পর্তুগাল – বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা : ২০২৪ ইউরো খেলার লক্ষ্য হিসেবে ইউরো বাছাইপর্বের গ্রুপ জে’র নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল।
ঘরের মাঠ লিসবনে বেনফিকার “দা লুজ” স্টেডিয়ামে প্রত্যাশিতভাবেই ফেভারিট ছিল পর্তুগাল।
অন্যদিকে, এখনো মাত্র এক জয়ের দেখা পাওয়া বসনিয়া ছিল নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১২ ও ১৬ নভেম্বর ইউরো বাছাইপর্বের প্লে অফ ম্যাচে মুখোমুখি হয় উভয় দল। যেখানে, ১ম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ ৬-২ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে নেয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল।
ম্যাচে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামা পর্তুগাল প্রথম থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিল। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও পর্তুগাল ম্যাচে নিজেদের প্রথম গোলের সুযোগ পায় ২১তম মিনিটে এসে। কিন্তু হোয়াও পালহিনহার নেওয়া শট ব্লক হলে আর গোল পাওয়া হয়নি দলটির৷ ২৪ মিনিটে রোনালদো গোল করলেও তা অফসাইডে বাতিল হয়।
বসনিয়ার হয়ে দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড এডিন ডিজেকো ২৯ ও ৩৩ মিনিটে ২টি শটের প্রচেষ্টা করলেও তা ছিল গোলপোস্টের বাইরে। এরপর, ৩৭ মিনিটে রোনালদোর বাড়ানো বলে হোয়াও ফেলিক্সের অসাধারণ একটি শট বসনিয়া গোলকিপার সেঁহিক আটকে দিলে আবারও হতাশ হতে হয় রবার্তো মার্টিনেজ শিষ্যদের।
অবশেষে ৪৪ মিনিটে এসে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেসের এ্যাসিস্টে পর্তুগালের হয়ে স্কোরশীটে নাম তুলেন ম্যান সিটির হয়ে সদ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা বার্নার্ডো সিলভা। ফলে, ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের স্বভাবজাত খেলা চালিয়ে যায় সেলেকাউরা। বল নিজেদের আধিপত্যে রেখেই এগোতে থাকে তারা। কিন্তু, এবারও কোনো ভালো আক্রমণ সাজাতে ব্যর্থ হয় রোনালদো, ফেলিক্সরা।
৭৭ মিনিটে মিডফিল্ডার রুবেন নেভেসের দেওয়া ক্রসে হেডে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। ৮১ মিনিটে বসনিয়ার হয়ে প্রথম গোল পেতে আমর দেদিচ পর্তুগালের গোলপোস্টে শট নিলেও তা সেভ করেন পর্তুগাল গোলকিপার দিয়েগো কস্তা।
৮৮ মিনিটে দিয়োগো জোটার নেওয়া শট সেভ করেন সেঁহিক। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্রুনো ফার্নান্দেসের নেওয়া দুর পাল্লার শটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-লাল জার্সি ধারীরা। ফলে, বসনিয়ার বিপক্ষে জয়ের মধ্যে দিয়ে এখন পর্যন্ত টানা তিন জয়ে ইউরো বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখলো পর্তুগাল।