থাইরয়েড কি

থাইরয়েড কি? এর লক্ষণ ও প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় জানুন!

থাইরয়েড কি? থাইরয়েড হলো গলায় থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি। এই গ্রন্থির কাজ হল আমাদের শরীরের থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করা। শরীরের জন্য এ থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলে শরীরের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে।

মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শারীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়া থাইরয়েড হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বিশ্বে অন্যতম হরমোনজনিত সমস্যা। 

হরমোনজনিত রোগের দিক দিয়ে ডায়াবেটিসের পর থাইরয়েডের অবস্থান।

নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। আগামী প্রজন্মের মেধা, প্রতিভার বিকাশে বিশেষ করে মেয়েদের থাইরয়েডের সুস্থতা দরকার। তাই থাইরয়েড সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে ২৫ মে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস পালন করা হয়।তাহলে আসুন জেনে নিই থাইরয়েড কী, থাইরয়েড লক্ষণ এবং প্রতিকার 

ভিডিওঃ ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট | দ্রুত মেদ কমানোর খাদ্য তালিকা

থাইরয়েড কি

থাইরয়েড কি? থাইরয়েড হলো একটি গ্রন্থির নাম, যেটা গলার নিচের দিকে থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থি দেখতে প্রজাপতির আকৃতির হয়। থাইরয়েড গ্রন্থি ঘাড়ের শ্বাসনালীর সামনে থাকে। থাইরয়েডের কাজ হলো হরমোন সিক্রেট করা যা শরীরের কার্যকলাপ পরিবর্তন করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরক্সিন (T4) এবং Triiodothyronine (T3) এই ২ টি হলো থাইরয়েড হরমোন। এই হরমোনগুলি থাইরয়েড গ্রন্থি দ্বারা সরাসরি রক্তে সিক্রেটেড হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রবেশ করে।এই থাইরয়েড হরমোনের মাত্রায় অস্বাভাবিক কাজকর্ম বা কোনো ধরনের অস্থিরতা থাইরয়েড রোগের নির্দেশ করে।

কার্যত থাইরয়েড হরমোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্নায়ুর বিকাশ। গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতায় গর্ভের বাচ্চা বুদ্ধিদীপ্ত হয় না। বাচ্চা ক্ষেত্রে জন্মের সময় এই গ্রন্থি ঠিকভাবে তৈরি না হলে বা প্রয়োজনমত হরমোন তৈরি করতে না পারলে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

আমাদের শরীরে যতটুকু থাইরয়েড  হরমোনের প্রয়োজন তার চেয়ে কম কিংবা বেশি পরিমাণে এই হরমোন তৈরি হলে তখন নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে এই হরমোন তৈরি হলে হাইপোথাইরয়ডিজম হতে পারে। আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে এই হরমোন উৎপন্ন হলে হাইপারথাইরয়ডিজম হতে পারে। উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

থাইরয়েড হরমোনের কাজ কি?

থাইরয়েড গ্রন্থি শ্বাসনালী দুপাশে দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ তরুণাস্থির সম্মুখে অবস্থিত। মূলত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে তিন রকমের হরমোন নিঃসৃত হয়।১.ট্রাই আয়োডোথাইরোনিন ২.থাইরক্সিন বা টেট্রাআয়োডোথারোনিন ৩. থাইরোক্যালসিটোলিন।

১. শক্তি উৎপাদন বা BMR নিয়ন্ত্রণঃ

থাইরয়েড হরমোনের অন্যতম কাজ হলো শক্তি উৎপাদন বা BMR নিয়ন্ত্রণ। থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোন কলাকোষে শক্তি উৎপাদন, অক্সিজেন গ্রহণ ও মৌল বিপাকীয় হার ত্বরান্বিত করে। প্রতি মিলিগ্রাম থাইরয়েড হরমোন প্রায় ১০০০ ক্যালরি শক্তি বা BMR বৃদ্ধি করে।

২. কার্বোহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রণঃ

থাইরয়েড হরমোন গ্লাইকোজেন বিশ্লেষণ ঘটিয়ে রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। থাইরয়েড হরমোন অন্ত্রে গ্লুকোজ শোষণ ত্বরান্বিত করে।

৩. ফ্যাট বিপাক নিয়ন্ত্রণঃ

থাইরয়েড হরমোন ফ্যাট সংশ্লেষ, স্থানান্তরণ এবং ভাঙ্গনকে প্রভাবিত করে। এছাড়া কোলেস্টেরল সংশ্লেষ ঘটায়।

৪. আয়োডিন বিপাকঃ

থাইরয়েড হরমোন অজৈব আয়োডিনের শোষণ করে। আয়োডাইডের আয়োডিন জারিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও  মনোআয়াডোটাইরোসিন এবং  ডাইআয়োডোটাইরোসিন গঠনে সাহায্য করে।

৫.মানসিক বিকাশঃ

থাইরয়েড হরমোন শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। থাইরয়েড হরমোন কম হলে শিশু মানসিক এবং শারীরিক বৃদ্ধি কম হয়।

থাইরয়েড কি কারণে হয়

মূলত থাইরয়েডের সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ  হল আয়োডিনের অভাব। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন না থাকলে এই রোগের সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড এর কাজ হলো আয়োডিনের ব্যবহার করে  শরীরের জন্য দরকারি থাইরয়েড হরমোন বানানো।থাইরয়েড আমাদের শরীরের সব অংশে সেটি ছড়িয়ে দেয়। যখন দরকার এর থেকে বেশি হরমোন বানাতে থাকে তখন থাইরয়েড  সমস্যা সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশে বেশিকিছু কারণে থাইরয়েড সমস্যা হয়ে থাকে। এরমধ্যে জেনেটিক সমস্যা অন্যতম। জেনেটিক সমস্যা অর্থাৎ যদি মা, বাবা, দাদার  অথবা পূর্বপুরুষের থাইরয়েড সমস্যা থাকে। সেই ক্ষেত্রে জেনেটিক লিংকে মাধ্যমে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য যদি কেউ রেডিও আয়োডিন খেয়ে থাকে তাহলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। অতীতে গলার চার্জারী হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। মূলত আমাদের দেশে এসব সমস্যা জন্য থাইরয়েডের সমস্যা হয়ে থাকে।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

থাইরয়েড এর লক্ষণ

থাইরয়েড কী,থাইরয়েড হবার কারণ এগুলো জানার পর থাইরয়েড লক্ষণগুলো জেনে রাখার দরকার।থাইরয়েড সমস্যা হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ হলোঃ

১) থাইরয়েড রোগের সর্বপ্রথম লক্ষণ হলো ঘুম ঘুম ভাব অলসতা অনুভব করা।

২) ত্বকের কোমলতা কমে গিয়ে খসখসে হয়ে যাওয়া।

৩) পায়ের কিছুটা অংশ বা পুরো পা ফুলে যাওয়া। 

৪) খাবারে অরুচি ভাব আসা।

৫) তুলনামূলকভাবে চুল পড়তে শুরু করা। 

৬) হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া। 

৭) স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে গিয়ে  মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।

৮) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

৯) ব্লাড প্রেসার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা। 

১০) শীত শীত ভাব অনুভূত হওয়া।

১১) পিরিয়ডের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া। 

১২) হার্টের সমস্যা হওয়া।

১৩) হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া।

এগুলো লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

থাইরয়েড টেস্ট কিভাবে করে

শারীরিক বিপাকীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যথাযথ হরমোন নিঃসৃত হওয়া জরুরি। বহু কারণে নিঃসরণ কম হওয়া কিংবা অতিরিক্ত হরমোন নিঃসৃত হওয়া ক্ষতিকর।দুটোই শরীরে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে। রক্তের কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। দুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় থাইরয়েড হরমোন হচ্ছে থাইরক্সিন বা T4, ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন বা T3। রক্তে T4 স্বাভাবিক মাত্রা .৭ থেকে ১.৯ ন্যানোগ্রাম/ডিএল, T3 মাত্রা ৮০-১৮০ ন্যানোগ্রাম/ডিএল।

থাইরয়েডের স্বাভাবিক মাত্রা হিসাবে এটি ধরা হয়। এর কমবেশি হলে থাইরয়েড সমস্যা হয়েছে বলে সবাই জেনে থাকি। রক্তে টি-থ্রি, টি-ফোর হরমোন বেশি মাত্রায় থাকলে টিএসএইচ-এর পরিমাণ কমে যায়।

থাইরয়েড কি বংশগত রোগ

সাধারণত থাইরয়েড বংশগত রোগ নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক লিংকে মাধ্যমে পূর্বপুরুষ থেকে আপনার মাঝেও থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। আসলে থাইরয়েড অটো ইমিউন ডিজিজ করে। শরীরে আয়োডিনের মাত্রা কম হলে থাইরয়েড আক্রান্ত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে এই রোগ হতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে থাইরয়েড নিজে অ্যান্ডিবডি তৈরি করে। যারজন্য থাইরয়েড কোষগুলি হয় অতি সক্রিয় কিংবা অল্প সক্রিয় হয়।

থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না

থাইরয়েড হলে বাচ্চা হয়। থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে, এমন মহিলা কিছু  নিয়মকানুন মেনে চললে বাচ্চা নিতে পারবে। আপনার শরীরে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা সঠিক থাকলে বাচ্চা নিতে কোন সমস্যা হবে না। 

সন্তান নেবার আগে থাইরয়েডের   পরিক্ষাটি করুন। যদি পরীক্ষায়  টিএসএইচ  সিস্টেম হরমোনের মাত্রা 2.5 এর নিচে থাকে তাহলে সেটি সন্তান নেওয়ার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। যদি সেই পরিক্ষায় কোনো দেখা অস্বাভাবিকতা  দেয় তাহলে সেই  থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিরাপদ মাত্রা নামিয়ে এনে বাচ্চা নিতে হবে। এজন্য আপনি সন্তান নেবার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

থাইরয়েড পরিক্ষায় থাইরয়েড মাত্রা যদি নিরাপদ মাত্রায় না থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে বা নির্ধারিত মাত্রায় ওষুধ খেয়ে তাকে আগে নিরাপদ মাত্রা নিয়ে আসুন।তারপর আপনি নিশ্চিন্তে সন্তান ধারণ করতে পারবেন। সন্তান ধারণের পর বা প্রেগনেন্সির সময়  প্রতি ছয় সপ্তাহ থেকে৮ সপ্তাহ পরপর থাইরয়েড পরিক্ষা করুন।

থাইরয়েড প্রতিরোধের উপায়

শরীরের প্রতিটি উপাদানেরই নির্দিষ্ট একটা মাত্রা থাকা দরকার। মানুষের শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের মাত্রাও একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকা জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলে শরীরের ওপর বিভিন্ন রকম বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে থাকে।  

থাইরয়েড কী সেটা জানলাম। এবার থাইরয়েড প্রতিরোধ কিছু উপায় নিচে আলোচনা করি।

কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রা ঠিক রাখার মাধ্যমে থাইরয়েড সমস্যার প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

১) থাইরয়েড রোগীদের আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে। সেই জন্য আয়োডিনযুক্ত খাবার গুলো প্রতিদিন পরিমাণমতো আপনাকে খেতে হবে। যেমন গাজর দুধ সামুদ্রিক মাছ শাকসবজি এবং মৌসুমি ফল গুলিতেও প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন  থাকে।

লবণ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও এটি থাইরয়েড সমস্যার মোকাবিলা করতে সক্ষম। যেহেতু লবণে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে।

২) থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রোটিনের মাত্রা খুব বেশি থাকা দরকার সেই জন্য আপনার পাতে নিয়মিত মুরগির মাংস, ডিম, পনির ইত্যাদি খেলে থাইরয়েড সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

৩) থাইরয়েড সমস্যার মোকাবেলা করতে হলে আপনার ঘুমের খুবই প্রয়োজন। যারা রাত জেগে  তাদের এই সমস্যার  আশঙ্কা বেশি দেখা যায়। তবে যাদের রাতে কাজ থাকে তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি মেটাতে পারেন।

৪) থাইরয়েডের সমস্যা হলে আমরা বিভিন্ন ভাবে চিন্তায় পড়ি। এই সময় চিন্তা না করে শরীরকে চাঙা রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা পাশাপাশি  সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটা উচিত।

৫) বিশেষজ্ঞরা বলেন খাওয়ার সময় খাবার মনোযোগ দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া।মনোযোগ দিয়ে খাবার খেলে তা থাইরয়েড এবং মনের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে।  তাই খাওয়ার সময় কখনও তাড়াহুড়ো না করা। সময় নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড গ্রন্থি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।সে জন্য সময় নিয়ে খাবার চিবিয়ে খেলে তা বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

৬) থাইরয়েডের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রোজ সকালে খালি পেটে লাউ এর শরবত পান করুন।

এর পরে চাইলে এক গ্লাস টাটকা জলে এক দুই ফোটা তুলসির রস খেতে পারেন। কিছু মাত্রায় অ্যালোভেরা জুসও পান করতে পারেন। প্রতিদিন এরকম নিয়ম থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

থাইরয়েড কি ভালো হয়

থাইরয়েড ভালো হয়। তবে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে হবে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা। শরীরে থাইরয়েড  হরমোন মাত্রা কম হলে বাইরে থেকে তা গ্রহণ করতে হবে। এক কথায় ঘাটতি পূরণ করতে হবে। ঘাটতি পূরণ করলে শরীরে আর কোন সমস্যা দেখা দিবে না।ঠিক একই চিত্র হরমোন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও।

হরমোন বেড়ে গেলে ঔষধের মাধ্যমে কমিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে নিয়ে আসা।থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা সঠিক পরিমাণে শরীরে থাকলে  কোন সমস্যা হয় না। 

উপসংহার

থাইরয়েড কী তা আশা করি এতক্ষণে আপনারা জানতে পেরেছেন। থাইরয়েড এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রেখে আশা করি এখন আপনারা নিশ্চয় এটি প্রতিরোধ করতে পারবেন। 

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top