শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় জেনে নিন!

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় – ফর্সা ত্বক কে না চায়! আমরা বড়রা তো বটেই, সেইসাথে আমরা চেষ্টা করি ছোট  সোনামণির ত্বকের যত্ন নিতে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুর ত্বক ফর্সা হয় পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ালে। তবে শুধুই খাদ্য নির্বাচনের উপর শিশুর ত্বক কেমন হবে তা খুব একটা নির্ভর করে না। 

নাক, মুখ ও গলার সমস্যায় কার্যকরী (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!

এটা নির্ভর বাবা মায়ের কাছ থেকে সন্তান কি জিন পেয়েছে তার ওপর। তবে আমাদের হাতে যেটুকু উপায় আছে সেটুকু আমরা প্রয়োগ করতেই পারি। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

আসুন দেখে নিই গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো খেলে শিশুর ত্বক ফর্সা হতে পারে। 

জাফরান দুধ:

অনেক মহিলাকে গর্ভাবস্থায় জাফরান দুধ খাওয়ানো হয়ে থাকে। অনেকের মতে, এই জাফরান দুধ গর্ভাবস্থায় কোন মহিলাকে খাওয়ালে তার বাচ্চা ফর্সা ত্বকের অধিকারী হবে। 

দুধ:

গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত দুধ পান করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ দুধ শিশুর শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দুধ বাচ্চার ত্বকও ফর্সা করে। 

ডিম:

অনেকের মতে, বাচ্চার ফর্সা ত্বক পেতে  গর্ভাবস্থায় নারীকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো উচিত তাহলে বাচ্চার ত্বক ফর্সা হবে। 

ধারণা মতে, নারিকেলের সাদা অংশ গর্ভের শিশুর ত্বক ফর্সা করে। তবে একটি জিনিস মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় নারীকে অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়ানো উচিত নয়।  খেতে হবে পরিমাণ মতো।

>> কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা – নাকি ক্ষতি কোনটি বেশি?

টমেটো:

টমেটো তে রয়েছে লাইকোপেন। যা ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফলে ক্ষতিকর সূর্যের রশ্নি  থেকে আমাদের ত্বক সুরক্ষিত থাকে। তাই বলা হয় যে, গর্ভবতী মহিলা টমেটো খেলে তার শিশুর ত্বক ফর্সা হবে। 

>> টমেটোর উপকারিতা এবং এর ঔষধি-গুণ জেনে নিন!

কমলা:

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়  হিসেবে দীর্ঘকাল থেকে অনেকেই কমলার ব্যবহার করে আসছে। কারণ কমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শিশুর শরীর গঠনে অপরিহার্য। এবং এটাও বলা হয় যে গর্ভাবস্থায় মহিলাকে কমলা খাওয়ালে শিশুর ত্বক উজ্জল হয়। 

শিশুর ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়াও আবশ্যক তাই চলুন জেনে নিই কিভাবে শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

যেভাবে আপনার শিশুর ত্বকের যত্ন নিবেন:

জন্মের পর শিশুর ত্বকে গ্রাইসড এবং সাদা ভার্সিক্স নামক এক ধরনের মোমের মত প্রলেপ থাকে। যা শিশুর জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে ঝড়ে পড়ে। এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেয় এটা প্রাকৃতিক। 

>> শিশুর নাম রাখার আগে নামের অর্থ জেনে নিন!

তবে সময়টা শিশুর ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনে শিশুর ত্বকে সরিষার তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে বাচ্চার ত্বক মসৃণ হবে। 

অতিরিক্ত স্নান করানো শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এতে শিশুর ত্বকের প্রাকৃতিক তেল গুলো বের হয়ে যায় ফলে ত্বকে শুস্কতা ও চুলকানির সৃষ্টি হয়। সুতরাং সপ্তাহে অন্তত ৪ বার শিশুকে স্নান করানো যাবে।

শিশুর ত্বকে পাউডার লাগানোর পূর্বে সর্তক থাকবেন। শিশুর ত্বক খুব কোমল হয় তাই এমন কোন পাউডার ব্যবহার করবেন না যেগুলোতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল দেওয়া থাকে। বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে এটা বাচ্চার ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

>> ভিটামিন বি জাতীয় খাবার সমূহের নাম জেনে নিন!

বাচ্চার ডায়পার ব্যবহারে একটু সর্তক হবেন। খুব বেশি টাইট ও নোংরা  ডায়পার বাচ্চাকে পড়ানো যাবে না। এতে বাচ্চার ত্বকে লালচে দাগ পড়বে, যা থেকে বাচ্চার চুলকানির সমস্যা হতে পারে। 

পরিসমাপ্তি:

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো আপনার জানা উচিত। যেমন: শিশুর পুষ্টি, শিশুর ঠিকভাবে বেড়ে ওঠা, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এমন সকল খাদ্য খাওয়ানো ইত্যাদি। এর মধ্যে কোনো কিছু অস্বাভাবিক মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top