প্রতিবাভান বিজয় এসেছিল বিজয়ীর বেশে। ২০১২ সালে অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপে দূর্দান্ত পারফরমেন্স করেন তিনি। আর সেই সুবাদেই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় বিজয়ের জন্য। তিনি এসেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটি নক্ষত্র হয়ে।
নিজের ওডিয়াই ক্যারিয়ারে ২য় ম্যাচেই শতক হাকানো অনন্য বালক। বিজয় বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ১৯ ওডিয়াইতে তিনটি শতক হাকান এবং দ্রুততম এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
বিজয়ের ইন্জুরি-
দিনটা ছিল ২০১৫ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ড ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ফিল্ডিং করার সময় কাধে চোট পেয়েছিল।তারপর থেকে লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাহিরে চলে যান।ইন্জুরি ঠিক হলেও সেই প্রতিভাবান বিজয় কে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরিচয়ঃ
নামঃ আনামুল হক বিজয়।
জন্মঃ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯২!
উচ্চতাঃ১.৭৫ মিটার।
ব্যাটিং এর ধরনঃডানহাতি ওপেনার।
বিজয়য়ের অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপঃ – প্রতিবাভান বিজয়
ডানহাতি ওপেনার বিজয়! যার খেলার ধরন,টেকনিক এবং প্রতিভা ছেলেবেলা থেকেই দেখিয়েছেন। ২০১২ সালে অষ্টেলিয়াতে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনু্র্ন্ধ ১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে টাইগার দের অধিনায়ক। পুরো টুনামেন্ট জুড়ে ছিল তার দারুন পারফরমেন্স।বিশ্বকাপের সবোর্চ্চ রান সংগ্রাহক এর তালিকার ছিলেন।
টেষ্টঃ
টেস্টে অভিষেক হয় ২০১৩ সালের ৮ই মার্চ শ্রীলংকার সাথে। বাংলাদেশর হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৬৬ তম ক্যাপ পায় বিজয়।
গুলো।
ম্যাচ- ৪
রান- ৭৩
সর্বোচ্চ- ২২
ওডিয়াইঃ
ওয়ানডে অভিষেক হয় ৩০শে নভেম্বর ২০১২ উইন্ডিজ এর সাথে।
বাংলাদেশের হয়ে ১০৩ তম ক্যাপ পায় বিজয়।
ম্যাচ- ৩৮
রান- ১০৫২
সর্বোচ্চ- ১২০
সেঞ্চুরি- ৩
ফিফটি- ৩
টি২০- ক্যারিয়ার
ম্যাচ- ১৩
রান- ৩৫৫
সর্বোচ্চ- ৫৮
সেঞ্চরি- ০০
ফিফটি- ০১
হয়তো সেদিন কাধে চোট না পেলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো বিজয়ের সাথে,কারন তিনি তখন খুব ভাল ফর্মে ছিলেন। ইঞ্জরির পর দীর্ঘ সময়ের জন্য দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু চোট কাটিয়ে উঠার পর বাংলাদেশ দলে আর নিয়মিত হতে পারেন নি তিনি। প্রতিবাভান বিজয় আর শক্তভাবে ফিরতে পারেন নি। বাংলাদেশ দলে চোটের পর খেললেও নিয়মিত হতে পারেননি। এখনো থেমে নেই তিনি, বয়স চলছে মাত্র ২৮। নিয়মিত প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবাভান বিজয়।
**লিখেছেন-আলিস আল-হাসান রাজা।**
আরো পড়ুন-