পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ’স পার্কে ৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজের ২য় টেস্টে দুর্দান্ত শুরু করেছে প্রোটিয়ারা। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১ম ইনিংসে তাঁদের সংগ্রহ ৪৫৩ রান।
Table of Contents
প্রোটিয়াদের ১ম ইনিংসঃ
প্রোটিয়া ওপেনার এলগার আর সারেল সুচনা সুন্দর করেই করেন। কিন্তু বাধ সাঁধেন খালেদ, দলীয় ৫২ রানে ৪০ বলে ২৪ রানের মাথায় কট আউট করেন সারেলকে। অতঃপর দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় ৮৯ বলে ৭০ করা এলগারকে আউট করেন তাইজুল একইভাবে। ১৮৪ রানে পিটারসেন কে আউট করেন তাইজুল লেগ-বিফরের ফাঁদে ফেলে।
১২৪ বলে ৬৪ রান করেন পিটারসেন। ১৬২ বলে ৬৭ করা বাভুমাকে ফেরান খালেদ। ৮২ বলে ৪২ করা রায়ানকে ফেরান তাইজুল দলীয় ২৬৭ রানের মাথায়। ৪৮ বলে ২২ রান করা ভেরিনিকে ফেরান খালেদ। ৭৭ বলে ৩৩ করা মুল্ডার বোল্ড হয়ে ফেরেন তাইজুলের বলে। দলীয় ৪১৮ রানে ব্যক্তিগত ইনিংসকে লম্বা করা কেশব মেহরাজকে ৯৫ বলে ৮৪ করার পর বোল্ড করেন তাইজুল। ৫৯ বলে ২৯ করা হার্মার আর ৩৯ বলে ১৩ করা উইলিয়ামস কে আউট করেন যথাক্রমে তাইজুল ও মেহেদি মিরাজ। ১৩৬.২ ওভার খেলে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৫৩ রান।
আগের টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের দাপট যতটা ছিলো এ টেস্টে যেনো তাও নেই হয়ে গিয়েছে। তবুও আশার কথা এটাই যে টাইগার বোলাররা প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নিতে পারছে। ২য় টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে যার নাম প্রথমে উঠে আসে তিনি হলেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম টেস্টে না খেলা তাইজুল ২য় টেস্টে নিজেকে ঠিকই মেলে ধরেছেন। ৫০ ওভার বল করে ১৩৫ রানর বিনিময়ে তিনি নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রোটিয়া শিবিরের ওপেনার এলগারকে শিকার করেন তাইজুল।
এরপরে পিটারসেন, রায়ান কে এলগারের মতোই তালুবন্দী আর মহারাজ ও মুলডারকে করেন বোল্ড আউট। আর হারমারকে করেন স্ট্যাম্পিং। তাইজুলের সথে যোগ দেন পেসার খালিদ আহমেদ। ২৯ ওভার বল করে ১০০ রানের বিনিময়ে পান উইকেট। আর মেহেদি মিরাজ নেন ১টি উইকেট।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসঃ
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই হোচট খায় টাইগাররা আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ন মাহামুদুল হাসান জয়ের উইকেটে। দলীয় ৩ রানের মাথায় ইনিংসের ১ম ওভারেই ২ বলে ০ রান করে অলিভারের বলে কট আউট হন জয়। আরেক ওপেনার তামিমের সাথে জুটি করেন শান্ত। দলীয় ৮২ রানের এ জুটি কাটা পড়ে ৫৭ বলে ৪৭ করা তামিম মুল্ডারের বলে বোল্ড আউট হলে।
দলীয় ৮৫ রানের মাথায় আউট হন শান্ত ৭৪ বলে ৩৩ করে মুল্ডারের লেগ-বিফরের ফাঁদে। ২৪ বলে ৬ রান করা ক্যাপ্টেন মমিনুলকেও মুল্ডার ফেরান একইভাবে। দলীয় ১২২ রানে লিটন বোল্ড আউট হন অলিভারের বলে। ১২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খেলা থেকে অনেকটা ছিটকে যায় টাইগাররা। লিটনের আউটের পরে জুটি গড়েন মুশফিক ও ইয়াসির। ১৯২ রানে এ জুটি ভাঙ্গেন মেহরাজ ৮৭ বলে ৪৬ করা ইয়াসিরকে আউট করে। মুশফিক আউট হন ১৩৬ বলে ৫১ রান করে দলীয় ২১০ রানে।তারপর মেহেদি হাসান ৩৫ বলে ১১ আর তাইজুল ১৪ বলে ৫ রান করে আউট হলে টাইগারদের ইনিংস থামে ২১৭ রানে।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে হারমার এবং মুল্ডার নেন যথাক্রমে ৩৯ ও ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট। মেহরাজ নেন ২৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ২ উইকেট। আর অলিভার ৩৯ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট।
প্রোটিয়াদের ২য় ইনিংসঃ
২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে প্রোটিয়ারা নিজেদের ২য় ইনিংস শুরু করে। দলীয় ৬০ রানে প্রোটিয়াদের ১ম আঘাত করেন তাইজুল। ২৯ বলে ২৬ করা এলগারকে ফেরান বোল্ড করে। এরপর দলীয় ৮৪ রানের মাথায় পিটারসেনকে লেগ-বিফরে আউট করেন তাইজুল। পিটারসেন সংগ্রহ করেন ২৫ বলে ১৪ রান।
দলীয় ৯০ রানে আউট হন সারেল ৬৬ বলে ৪১ করে খালেদের বলে। মেহেদি হাসান লেগ-বিফরে ফেরান বাভুমাকে ৫৬ বলে ৩০ রান করার পর। রায়ানকে ফেরান তাইজুল ব্যক্তিগত ১৮ বলে ১২ রানের মাথায় মমিনুলের হাতে তালুবন্দী করে। ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন ভেরেইনি ৩০ বলে ৩৯ করে। দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় মুল্ডারকে ফেরান মেহেদি বোল্ড আউট করে। এরপরই প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার তাঁদের ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন। আর বাংলাদেশের সামনে ছুঁড়ে দেন ৪১৪ রানের বিশাল লক্ষ্য।
প্রোটিয়াদের ২য় ইনিংসে ৬ উইকেটের মাঝে ৩টি নেন তাইজুল, ১৫ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে। খালেদ নেন ৩৮ রানে ১ উইকেট আর মেহেদি নেন ৩৮ রানে ২ উইকেট।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
বাংলাদেশ ২য় ইনিংসঃ
৪১৪ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এবারও রানের খাতা না খুলতেই বিদায় নেন জয়। ইনিংসের ৩য় বলে দলীয় মাত্র ১ রানের মেহরাজের বলে মুল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ১ বলে ০ রান করে আউট হন জয়। ১ম ইনিংসে তামিমের সাথে জুটি করা শান্ত আউট হন ১০ বলে ৭ রান করে দলীয় ১১ রানের মাথায় মেহরাজের ২য় শিকার হয়ে। দেশের সেরা ওপেনার তামিম আউট হন হার্মারের বলে মুল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২২ বলে ১৩ রানের মাথায়। ৩য় দিন শেষে দলীয় ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে??