মুখে ঘা হলে করণীয় – আমাদের চলাফেরার অসাবধানতা, অনিয়ম কিংবা বদ খাদ্যাভাসের ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগের সংক্রমণ হয়। তার মধ্যে মুখের ঘা অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় দুই শতাধিক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখের ঘা’র দ্বারা। যেমন: এইডস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ইত্যাদি।
নাক, মুখ ও গলার সমস্যায় কার্যকরী (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!
তাই মুখে ঘা হলে করণীয় কি তা অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা উচিত।
মুখে ঘা হলে করণীয় কি ভিডিও তে দেখতে ক্লিক করুন এখানে
Table of Contents
মুখে ঘা কেন হয়
বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখে ঘা হতে পারে। যেমন:
- সাধারণত মুখের ভেতর কামড় লাগলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ ক্ষত থেকে পরবর্তীতে ঘা হতে পারে।
- তিনবেলা খাওয়ার পর ঠিকমত ব্রাশ না করলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে এবং তা মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মুখে ঘা হয়।
- খুব গরম পানীয় কিংবা শক্ত জাতীয় খাবার চাবানোর সময় মুখে কামড় লেগে ঘা হতে পারে।
- মরণব্যাধি বিভিন্ন রোগ যেমন: ক্যান্সার, এইডস এগুলোর কারণেও মুখে ঘা হয়।
- এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত ধুমপান করে এবং জর্দা দিয়ে পান খেয়ে থাকে তাদের মুখে ঘা হয়।
এ সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে মুখে ঘা হলে করণীয় কি তা জানতে হবে।
মুখে ঘা হলে কোন সমস্যাগুলো বেশি হয়
মুখে ঘা হওয়া অনেকের কাছেই প্রচন্ড কষ্টদায়ক একটি সমস্যা। সমস্যা হবেই বা না কেন! কিছু খেতে লাগলেই মুখ থেকে রক্ত ঝড়ে, মুখ জ্বালা-পোড়া করে, মুখ ফুলে যায়, আরো কত কি। ছোট-বড় প্রায় সবারই এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। এই রোগ হলে আমাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন:
- কিছুক্ষণ পরপর মুখে প্রচন্ড ব্যাথার সৃষ্টি হয়।
- কোন খাবার খেতে লাগলে মুখ জ্বালা- পোড়া শুরু করে।
- কোন খাবার খেতে লাগলে মুখ থেকে খারাপ রক্ত বা পুজ বের হয়। ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
>> সাফি ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জেনে নিন!
মুখে ঘা হলে করণীয়
এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ঘা দূর করতে বেশ কার্যকরী। আসুন জেনে নি:
- মুখের ঘা দূর করতে যষ্টি মধু বেশ উপকারী। ১ চা চামচ যষ্টি মধু দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর পর কুলি করুন এর উপকারিতা আপনি নিজেই টের পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল মুখের ঘা কমাতে সহায়তা করে। কারণ অ্যালোভেরায় রয়েছে প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন অ্যান্টিসেপ্টিক যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল দেহের যেকোন অংশের ঘা শুকাতে বেশ উপকারী।
- এক চা চামচ নারিকেল দুধের সাথে মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ সারাদিনে দুই থেকে তিনবার ক্ষত স্থানে লাগালে আপনার ক্ষত স্থান সেরে উঠবে।
- ১ গ্লাস পানিতে কয়েকটা তুলসি পাতা দিয়ে সারাদিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এ মিশ্রণ টি আপনার মুখের ঘা প্রতিরোধ করবে পাশাপাশি মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনবে।
- মুখের ঘায়ের ব্যাথা বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে মুখে বরফ বা ঠান্ডা পানি নিয়ে কুলকুচি করুন, এটি মুখের সংক্রমণ রোধে বেশ সহযোগিতা করে।
এছাড়া আপনার যদি অনবরত মুখের ঘা হতে থাকে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চিকিৎসা গ্রহণের পরও যদি মুখের ঘা ৩-৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয় অবশ্যই মাংসের টিসু বা বায়োপসি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
>> আখরোট এর নানাবিধ উপকারিতা জেনে নিন!
পরিসমাপ্তি
অতএব, মুখে ঘা হলে করণীয় সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া গেলো। মুখে ঘা হলে অবহেলা না করে এর উপযুক্ত চিকিৎসা অবশ্যই আপনাকে গ্রহণ করতে হবে । মনে রাখবেন বিভিন্ন কারণে আপনার মুখে ঘা হতে পারে তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!
মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া গেল লিখাটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে। এটা প্রায়ই হয়ে থাকে এবং খুব যন্ত্রনার।