বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ ড্র করলো কিউরা। ৮ উইকেটে প্রথম টেস্ট জেতার পর বিশেষ আশাবাদী ছিল টাইগাররা। কিন্তু প্রথম দিনেই আশা ভেঙে যায়।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু বোলিংয়ে ব্যর্থ হয়। তারপর ব্যাট হাতে আরও বেশী ব্যর্থ বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
কিউরা বাংলাদেশকে ফলোঅন করালেও আবারও ব্যর্থ হয় টাইগাররা। ২৭৮ রানে সকল উইকেট পড়ে যায়। ১১৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই হারের ফলে ১-১ ড্র হয় সিরিজ।
ফলোঅনে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রান করে মাঠ ছাড়ে সাদমান ইসলাম। তখন দলীয় রান মাত্র ২৭। কাইল জেমিসনের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্ল্যান্ডলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাদমান।
এরপর মোহাম্মদ নাঈম ও নাজমুল হোসেন শান্ত ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে। ৪৪ রানের পার্টনারশিপের পর আউট হন শান্ত। আউট হওয়ার আগে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। নেইল ওয়াগনারের বলে বোল্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দেয় শান্ত। এরপর নিজের ২৪ ও দলীয় ১০০ পার হওয়ার পর নেইল ওয়াগনারের শিকার হয় নাঈমও।
নাঈমের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু বিপর্যয়ের হাল ধরার আগেই পড়ে যায় নাঈম। এরপর ওয়াগনারের বলেই বিদায়ী টেস্ট খেলতে আসা রস টেলরের হাতে ক্যাচ তুলে দেয় মুমিনুল। তবে ওয়াগনারের ধ্বংসযজ্ঞ তাও থামে না। আর মাত্র ৫ রান দলীয় খাতায় যোগ হতেই তুলে নেন তরুন টাইগার ব্যাটম্যান ইয়াসির আলীর উইকেট। মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ইয়াসির আলীকে।
মাত্র ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আশার আলো নিভতে শুরু করলে হাল ধরার চেষ্টা করে লিটন ও নুরুল। ধীরেসুস্থে শুরু করে আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়ান দুজনেই। এরমধ্যেই লিটন তুলে নেয় হাফ সেঞ্চুরি। মাত্র ৬৯ বল খেলেই হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন।
এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরির আগে জেসমিনের এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান। যার মধ্যে ২ টি চার ও ১ টি ছক্কা ছিল। ফিফটির পর ট্রেন্ট বোল্টের এক ওভারে চারটি বাউন্ডারিতে ১৬ রান সংগ্রহ করে।
ক্রিকেটের আরও খবর পড়ুন….
নুরুল আশা জাগালেও ইনিংস বেশী লম্বা করতে পারেননি। কিউদের এই ম্যাচে নতুন সংযোজন ডেরিল মিচেলের বলে বাজে শট খেলে ওয়াগনারের হাতে ক্যাচ তুলে দেয় নুরুল। আউট হওয়ার আগে ৩৬ রান করেন ৫৪ বলে। এবং লিটন ও নুরুলের পার্টনারশিপে আসে ১০১ রান।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ে আসে। মিরাজও বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি। মাত্র ৩ রান করেই সাঁজঘরে ফিরতে হয় তাকেও। এমন ব্যাটিং দূর্দশার মধ্যেও লিটন দাস তুলে নেয় টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মাত্র ১০৫ বলে।
তবে সেঞ্চুরির পরে খুব বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি লিটন দাস। ১৪ টি চার ও ১ টি ছক্কায় মোট ১০২ রান সংগ্রহ করে জেমিসনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে বিদায় নেয় লিটন। যদিও রিভিউ আবেদন করেছিলেন তিনি কিন্তু তাতেও কাজ হয়না। এরপর একই ওভারে সাউদির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন শরিফুল ইসলাম।
সবাইকে আবাক করে দিয়ে বিদায়ী টেস্টে বল হাতে তুলে নেয় টেইলর। শুধু তাই নয় ইবাদত হোসেনের উইকেটও তুলে নেন তিনি তৃতীয় বলেই। এতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ৫২১ রান করে বাংলাদেশকে মাত্র ১২৬ রানে অলআউট করে ফলোঅনে পাঠিয়েও ম্যাচ জিতে নেয় কিউরা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘ আমাদের দল নিয়ে আমি গর্বিত এবং প্রথম ম্যাচের ব্যাপারে খুশি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল হতাশাজনক। প্রথম টেস্ট জেতার পর এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল আর দেশের বাইরে খেলা মাইন্ডসেটের ওপর নির্ভর করে।’ ইবাদত ও লিটনের প্রশংসাও করেন তিনি।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com