ওয়ানডেতে শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের বিপরীতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর এবার ৩ ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ব্ল্যাকক্যাপ্সদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠ নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টসে জিতে স্বাগতিকদের বোলিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পঞ্চপান্ডব ছাড়া তুলনামূলক তরুণ শক্তির একাদশ নিয়ে মাঠে নামা এই ম্যাচে টাইগারদের হয়ে টি টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, টিম সেইফার্ট, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপ্স, মার্ক চ্যাপমান, জেমস নিশাম, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি, ইশ সোডি, বেন সিয়ার্স।
টাইগারদের বোলিং তোপে ধরাশায়ী কিউই ব্যাটিং লাইনআপ! (1st innings of the match)
টি টোয়েন্টিতে নিজেদের মাঠে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের মুখ না দেখা নিউজিল্যান্ড আরও একবার জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে এদিন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেন ফিন অ্যালেন ও টিম সেইফার্ট। তবে, দুই ওপেনারই মাঠে স্থির হননি বেশিক্ষণ। ইনিংসের ১ম ওভারে টিম সেইফার্ট ও ২য় ওভারে ফিন অ্যালেন শিকার হন যথাক্রমে শেখ মাহেদী ও শরিফুল ইসলামের।
ফিন অ্যালেনের ফেরার পরের বলেই শরিফুলের কাছে কোনো রান না করে নিজেরও ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন গ্লেন ফিলিপ্স।
২ ওভার শেষ না হতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। ফলে, দলের হয়ে চাপ সামলানোর দায়িত্ব নেন মার্ক চ্যাপমান ও ড্যারিল মিচেল।
মাঝে মিচেল ১৪ রানে শেখ মাহেদীর ২য় শিকারে পরিণত হলে পরে সঙ্গী চ্যাপমানও থিতু হতে পারেননি বেশি সময়। চ্যাপমান রিশাদের কাছে পরাস্ত হন ১৯ রান করে।
ব্ল্যাকক্যাপ্সদের হয়ে শেষ ভরসা হিসেবে মাঠে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ও জেমস নিশাম। দুজনের যোগ করা ৪১ রানের পর স্যান্টনার ফিরেন ২৩ রানে।
হাফ সেঞ্চুরির ২ রান পূর্বে সাজ ঘরে যাওয়ার আগে জেমস নিশামের ৪৮ ও অ্যাডাম মিলনের ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের সামনে ১৩৪ রানের ডিফেন্ডিং সংগ্রহ দাঁড় করায় তাসমান পাড়ের দেশটি।
লিটন দাসের দূর্দান্ত ইনিংসে সহজ টার্গেট তাড়া করতে বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের! (2nd innings of the match)
ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। রনি তালুকদার ইনিংসের ২য় ওভারেই আউট হলে ওপেনারদের জুটি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি।
ক্রিসে রনির বদলি হিসেবে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও দলের জন্য ভালে কিছু করতে ব্যর্থ হন। ২ উইকেট হারিয়ে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন সৌম্য ও লিটন। সৌম্য ২২ রানে আউট হলেও লিটন তার খেলা চালিয়ে যান।
পরে, তাওহীদ হৃদয়ের ১৯ ও আফিফ হোসেনের ১ রানে আসা যাওয়ার মধ্যে দুজনের সংগ্রহ ছিল মোট ২০ রানের।
অপরপাশে, একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন কুমার দাস। শেষে শেখ মাহেদী হাসানকে সাথে দিয়ে দলকে নিউজিল্যান্ডের মাঠিতে প্রথমবারের মতো জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন।
বল হাতে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার ও ব্যাট হাতে ১৯ রান করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া মাহেদী হাসান ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
ম্যাচ স্কোরবোর্ড (Match Scoreboard)
নিউজিল্যান্ড ১৩৪/০৯ (২০ ওভার)
জেমস নিশাম – ৪৮ (২৯)
শরিফুল ইসলাম – ৩/২৬ (৪ ওভার)
বাংলাদেশ ১৩৭/০৫ (১৮.৪ ওভার)
লিটন দাস – ৪২* (৩৬)
মিচেল স্যান্টনার – ১/১৬ (৪ ওভার)