১-০’তে পিছিয়ে থেকে সিরিজের ৩য় ওয়ানডেতে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। জয় দিয়ে দিয়ে সমতায় ফিরতে বাংলাদেশের স্কোয়াডে আসে একাধিক পরিবর্তন। অন্যদিকে, সিরিজ নিশ্চিতে জয় ছিনিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর ছিল গ্যারি স্ট্যাড শিষ্যরা।
নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে একাদশে ৪ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। লিটন দাস, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে দলে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলাম ও নতুন অভিষেক হওয়া জাকির হাসান।
ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের একাদশেও ছিল ২ পরিবর্তন। কাইল জেমিসন ও চ্যাড বোয়েসের পরিবর্তে জায়গা পান এ্যাডাম মিলনে ও নতুন অভিষিক্ত ডিন ফক্সক্রফট।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, জাকির হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, শেখ মাহেদী, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: লকি ফারগুসন (অধিনায়ক), ফিন এ্যালেন, উইল ইয়ং, ডিন ফক্সক্রফট, হেনরি নিকোল্স, টম ব্লান্ডেল, রাচিন রাবিন্দ্রা, কোল ম্যাক্কঞ্চি, এ্যাডাম মিলনে, ইশ সোডি, ট্রেন্ট বোল্ট।
ম্যাচের ১ম ইনিংস
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন জাকির হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে, দলের হয়ে ভালো কিছু করতে পারেননি জাকির ও তানজিদ। প্রথম ২ ওভারেই এই দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের উইকেট তুলে নেন মিলনে ও বোল্ট।
তাওহীদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত প্রতিরোধ গড়তে চেষ্টা করলেও ১৮ রান করে ফিরেন হৃদয়। এরপর, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একপ্রান্ত থেকে দলকে এগিয়ে নিলেও অপরপ্রান্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডার।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ কেউই শান্তকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৮ রানে মুশফিক ও ২১ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও মাঝে ঠিকই নিজের হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত।
অলরাউন্ডার শেখ মাহেদীও আউট হন দ্রুতই। দলের হয়ে শেষ ভরসা হিসেবে মাঠে ছিলেন শান্ত ও নাসুম। ৭৬ রান করা শান্তকে থামান স্পিনার ম্যাক্কঞ্চি। এরপর বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা ছিল আসা যাওয়ার মধ্যে।
নাসুম, হাসান মাহমুদ ও শরিফুলের উইকেট হারিয়ে ৩৪.৩ বলে মাত্র ১৭১ রান নিয়ে অলআউট হয় কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের দল।
ম্যাচের ২য় ইনিংস
১৭২ রানের ছোট্ট টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ফিন এ্যালেন ও উইল ইয়ং। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। নিজের করা দলীয় ১০ম ওভারে একইসাথে ফেরান ফিন এ্যালেন ও ডিন ফক্সক্রফটকে।
এরপর অবশ্য আর বিপাকে পড়তে হয়নি সফরকারীদের। দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান উইল ইয়ং ও হেনরি নিকোল্স। ফিফটি পূরণ করে আক্রমণাত্মক মানসিকতায় খেলতে থাকেন উইল ইয়ং।
৭০ রান করা ইয়ংকে নাসুম আহমেদ ফেরাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। এরপর, টম ব্লান্ডেলকে সাথে নিয়ে দেখেশুনে খেলে নিজের অর্ধ শতককের পাশাপাশি দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন হেনরি নিকোল্স।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর স্মৃতি নিয়ে ভারতে যাবে ব্ল্যাক ক্যাপ্সরা। ৭০ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন উইল ইয়ং। যেখানে, ৩ ম্যাচ সিরিজে ১৪৩ রান সংগ্রহে সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন হেনরি নিকোল্স।
ম্যাচ স্কোরবোর্ড (Match Scoreboard)
বাংলাদেশ ১৭১/১০ (৩৪.৩ ওভার)
নাজমুল হোসেন শান্ত – ৭৬ (৮৪)
এ্যাডাম মিলনে – ৪/৩৪ (৬.৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ১৭৫/৩ (৩৪.৫ ওভার)
উইল ইয়ং – ৭০ (৮০)
শরিফুল ইসলাম – ২/৩২ (৬ ওভার)
ম্যাচ সেরা – উইল ইয়ং
সিরিজ সেরা – হেনরি নিকোল্স