গ্রুপ-ডি এর প্রথম ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৭:০০ টায় খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামে এশিয়ার পরাশক্তি জাপান।
গ্রুপ-ডি এর ফেভারিট দল হিসেবেই জাপানের বিপক্ষে খেলতে নামে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এর আগে বিশ্বকাপে কখনোই জার্মানির সাথে দেখা হয়নি জাপানের। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জাপানের সাথে দুইবারের দেখায় একবার জয় এবং একবার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডাই ম্যানশাফ্টরা।
ফলে, প্রথমবারের মতো জার্মানিকে হারানোর সংকল্প নিয়ে খেলতে নামে ব্লু সামিরাইরা। ৪-৪-২ ফরম্যাশনে খেলতে নামে জাপান। অপরদিকে, ৪-২-৩-১ ফরম্যাশন নিয়ে দল সাজান জার্মান কোচ ফ্লিক।
ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই বলের উপর দখল নিয়ে একের পর এক অ্যাটাক করতে থাকে জার্মানরা। কিন্তু, জাপানের জালে বল জড়াতে পারেনি হ্যান্সি ফ্লিকের অনুসারীরা। ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় জার্মানি পেনাল্টি পেলেও ভিএআরে বাতিল হয় সেই পেনাল্টি।
ম্যাচের বয়স যখন ৩১ মিনিট তখন জার্মান খেলোয়াড় ডেভিড রাউম ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি উপহার পায় ডাই ম্যানশাফ্টরা। সেই পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে ১-০ গোলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ইকাই গুন্ডোগান। এরপর, কোনো দলই আর গোলের দেখা না পেলে ০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে জাপান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আবারও বলের উপর পজেশন নিয়ে খেলতে থাকে জার্মানি। কয়েকটা ভালো সু্যোগ সৃষ্টি করে তারা। কিন্তু, জাপান গোলরক্ষক শুইছি গোন্ডার দারুণ কিছু সেভের কারণে ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারেনি হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। অপরদিকে, জাপানও ধীরে ধীরে আক্রমণ বাড়াতে থাকে।
ফলে, ম্যাচের ৭৫ মিনিটে গোল করে জাপানকে ১-১ গোলের সমতায় আনেন এও তানাকার বদলি হিসেবে রিতসু দোয়ান। ব্লু সামুরাইদের প্রথম গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ৮ মিনিট পর আবারও জার্মান জালে বল জড়িয়ে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে নিয়ে আনন্দের মুহূর্ত এনে দেন তাকুমা আসানো।
এরপর, জার্মানি কয়েকটা সুযোগ হারালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে রেফারির বাঁশি বাজলে ২-১ গোলে প্রথমবারের মতো চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানদেরকে হারিয়ে বাঁধ ভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে জাপানের খেলোয়াড়রা এবং খেলা দেখতে আসা জাপানের দর্শকেরা।