জয় দিয়েই টি টুয়েন্টি সিরিজ শুরু

জয় দিয়েই টি টুয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা! 

বাংলাদেশ সফরে এসে ২ – ১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। আজ শুরু হয়েছে টি টুয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দেখা গিয়েছে অনেক নতুন মুখ। দলে সুযোগ পেয়েছে তৌহিদ হৃদয়, রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, নাসুম আহমেদ। 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ওপেনিংয়ে মাঠে নামে ফিলিপ সল্ট ও জস বাটলার। শুরুটা ভালোই করে ইংল্যান্ড।

প্রথম থেকেই দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে ইংলিশরা। অবশেষে ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙতে সক্ষম হয় নাসুম আহমেদ। দশম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৩৫ বলে ৩৮ রান করা ফিলিপকে সাজঘরে ফেরায় নাসুম আহমেদ। 

এরপর বাটলারকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসে দাউদ মালান। তবে তাকেও দ্রুতই সাজঘরে ফেরায় সাকিব আল হাসান। এরপর মাঠে আসে বেন ডাকেট। ডাকেট এসেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে। ১৩ বলে ২০ রান করা বাকেটকে বোল্ড করে মুস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে পুরোদমে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল জস বাটলার।

হাফ সেঞ্চুরির পরে আরও দ্রুত রান এগোতে শুরু বাটলার। অবশেষে বাটলারকে থামাতে সক্ষম হয় হাসান মাহমুদ। ৪২ বলে ৬৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে হাসান মাহমুদের বলে শান্তর হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে বাটলার। 

বাটলার আউট হলে ধীর হয়ে যায় রানের গতি। মঈন আলী নেমে সেরকম সুবিধা করতে পারেনি। স্যাম কুরান নেমে ১১ বলে ৬ রান করে আউট হয়। ক্রিস ওয়াকস শেষ ওভারে ২ বলে ১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে। 

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬ রান। ৭ বলে ৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল মঈন আলী। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করে হাসান মাহমুদ। 

১৫৭ রানের লক্ষ্যে নিয়ে ওপেনিংয়ে মাঠে নামে লিটন দাস ও রনি তালুকদার। প্রথম থেকে আগ্রসী ব্যাটিং শুরু করে রনি। তবে তার ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আদিল হোসেনের বলে বোল্ড হয় রনি। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার লিটন দাসকেও তুলে নেয় জফরা আর্চার। ১০ বলে ১২ রান করে ফিরে লিটন দাস।

তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তাদের অসাধারণ পার্টনারশিপে দ্রুত রান এগোতে থাকে বাংলাদেশের। তাদের ঝড়ো ব্যাটিং কোনভাবেই থামাতে পারছিল না ইংলিশ বোলাররা।

অবশেষে তাদের জুটি ভাঙে মঈন আলী। ১৭ বলে ২৪ রানোর ইনিংস খেলে মঈন আলীর বলে স্যাম কুরানের হাতবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে হৃদয়। হৃদয় ফেরার পরে শান্তর ইনিংসও টিকেনি। পরের ওভারেই ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে মার্ক উডের বলে বোল্ড হয় শান্ত। 

এরপর সাকিব আর আফিফ নেমে জয় পর্যন্ত নিয়ে যায় দলকে। আফিফ তো সাকিবের জুটিকে কোনভাবেই পরাজিত করতে পারেনি ইংলিশরা। তাদের অসাধারণ জুটিতে ২ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

এতে ১২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিল আফিফ এবং ২৪ বলে ৩৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল সাকিব। ইংল্যান্ডের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করে আর্চার, রশিদ, উড ও মঈন আলী। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ইংল্যান্ড – ১৫৬/৬ (২০) 

জস বাটলার ৬৭ (৪২)

ফিল সল্ট ৩৮ (৩৫)

বেন ডাকেট ২০ (১৩হাসান মাহমুদ ২ – ২৬ – ৪

সাকিব আল হাসান ১ – ২৬ – ৪

বাংলাদেশ – ১৫৮/৪ (১৮)

নাজমুল হোসেন শান্ত ৫১ (৩০) 

সাকিব আল হাসান ৩৪ (২৪)

তৌহিদ হৃদয় ২৪ (১৭)

মার্ক উড ১ – ২৪ – ২

আদিল রশিদ ১ – ২৫ – ৩

ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top