আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এর আগের ২ ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যে সিরিজ নির্ধারণ করে ফেলেছিল রোহিত শর্মা বাহিনীরা। তাই, এই ম্যাচটা অনেকক্ষাণি নিয়ম রক্ষার ম্যাচ ছিল ভারতের জন্য।
তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য মাঠে নেমেছিল ‘ম্যান ইন ব্লু’রা। শেষ ম্যাচে ভারতের দলে আসে ৪ পরিবর্তন। কেএল রাহুল, দিপাক হুডা, শারদুল ঠাকুর ও যুজবেন্দ্র চাহালের পরিবর্তে দলে জায়গা পান কুলদীপ যাদব, শ্রেয়াস আইয়ার, দিপাক চাহার ও শিখর ধাওয়ান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেও আসে ১ পরিবর্তন। আকিল হোসেনের বিপরীতে দলে জায়গা পান হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, রিশাভ পান্ত, ওয়াশিংটন সুন্দর, দিপাক চাহার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শাই হোপ, ব্রেন্ডন কিং, ড্যারেন ব্রাভো, শামারাহ ব্রুক্স, জেসন হোল্ডার, ফ্যাবিয়েন অ্যালেন, ওডিয়েন স্মিথ, আলজারি জোসেফ, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র, কেমার রোচ।
১ম ইনিংস:
ভারতের হয়ে ইনিংসের শুরু করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। প্রথম তিন ওভার দেখেশুনে খেললেও চতুর্থ ওভারে ঘটে বিপত্তি। একই ওভারে আলজারি জোসেফের শিকারে উইকেট হারাতে হয় রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির। এই দুইজনের বিদায়ের পর শিখর ধাওয়ানও বেশিক্ষণ ঠিকে থাকতে পারেননি। দশম ওভারের তৃতীয় বলে তিনিও মাত্র ১০ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন।
এরপর ভারতের হয়ে দলের হাল ধরেন দুই তরুণ ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশাভ পান্ত। ৩০তম ওভারে এসে এই দুইজনের ১১০ রানের বিশাল জুটি ভাঙেন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। এসময় রিশাভ পান্ত ৫৬ রান করে আউট হলেও অপর প্রান্ত ঠিকই সামলে রাখেন শ্রেয়াস আইয়ার। পরে, সূর্যকুমার যাদবের পর শ্রেয়াস আইয়ার, দিপাক চাহার, কুলদীপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দর, মোহাম্মদ সিরাজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন।
যার ফলে ৫০ ওভার শেষে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১১১ বলে ৮০ রান সংগ্রহ করেন শ্রেয়াস আইয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৮ ওভার করে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন জেসন হোল্ডার।
২য় ইনিংস:
২৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের মতোই ওপেনিংটা মোটেও ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ৫ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যারিবিয়ানরা। এসময় আউট হন শাই হোপ, ব্রেন্ডন কিং ও শামারাহ ব্রুক্স। এখানেই থেমে থাকেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসন্যানরা। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একে একে সাজ ঘরে ফেরেন ড্যারেন ব্রাভো, জেসন হোল্ডার ও ফ্যাবিয়েন অ্যালেন।
মাঝে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান দলের হয়ে কিছুটা আশার আলো দেখালেও, তিনিও বেশিক্ষণ ঠিকে থাকতে পারেননি। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে রোহিত শর্মার তালুবন্দি হয়ে নিকোলাস পুরান আউট হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচে হার ও হোয়াইটওয়াশ অনেকটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
এরপর ওডিয়েন স্মিথ ও হেইডেন ওয়ালশের ব্যর্থ চেষ্টার পর ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে আলজারি জোসেফের উইকেট শিকারের মাধ্যমে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৩৬ রান নেন ওডিয়েন স্মিথ। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট করে নিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও মোহাম্মদ সিরাজ।
৩ ম্যাচ ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার ৮০ (১১১) এবং সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (৯ উইকেট)।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
স্কোর:
ভারত – ২৬৫/১০ (৫০ ওভার)
শ্রেয়াস আইয়ার ৮০ (১১১) ; রিশাভ পান্ত ৫৬ (৫৪)
জেসন হোল্ডার ৪/৩৪ (৮ ওভার) ; আলজারি
জোসেফ ২/৫৪ (১০ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৬৯/১০ (৩৭.১ ওভার)
ওডিয়েন স্মিথ ৩৬ (১৮) ; নিকোলাস পুরান ৩৪ (৩৯)
মোহাম্মদ সিরাজ ৩/২৯ (৯ ওভার) ; প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৩/২৭ (৮.১ ওভার)