লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার – বিভিন্ন অসুখের কারণে (বিশেষকরে হেপাটাইটিস) বা দীর্ঘস্থায়ী অ্যালকোহল পান করার কারণে লিভার (যকৃত) স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে সাধারণত লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়। সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত চিকিৎসার পরেও আর পূর্বের অবস্থায় ফেরৎ যায় না।
লিভার সুরক্ষাকারক (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!
তাই লিভার তার স্বাভাবিক কাজও করতে পারে না। লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার নির্ধারণে বেশ সচেতন থাকতে হয়। কারণ অনেক ধরণের খাবারের মাধ্যমেই তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়তে পারেন। আসুন বিস্তারিত জানি।
ভিডিওঃ লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার তালিকায় রাখবেন না এই খাবার!
Table of Contents
লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার
আপনি যদি সিরোসিস ডায়েট অনুসরণ করেন তবে অনেক খাবার এবং পানীয় রয়েছে যা আপনার জন্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তবে যে সমস্ত খাবারগুলো আপনার জন্য অনুমোদিত এবং যেগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ তার একটি বিবরণ দেওয়া হলো।
যেগুলো খাবেন:
ফল এবং সবজি তেল বা লবণ ছাড়া কাঁচা বা রান্না করে খেতে পারবেন। লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার হিসাবে বিশেষভাবে উপযোগী হচ্ছে ডিম বা ডিমের সাদা অংশ, রান্না করা মাছ, মুরগীর মাংস- অবশ্যই চামড়া ছাড়া, দই, বাদাম, শুকনা মটরশুটি ও শিমের পাতা, ওটস, বাদামী ভাত, জলপাই তেল, তাজা শাক, নিম্ন চর্বিযুক্ত দুধ, আদা, নারকেলের পানি ইত্যাদি।
>> লিভার ভালো রাখার উপায় সমূহ জেনে নিন!
এছাড়াও কিছু খাবার লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে যেমন- লিভার, ব্রকলি, জিনসেং, গাজর, সবুজ শাকসবজী, গ্রিন টি, হলুদ, এভাকাডো, লেবু, আপেল, অলিভ অয়েল, অ্যাসপারাগাস, ওয়ালনাট, জাম্বুরা, শস্যদানা (গম, বাদামী চাল, বার্লি), টমেটো ইত্যাদি।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
যেগুলো খাবেন না:
পাশাপাশি সিরোসিরে আক্রান্ত রোগীদের কিছু খাবার খাওয়া একম উচিৎ নয় যেমন- ফাস্ট ফুড বা ভাজাপোড়া টাইপের খাবার, রেড মিট, কাঁচা বা আংশিকভাবে কাঁচা মাছ, টিনজাত খাবার, প্রসেসড স্ন্যাকস, হট ডগ-সসেজ, টমেটো সস, পটেটো চিপস, কেক, ক্র্যাকার, পপকর্ন, পরিশোধিত সাদা আটার রুটি, সাদা ভাত।
আরও রয়েছে পাম ওয়েল, বিস্কুট, কেক, প্যানকেক, পেস্ট্রি, কুকিজ, পুডিং, কাস্টার্ড বা হিমশীতল মিশ্রণ, কেচাপ, সয়া সস, কফি, কোমল পানীয়, অ্যালকোহল ইত্যাদি। তাছাড়া এই ধরণের রোগীদের লবণ খাবার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, কোন অবস্থায় অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ঠিক নয়।
শেষ কথা
লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার এর বিষয়টি তাদের সুস্থ্য থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরোসিস রোগীদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা অনেকসময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। এর জন্য আপনাকে অনেক খাবারই পরিমানে বেশি বা কম খেতে হতে পারে।
ডায়েট লিস্টের প্রতি মনোযোগী হওয়ার মাধ্যমে লিভার আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন। যা আপনার শারীরিক অবস্থা ও জীবণযাত্রার মান উন্নয়ন এবং পরবর্তী জটিলতা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!