পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর পর্বের প্রথম ম্যাচে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৬তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পেশাওয়ার জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ। ক্যারিবিয়ান জনসন চার্লসের পরিবর্তে মুলতান সুলতান্সের একাদশে জায়গা পান রাইলি রুশো।
এর পাশাপাশি পেশাওয়ার জালমির দলেও আসে দুই পরিবর্তন। ওপেনার হাজরাতুল্লাহ জাজাই ও উসমান কাদিরের বিপরীতে জালমি দলে সুযোগ পেয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও হুসেইন তালাত।
১ম ইনিংস :
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মুলতান সুলতান্সের হয়ে এক দুর্দান্ত শুরু করেন দলের দুই ওপেনার শান মাসুদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ওভার থেকেই দুই ওপেনার মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন। যার ফলে পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে মুলতান সুলতান্স সংগ্রহ করে বিনা উইকেটে ৫৩ রান। তাদের ব্যাটিংয়ের এই ধারা চলতে থাকে পাওয়ার প্লের পরও।
১০ম ওভারের শেষ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান মাসুদ। এরপর, মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হলে শান মাসুদ ও রিজওয়ানের ৯৮ রানের জুটি ভাঙে। কিন্তু, মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলেও অপর প্রান্তে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন আরেক ওপেনার শান মাসুদ। এরপর, তিনিও ১৬তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের শিকারে পরিণত হন।
তারপর রাইলি রুশো ও টিম ডেভিডের ছোট ছোট সংগ্রহ এবং খুশদিল শাহ, আনোয়ার আলীর উইকেটের বিনিময়ে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে সর্বমোট ১৮২ রান সংগ্রহ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স মুলতান সুলতান্স। মুলতানের দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ বলে ৬৮ রান করেন শান মাসুদ এবং পেশাওয়ার জালমির হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট শিকার করেন শাকিব মাহমুদ, ওয়াহাব রিয়াজ ও সালমান ইরশাদ।
২য় ইনিংস :
পেশাওয়ার জালমির হয়ে ওপেনিং করেন কামরান আকমাল ও হায়দার আলি। ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই হোঁচট খায় পেশাওয়ার জালমি। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই জিম্বাবুয়েন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে সাজ ঘরে ফেরেন কামরান আকমাল। একই ওভারের শেষ বলে কামরান আকমালের পথেই হাঁটেন হায়দার আলি।
মাত্র ১ রান করে তিনিও আউট হন মুজারাবানির বলে। পাওয়ার প্লের শেষ বলে লিয়াম লিভিংস্টোন আউট হলে প্রথম ৬ ওভার শেষে পেশাওয়ার জালমির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান। মাঝখানে শোয়েব মালিক ও শারফেন রাদারফোর্ড দলের জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করলেও সফল হননি। তারা দুইজন আউট হওয়ার পর আর কোনো ব্যাটসম্যানই পেশাওয়ার জালমির হয়ে হাল ধরতে পারেননি। একে একে নিজেদের উইকেট মুলতান সুলতান্সের বোলারদের কাছে বিলিয়ে দিয়ে আসেন হুসেইন তালাত, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ উমর, বেন কাটিং ও সালমান ইরশাদ।
এর ফলে ইনিংসে আর ৩ বল বাকি থাকতেই পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে ৪২ রানের জয় তুলে নেয় মুলতান সুলতান্স। জালমির হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪০ রান সংগ্রহ করেন শোয়েব মালিক। মুলতানের হয়ে বোলিংয়ে ৩ উইকেট করে শিকার করেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও খুশদিল শাহ।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : শান মাসুদ [ ৬৮(৪৯) ]
স্কোর :
মুলতান সুলতান্স : ১৮২/৭ (২০ ওভার)
শান মাসুদ ৬৮ (৪৯) ; টিম ডেভিড ১৮ (৩৪)
ওয়াহাব রিয়াজ ২/৩৪ (৪ ওভার) ; সলামান ইরশাদ ২/৩৪ (৪ ওভার)
কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স : ১৪০/১০ (১৯.৩ ওভার)
শোয়েব মালিক ৪৪ (৩১) ; লিয়াম লিভিংস্টোন ২৪ (১৬)
ব্লেসিং মুজারাবানি ৩/১৮ (৪ ওভার) ; খুশদিল শাহ ৩/২৬ (৩.৩ ওভার)