ব্রাজিল – ক্রোয়েশিয়া দ্বৈরথ যখন পেনাল্টিতে গড়ায়, তখন নেইমারের পেনাল্টি কিক নেওয়া আকাঙ্খিতই ছিলো। কিন্তু সবাইকে অবাক করে একে একে কিক নিলেন রদ্রিগো, ক্যাসেমিরো, পেদ্রো এবং সবশেষে মারকুইনাস। কিক নিতে দেখা যায়নি নেইমারকে।
নেইমার কেন পেনাল্টি কিক নিলেন না তার কারণ জানার চেষ্টা করেছে হেলদি-স্পোর্টস। চলুন জেনে নিই কী ছিলো তিতের প্লান।
নেইমার পেনাল্টি কিক নিলেন না কেন?
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে নেইমার প্রথমবারের মতো তার প্যারাদিনহা স্টাইলের পেনাল্টি কিক নেয়৷ এই প্যারাদিনহা শটটি একবার থেমে গিয়ে অনেকটা নৃত্যের তালে তালে নেওয়া হয় বলে সকলের মাঝেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এবারের বিশ্বকাপেও কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমারকে প্যারাদিনহা পেনাল্টি শটটি নিতে দেখা যায়। পেনাল্টি কিকের জন্য তাকে একজন পারদর্শী ফুটবলার হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
কিন্তু সেই নেইমার যখন দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেনাল্টি কিক নিলেন না তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কেন। চলুন জেনে নিই এর উত্তর।
- লাস্ট ইন দ্যা লাইন
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি কিক নেওয়ার লাইন আপে যে ৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছিলো সেখানে সর্বশেষ নামটি ছিলো নেইমারের। অর্থাৎ রদ্রিগো, ক্যাসেমিরো, পেদ্রো ও মারকুইনাসের পর ৫ম পেনাল্টি টেকার হিসেবে নেইমারকেই রাখা হয়েছিলো। কিন্তু ম্যাচের সিচুয়েশন এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে ৫ম কিকটি নেওয়ার দরকার পড়েনি।
- ওল্ড-স্কুল তিতে
এখন অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, নেইমারকে যখন পেনাল্টি কিক নেওয়ার জন্য রাখা হয়েই ছিল তাহলে প্রথমেই নয় কেন?
এটা অনেকটা ওল্ড-ডে থিংকিং যার বশবর্তী হয়ে তিতে নেইমারকে একদম শেষে অর্থাৎ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্রুশিয়াল সময়ে কিক নেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছিলো। কিন্তু ম্যাচ সেই অন্তিম সময় পর্যন্ত গড়ায়নি। তাই তিতের এই সিদ্ধান্ত ভুল হিসেবেই পরিগণিত হয়। যার মাশুল দিতে হয়েছে পুরো দলকেই।
- স্কালোনি ডিড নট মেক দ্যা সেইম মিসটেক
ঠিক তার পরের ম্যাচটাই যখন পেনাল্টিতে গেলো, তখন আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি এই ভুলটা করেননি। তিনি প্রথমেই মেসিকে পেনাল্টি কিকটা নিতে দেন যেন শুরুতেই গোল করে আর্জেন্টিনা চাপমুক্ত ও স্কোরবোর্ডে এগিয়ে থাকতে পারে।
অর্থাৎ তিতের এই সিদ্ধান্ত অনেকটা ক্রিকেট ম্যাচের লাস্ট ওভার ডিলিউসন এর মতো। যেমন অনেক টিমই লাস্ট ওভারগুলোর জন্য তাদের বেস্ট বোলারদের রেখে দেয়। কিন্তু মডার্ন ডে স্পোর্টসে এই আইডিয়া ভুল হিসেবেই প্রমাণিত হতে শুরু করেছে।
লিখেছেন: Ariful Abir