টি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগাররা আজ মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছিল অপর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল।
সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিংয়ে নামে টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেয় তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে টেম্বা বাভুমার উইকেট তুলে নেয় তাসকিন।
প্রথম উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিরোধের সাথে ঝড়ো ব্যাটিংও শুরু হয়। কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশো বাংলাদেশের বোলারদের দিশেহারা করে দেয়। তাদের জুটিকে থামানোই যাচ্ছিল না।
অবশেষে ১৬৮ রানের পার্টনারশিপ শেষে তাদের জুটি থামাতে সক্ষম হয় আফিফ হোসেন। ১৫তম ওভারে আফিফের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে কুইন্টন ডি কক। ৭ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে ডি কক।
হাফ সেঞ্চুরি করেই ডি কক সাজঘরো ফিরলেও সেঞ্চুরি পূর্ন করেন রাইলি রুশো। অবশেষে তাকে সাজঘরে পাঠাতে সক্ষম হয় সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে লিটন দাসের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে রাইলি রুশো।
৭ টি চার ও ৮ টি ছক্কার ঝড়ো ইনিংসে ৫৬ বলে ১০৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে সাজঘরে ফিরে রুশো। তাদের পরে স্টাবস ও ও আইডেন মার্করাম নেমে ৭ ও ১০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেয়।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাড়ায় ২০৫ রান। ৪ বলে ২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল ডেভিড মিলার। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করে সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন।
২০৬ রানের বিশাল টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। শান্ত আস্তে ধীরে শুরু করলেও প্রথম থেকেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন সৌম্য সরকার। তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি সৌম্য।
তৃতীয় ওভারে আনরিচ নর্টজের প্রথম বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে সৌম্য। দুইটি ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে। একই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে শান্ত।
দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। তবে পঞ্চম ওভারে নর্টজের আরেক শিকারে পরিণত হয় সাকিব। এলবিডব্লিউ-য়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয় সাকিবকে। এরপর লিটন দাস দেখে শুনে রান এগিয়ে নিতে থাকলেও তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ছিল না কেউ।
এক পাশে লিটন প্রতিরোধ করলেও নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে অপর প্রান্তে। এক মাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ একটু সঙ্গ দিতে সক্ষম হয়। ১৩ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী আউট হলে ক্রিজে আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি।
শেষ পর্যন্ত ১৪তম ওভারে ৩১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয় লিটন দাস। লিটনের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ মোট সংগ্রহ দাড়ায় ১০১ রান। ১৬.৩ ওভারেই ১০ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের বিশাল পরাজয় হয় বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে চারটি উইকেট শিকার করে নর্টজে এবং তিটি উইকেট শিকার করে শামসি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা – ২০৫/৫ (২০)
রাইলি রুশো ১০৯
কুইন্টন ডি কক ৬৩
আইডেন মার্করাম ১০
সাকিব আল হাসান ২/৩৩
আফিফ হোসেন ১/১১
বাংলাদেশ – ১০১/১০ (১৬.৩)
লিটন দাস ৩৪
সৌম্য সরকার ১৫
মেহেদী হাসান মিরাজ ১১
আনরিচ নর্টজে ৪/১০
তাবরিয়াজ শামসি ৩/২০
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রইলি রুশো।