ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম আপনি কি জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়লে উপকৃত হবেন।
অনেকসময় দেখা যায় বিপদের সময় হাতের নাগালের ডাক্তার পাওয়া যায় না। ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম জানলে হয়তো আপনি বাসায় বসেই এই পরিক্ষা করতে পারবেন। ফলে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।
বলা হয়ে থাকে উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক। নিয়মিত রক্তচাপ পরিক্ষা করার মধ্যদিয়ে আমরা আগে থেকেই এ রোগ শনাক্ত করতে পারি। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো এবং বাস্তবজীবনে তার প্রয়োগ করবো।
ব্লাড প্রেসার মাপতে হলে অবশ্যই রক্তচাপ মাপার মেশিন লাগবে। এই মেশিনকে সাধারণত বি পি মেশিন বলা হয়। অধিকাংশ ঔষধের দোকানে এই বিপি মেশিনের দ্বারা ব্লাড প্রেসার মাপা হয়ে থাকে। রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে রক্তচাপমান যন্ত্র ছাড়াও স্টেথোস্কোপ এর দরকার হয়। এছাড়া বিভিন্ন দামী মেশিনের দ্বারা ব্লাড প্রেসার মাপা হয়ে থাকে।
হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!
মানব দেহের রক্তচাপ প্রতি মূহূর্তেই পরিবর্তন হতে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস, উত্তেজনা, খেলাধুলা, মানসিক চাপ ইত্যাদির ক্ষেত্রে রক্তচাপ উঠানামা করে। কোন ব্যক্তির রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে হবে।
রক্তচাপের আগে এবং পরে যা করণীয় :
রক্তচাপ মাপার আগে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন। এর জন্য ১ বা ১/২ ঘন্টা আগে থেকে যে কোন ধরনের কায়িকশ্রম বন্ধ করে দিন। খাওয়া দাওয়া থেকেও বিরত থাকুন। রক্তচাপ মাপার ১০ মিনিট পূর্বে আরাম করুন এবং প্রকৃতির ডাক পড়লে তাতে সাড়া দিন ও মাটিতে পা ঠেকিয়ে বসুন। অঙ্গপ্রতঙ্গ স্থির রাখুন। প্রেসার মাপার সময় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম :
রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটি কনুইয়ের ২.৫ সে.মি উপরে ভালোভাবে আটকাতে হবে। তারপর কনুইয়ের সামনে হাত দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনির অবস্থান স্থির রেখে তার উপর স্টেথোস্কোপের ডায়াগ্রাম বসান। ডায়াগ্রাম এমন ভাবে চাপ দিতে হবে যেন ডায়াগ্রাম ও ত্বকের মাঝে কোন ফাঁকা জায়গা না থাকে। ব্লাড প্রেসার মাপার সময় স্টেথোস্কোপ কাপড় কিংবা অন্য কোন স্থানে না রাখায় ভালো। রক্তে চলমান যন্ত্রের ঘড়ি নির্দিষ্ট তলে অবস্থান করতে হবে। তার ফলে রেডিয়াল ধমনি অনুভব করা সম্ভব হয়। এর ফলে যন্ত্রের চাপ বাড়ানো সম্ভব হয়। রেডিয়াল পালস বন্ধ করার পর চাপ ৩০ মি.লি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। প্রত্যেকটা বিটে ২ মি. লি চাপ কমানো যায়। তাড়াহুড়ো করে চাপ কমাতে গেলে ভুল হওয়ার আশংকা থেকে যায়।
অরিজিনাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনুন বিডিশপ থেকে!
চাপ কমানোর ক্ষেত্রে স্টেথোস্কোপ দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনিতে সৃষ্ট শব্দ মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। যখন শব্দ হওয়া শুরু হবে তখন মনে করবেন রক্তের চাপ কমতে শুরু করেছে। একে করটকফ শব্দ বলা হয়ে থাকে। ধরন অনুসারে এই শব্দের পাঁচটি ধাপ রয়েছে। প্রথম ধাপে এক ধরনের সূক্ষ শব্দের সৃষ্টি হয়। এ শব্দ ধাপে ধাপে পরিবর্তন হতে থাকে।
>> হাই প্রেসার কমানোর উপায় এবং ৭ টি ঘরোয়া সমাধান!
>> লো প্রেসার কেন হয়? লক্ষণ, ঝুঁকি এবং চিকিতসা সহ সমাধান!
রক্তচাপের প্রকারভেদ :
স্বাভাবিক ক্ষেত্রেঃ- <১২০ এবং <৮০ (মি. লি পারদ চাপ)
প্রাক উচ্চ রক্তচাপঃ- ১২০-১৩৯ অথবা ৮০-৮৯ মি.লি পারদ চাপ।
উচ্চ রক্তচাপঃ- (ধাপঃ-১) ১৪০-১৫৯ অথবা ৯০-৯৯ মি.লি পারদ চাপ।
উচ্চ রক্তচাপঃ-(ধাপঃ-২)>১৬০ অথবা ১০০ মি.লি পারদ চাপ।
আশা করি, ব্লাড প্রেসার মাপার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা প্রাথমিক ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও পারিপার্শ্বিক আরো কিছু বিষয় আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং আপনার প্রিয়জনদের পড়ার সুযোগ করে দিন।