গত দু’বছর অনুষ্ঠিত হয়নি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দুই বছর পর এবারে অষ্টম আসর চলছে। গত ২১শে জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলো আজকে। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেমিফাইনালের মতো এই ম্যাচেও ওপেনিংয়ে নামে লিটন দাস ও সুনীল নারাইন। গতম্যাচে দ্রুততম অর্ধশতক করা নারাইন এই ম্যাচেও বরিশালের বোলারদের উপরে চড়াও হয়েছিলেন। প্রথমেই মুজিব উর রহমানের এক ওভারে ১৭ রান নেন সুনীল।
এই ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেন। এবারে হাফ সেঞ্চুরি করতে খেলেন ২১ বল। পঞ্চম ওভারে মেহেদী হাসান বলে আসলে ছক্কা দিয়ে শুরু করেন। কিন্তু মেহেদীর ওভারেই উড়িয়ে খেলতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় নারাইনকে। বিদায়ের আগে ৫ টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ২৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন এই তারকা।
নারাইনের আগে লিটন দাস সাজঘরে ফিরেছিল। কিন্তু নারাইন ফেরার পরেই কুমিল্লা আর আগাতে পারেনা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। মাত্র ৯৫ রানে কুমিল্লার ৬ উইকেটের পতন হয়। নারাইনের ঝড়ো শুরুতে মাত্র ৬ ওভারেই রান ছিল ৭৩ কিন্তু নারাইনের পর আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি।
সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান রানা ও মঈন আলী ৫২ বলে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন মঈন আলী। অপরদিকে ২৭ বলে ১৯ রান করে আউট হন রানা। পরের বলে শহিদুল ইসলামের উইকেট নিয়ে এক ওভারেই দুটি উইকেট শিকার করেন শরিফুল।
BPL নিয়ে প্রশ্নত্তর
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫১ রান। বরিশালের পক্ষে দু’টি করে উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম ও মুজিব উর রহমান। সাকিব, ব্রাভো ও মেহেদী হাসান রানা শিকার করেন একটি করে উইকেট।
১৫২ রানের লক্ষ্যে নিয়ে মাঠে নামে বরিশাল। তবে শুরুটা ভালো হয়না বরিশালের। প্রথমেই ৭ বল খেলে শূন্য রানে আইট হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুনিম শাহরিয়ার। মুনিমের পর মাঠে নামে সৈকত আলী। মারকুটে ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বরিশালকে। ১১ টি চার ও ১ টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৫৮ রান করে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে।
সফকতের মতো মারকুটে ব্যাটিং না দেখালেও বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন ক্রিস গেইল। সাজঘরে ফেরার আগে ১ টি চার ও ২ টি ছক্কায় ৩১ বলে ৩৩ রান করেন এই ক্যারিবীয় তারকা। গেইলের আউটের পরে দলকে টানার ভার পড়ে সাকিব আল হাসানের উপরে। তবে ৭ বলে ৭ রান করেই ফিরতে হয় সাকিবকে।
শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ১৩ বলে ১৪ ও নাজমুল হোসেন শান্তর ১৫ বলে ১২ রান বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যায় কিছুটা। মাত্র ১ রান করে আউট হন ডোয়াইন ব্রাভো। ১৭তম ওভারে সুনীল নারাইন তার বোলিংয়ের মাধ্যমে দলকে লড়ায়ে ফেরায়।
শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। শহিদুল ইসলামের করা সেই ওভারে বাউন্ডারি ছাড়াই বরিশাল সংগ্রহ করে ৮ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫০ রান। মাত্র ১ রানের জন্য শিরোপা হারায় বরিশাল। তৃতীয়বারের মতো বিপিএলের মুকুট পায় কুমিল্লা।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস – কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ১৫১/৯ (২০)
সুনীল নারাইন ৫৭ (২৩), মঈন আলী ৩৮ (৩২), রনি ১৯ (২৭)
মুজিব ২/২৭, শফিকুল ২/৩১, ব্রাভো ১/২৬
ফরচুন বরিশাল – ১৫০/৮ (২০)
সৈকত আলী ৫৮ (৩৪), ক্রিস গেইল ৩৩ (৩১), নুরুল হাসান ১৪ (১৩)
নারাইন ২/১৫, তানভীর ২/২৫, মুস্তাফিজুর ১/৩০
ফলাফল – কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১ রানে জয়ী ।