সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) -কে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। গতকাল মধ্যরাতে ফিফার ওয়েবসাইট থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়।
এতে আরও জানানো হয়, ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এদিকে নিষেধাজ্ঞার ফলে অনিশ্চয়তায় মুখে পড়েছে আগামী অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ, যার আয়োজক দেশ হিসেবে ছিল ভারত।
ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল প্যাটেলের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া এবং ফেডারেশনের পরবর্তী নির্বাচন নিয়েই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তার সভাপতি পদের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও নতুন নির্বাচন না দেওয়ায় ভারতের আদালত এতে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রফুল প্যাটেলকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে সমস্যাটি সমাধানের জন্য এবছরের জুন মাসে ফিফা ও এএফসির একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যায়। যাদের মূল লক্ষ্য ছিল এআইএফএফ’কে এধরনের নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা করা।
কিন্তু, গত ৩ আগস্ট ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে একটি অন্তর্বর্তী সংস্থা গঠন করার সিদ্ধান্ত দেয় যা তৈরির কথা ছিল ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারদের একটি ভোটিং কমিটির সিদ্ধান্তের উপর।
তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে: আর সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বলে অ্যাখ্যায়িত করছে ফিফা। ফিফা মনে করে এই ঘটনা সত্যি হলে এআইএফএফ এর সাথে তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া নষ্ট হতে পারে।
তাই এসবের ফলসরূপ এআইএফএফ’কে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এর ফলে ভারতের নিজস্ব ফুটবল লিগগুলোর জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হলেও ভারতের ক্লাবগুলো এশিয়ান শীর্ষ লিগগুলোতে খেলতে বাধার মুখোমুখি হতে পারে।
পাশাপাশি ফিফার অধীনে কোন রকমের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবেনা ভারত এবং বিদেশি খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ভারতের আইএসএল, আই লিগ, আইডব্লিউএল -এর ক্লাবগুলো।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com