমিন হোসেন – ২/১৫ (৪ ওভার)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৩৭/০৪ (১৮.২ ওভার)
তানজিদ হাসান তামিম – ৪৯ (৪০)
শরিফুল ইসলাম – ২/৪০ (৩.২ ওভার)
মিরপুরে রান পাহাড় গড়েও বরিশালের হারে টানা দ্বিতীয় জয় খুলনার
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টসে জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটিতে ভালো শুরুর দেখা পেলেও দ্রুতই ফিরেন ইব্রাহিম। ইব্রাহিমের মতোই তামিমকে নিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিলেও রানআউটে কাঁটা পড়েন সৌম্য।
এরপর, মুশফিককে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে আর তেমন বেগ পেতে হয়নি তামিমের। তামিম ১০ রানে নিজের হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও ঠিকই নিজের অর্ধ শতক পূরণ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
তার অপরাজিত ৬৮ ও মাহমুদউল্লাহর ২৭ রানে মিরপুরের মতো পিচে ১৮৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশালের দলটি।
১৮৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারকুটে শুরু করেন অধিনায়ক এনামুল হক ও এভিন লুইস। দুইজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উইকেট নিতে রীতিমতো ব্যর্থ হয় বরিশালের বোলাররা।
নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পর শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানের জুটি ভেঙে ফেরেন লুইস। সঙ্গী এভিন লুইস ফিরলে তারই দেখানো পথে অর্ধ শতক তুলে নেন বিজয়।
খুব দ্রুত রানের চাকা ঘুরতে থাকা খুলনা টাইগার্সের হয়ে ৩-এ ব্যাটিং করতে আসেন আফিফ হোসেন। দুই ওপেনারদের মতো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মিতভাবে রানের দেখা পেতে থাকেন তিনিও।
জয় থেকে কিছু দূরে আফিফ ৪১ রানে মোহাম্মদ ইমরানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলেও শাই হোপকে সাথে নিয়ে দলের হয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে ভুল করেননি এনামুল হক।
৪৪ বলের বিপরীতে ৬৩ রান সংগ্রহ করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন খুলনার জয়ের অন্যতম নায়ক দলের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
ফরচুন বরিশাল – ১৮৭/০৪ (২০ ওভার)
মুশফিকুর রহিম – ৬৮* (৩৯)
ওশান থমাস – ১/৩৮ (৪ ওভার)
খুলনা টাইগার্স – ১৮৮/০২ (১৮ ওভার)
এনামুল হক বিজয় – ৬৩* (৪৪)
মোহাম্মদ ইমরান – ২/৩৫ (৩ ওভার)
- Get Spiritual Quotes daily