প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয় তা নিয়ে অনেক নারীকেই দ্বিধাদ্বন্দে থাকতে দেখা যায়। প্রেগনেন্সির এই সময়টা প্রতিটি নারীর জন্য যতটা মধুর ঠিক ততটাই অজানা এক ভয়ের। বর্তমান সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি নিয়ে বেশকিছু দম্পতিকেই দুশ্চিন্তায় থাকতে দেখা যায়। এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণেই অসময়ে তারা প্রেগনেন্সি টেস্ট করে বসে।
সঠিক সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট না করলে সঠিক রেজাল্টও পাওয়া যায় না। তাই আমাদের জানতে হবে প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয়। আজকের প্রবন্ধে এই সকল বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি, অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি এড়াতে এই প্রবন্ধটি হবে আপনার সহায়ক হবে।
হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!
Table of Contents
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম :
অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগনেন্সি এড়ানো গেলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা তো আরএড়ানো যায় না। তাই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখা ভালো। তবে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয় এসম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট সাধারণত দুইভাবে করা যায়। ১. বাজারে কিনতে পাওয়া প্রেগনেন্সি কিটের মাধ্যমে এবং ২. ডাক্তারের পরামর্শে রক্তপরীক্ষার সাহায্যে।
ঘরে বসে প্রেগনেন্সি কিটের মাধ্যমে পরিক্ষা করা খুবই সহজ। যেকোনো ফার্মেসিতেই এই প্রেগনেন্সি কিট কিনতে পাওয়া যায়। গর্ভধারনের পরিক্ষার আগে অবশ্যই কিটে দেওয়া নির্দেশনাগুলি ভালোভাবে পড়ে নিন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রেগনেন্সি কিটে বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দেওয়া থাকতে পারে। যেমন, একটি পরীক্ষায় আপনাকে পরীক্ষার স্ট্রিপে ইউরিন দিতে বলা হতে পারে। আবার অন্যটায়, আপনাকে পরীক্ষার কিটটিতে ড্রপার দ্বারা প্রদত্ত জায়গায় কয়েক ফোঁটা ইউরিনের নমুনা ফেলতে হতে পারে। প্রেগনেন্সি কিটে গোলাপি এবং নীল রঙ আসলে কিটে প্রদত্ত নির্দেশনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন পজিটিভ বা নেগেটিভ। এবং কিছু কিছু ডিজিটাল কিটে একইভাবে পজিটিভ বা নেগেটিভ লেখা দেখা দেয়। অতএব উক্ত পদ্ধতিটি সহজ এবং নিরাপদ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট :
ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্থাৎ কোনোরকম কিট ছাড়াই বেশকিছু সহজ পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেসকল পদ্ধতিগুলি।
১. চিনি: বেশ পুরাতন প্রচলিত একটি পদ্ধতি এটি। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ সকালের প্রথম ইউরিন নিয়ে তাতে চিনি মেশান। এরপর অপেক্ষা করুন। চিনি যদি মিশে যায় তবে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী নন। যদি ইউরিন জমাট বেধে যায় এর অর্থ টেস্ট পজিটিভ।
২. টুথপেষ্ট: আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেষ্ট মেশান। ইউরিন যদি নীল রঙ ধারণ করে এবং ফেনা উঠে তবে বুঝবেন রেজাল্ট পজিটিভ। এক্ষেত্রে অবশ্যই সাদা টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে হবে।
৩. সাবান পানি: সাবান পানির সাথে ইউরিন মিশিয়ে অপেক্ষা করুন। মিশ্রণটিতে বুদবুদ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। তবে অনেকসময় এই পরিক্ষা আশানুরূপ ফলাফল দেয় না।
৪. ভিনেগার: ভিনেগারে সকালের প্রথম ইউরিন মিশিয়ে অপেক্ষা করুন। ভিনেগারের রঙ পরিবর্তন হলে আপনি গর্ভবতী। রং পরিবর্তন না হলে রেজাল্ট নেগেটিভ।
৫. বেকিং সোডা: দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে এক টেবিল চামচ ইউরিন মেশাতে হবে। মিশ্রণে বুদবুদ হলে বুঝতে হবে আপনার রেজাল্ট পজিটিভ।
>> গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা – ১১ টিপস সহ দেখে নিন!
প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয় ?
অনেকেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক সময় না জেনেই তাড়াহুড়ো করেন। প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয় তা প্রবন্ধের এই অংশে আমরা আলোচনা করবো। প্রেগনেন্সি টেস্ট সঠিক সময় হলো নিয়মিত পিরিয়ড সাইকেলের ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর। জায়গটের পর ডিম্বাণু নিষিক্ত হতে প্রায় দুসপ্তাহ সময় লাগে। তাই মাসিক বন্ধ হবার দুই সপ্তাহ পর টেস্ট করা উচিত। টেস্ট করার পর রেজাল্ট নেগেটিভ আসলেও যদি আপনার মনে হয় আপনি কনসিভ করেছেন তবে আবার দুই সপ্তাহ পর টেস্ট করতে পারেন।
প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ ব্যবহারের নিয়ম :
প্রথমে প্রেগনেন্সি কিটটিতে উল্লিখিত নির্দেশাবলী অবশ্যই ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কিটের নির্দেশনাবলি বিভিন্নরকম হয়। যেমন, একটি পরীক্ষায় আপনাকে পরীক্ষার স্ট্রিপে প্রস্রাব করতে হতে পারে, একটিতে আপনাকে পরীক্ষার কিটটিতে ড্রপার দ্বারা প্রদত্ত জায়গায় কয়েক ফোঁটা ইউরিনের নমুনা ফেলতে হতে পারে। কিটে গোলাপি বা নীল রঙ আসলে প্রদত্ত নির্দেশনাবলির মাধ্যমে আপনি শনাক্ত করতে পারবেন আপনার রেজাল্ট নেগেটিভ নাকি পজিটিভ।
লবণ দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট :
ঘরে বসেই লবণ দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট অভিনব একটি পদ্ধতি। প্রাকৃতিকভাবে গর্ভাবস্থা পরিক্ষার জন্য লবণ অতি কার্যকরি একটি উপাদান। এই পদ্ধতির একটি সুবিধা হলো এটি সস্তা এবং হাতের কাছেই প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া যায়। লবণ দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে আপনার যা যা লাগবে তা হলো:
১. একটি পরিষ্কার গ্লাস।
২. ১/২ চিমটি লবণ।
৩. সকালের প্রথম ইউরিনের নমুনা।
প্রথমে গ্লাসে কিছু ইউরিনের নমুনা ঢালুন। এক বা দুই চিমটি লবণ যোগ করুন। এরপর ৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি লবণ ইউরিনের সাথে প্রতিক্রিয়া করে ক্রিমের মতো জমাট বাঁধতে শুরু করে তবে এটি গর্ভাবস্থার লক্ষণ। ফলাফল নেগেটিভ হলে লবণ ইউরিনের সাথে বিক্রিয়া করবে না।
>> সি সেকশন বা সিজারের পর পেট কমানোর উপায়!
উপসংহার :
উপরিউক্ত পরিক্ষাগুলি দ্বারা আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। এছাড়াও ডাক্তারের কাছে গিয়েও প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যায়। এবং প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয় এ ব্যাপারে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। এটি জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ভুল সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। আশা করি, প্রেগনেন্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয় এসম্পর্কে আপনাদের আর কোনো মতবিরোধ নেই। প্রবন্ধটি পড়ে আপনি উপকৃত হলে এটিকে শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com