প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে খারাপ ইনিংসের সূচনা করে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেটটি নেয় মোসাদ্দেক হোসেন। উইকেটের বাইরের বল মারতে গিয়ে কিপারের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে রেজিস। এরপর মাঠে নামে ওয়েসলি মাধেভেরে। গতম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো মাধেভেরে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হন। একটি বাউন্ডারির পরেই মাধেভেরেকেও মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরায় মোসাদ্দেক। রেজিসের মতো মাধেভেরেও উইকেটের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও উইকেট তুলে নেয় মোসাদ্দেক। অফের বল রিভার্স সুইপ খেলতে নিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪ বলে ১ রানের সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্রেইগ আরভিন।
তারপর শন উইলিয়ামসকে ৮ রানে এবং মিল্টন শুম্বাকে ৩ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে টি টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ পায় মোসাদ্দেক। পরের দুটি উইকেটও ক্যাচেই পেয়েছেন মোসাদ্দেক তারমধ্যে একটি ক্যাচ নিজের তালুবন্দি করেন।
এরপর দলের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় রাজা। তাদের পার্টনারশিপ থেকে ৬৫ বলে ৮০ রান যোগ হয় জিম্বাবুয়ের পক্ষে। এতে শতকের ঘর পার করে জিম্বাবুয়ে। শতক পার হওয়ার পরেই হাসানের বলে বোল্ড হয় রায়ান বার্ল। ৩১ বলে ৩২ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন বার্ল।
অপর পাশ থেকে তেমন সাপোর্ট না পেলেও দলকে একলাই টেনেছেন সিকান্দার রাজা। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজের প্রথম বলেই মুনিম শাহরিয়ারের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে রাজা। ৪ টি চার ও ২ টি ছক্কায় ৫৩ বলে ৬২ রান করে রাজা। শেষ ওভারে ৬ রান করে রান আউট হন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৫ রান। ৫ বলে ১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন লুক জংউই। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ টি উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক। এছাড়া হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেছেন একটি করে উইকেট।
মোটামুটি ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশর শুরুটা ভালোই হয়। তবে লিটন দাসকে খুব বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুনিম শাহরিয়ার। চতুর্থ ওভারে রিচার্ড এনগারাভার বলে ৭ রান নিয়ে বোল্ড হয় মুনিম। মুনিমের পরে মাঠে নামে এনামুল হক বিজয়। বিজয়ের সঙ্গ নিয়ে ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় লিটন দাস। তবে হাফ সেঞ্চুরির পরে বেশীক্ষণ টিকেনি লিটন। শন উইলিয়ামসের বলে এলবিডব্লিউ-এর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে লিটন। ফেরার সময় লিটনের সংগ্রহে ছিল ৩৩ বলে ৫৬ রান। লিটন ফেরার পরের ওভারেই সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে এনামুল হক বিজয়। ১৫ বলে ১৬ রানের সংগ্রহ নিয়ে সাজঘরে ফিরে বিজয়।
এরপর আর উইকেট ফেলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ উইকেটে আফিফ ও শান্তর ৫৫ রানের অসাধারণ জুটিতে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আফিফ ও শান্ত যথাক্রমে ২৮ বলে ২০ এবং ২১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিল। এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরে বাংলাদেশ।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে – ১৩৫/৮ (২০)
সিকান্দার রাজা ৬২ (৫৩)
রায়ান বার্ল ৩২ (৩১)
লুক জংউই ১১ (৫)
মোসাদ্দেক হোসেন ৫/২০
হাসান মাহমুদ ১/২৬
বাংলাদেশ – ১৩৬/৩ (১৭.৩)
লিটন দাস ৫৬ (৩৩)
আফিফ হোসেন ৩০ (২৮)
নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ (২১)
এনামুল হক বিজয় ১৬ (১৫)
শন উইলিয়ামস ১/১৩
ফলাফল – বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।