স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার – বর্তমান বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক। স্ট্রোকের জন্য দায়ী হলো অনিয়মিত জীবনযাপন, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস। পাশাপাশি ধুমপান, অতিরিক্ত ওজন এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের কারণেও স্ট্রোকের প্রবনতা দিন দিন বাড়ছে। তাই আসুন স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা যাক।
হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!
Table of Contents
স্ট্রোকের লক্ষণ
স্ট্রোক খুবই পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। স্ট্রোক যে কোন বয়সে হতে পারে। তাই স্ট্রোকের লক্ষন গুলি বুঝতে পারা অত্যন্ত জরুরী। নিচে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলো।
হাত ও পা অবশ হওয়া:
স্ট্রোক হলে এক পাশের হাত অথবা পা এমনকি উভয় পাশের হাত পা অবশ বা দুর্বলতা অনুভূত হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে হাত অথবা পা ওপরের দিকে তুলে রাখতে হবে।
মুখ বেঁকে যাওয়া:
স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ হলো মুখ বেঁকে যাওয়া। রোগীর মুখের এক পাশ বেঁকে গেলে বা অসারতা অনুভব করলে তাকে হাসতে বলুন। যদি হাসতে না পারে তবে ধরে নিতে হবে স্ট্রোক হয়েছে। এ অবস্থায় রোগী কে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।
শরীরের ভারসাম্যহীনতা:
স্ট্রোকের রোগীর শরীরে ভারসাম্য থাকে না। রোগী কে হাঁটতে বললে দেখা যাবে সে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। এ অবস্থায় রোগীর পাশে একজন কে থাকতে হবে, নয় তো রোগী ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যেতে পারে।
মাথা ব্যথা:
স্ট্রোকের রোগীর কোন কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথা ব্যথা অনুভূত হয়। সাধারণত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক হলে মাথা ব্যথা অনুভূত হয়।
কথা বলতে না পারা:
স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী কথা বলতে অসুবিধা হয়। রোগী কে একই প্রশ্ন বার বার করলে দেখা যায় রোগী কথা বলতে পারছে না। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
স্ট্রোকের প্রতিকার
মস্তিষ্কের রক্ত নালীর একটি রোগ হল স্ট্রোক। রক্তের শিরায় যখন রক্ত জমাট বেধে যায় তখন মস্তিষ্কের ভেতরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় ফলে স্ট্রোক হয়। তবে এর প্রতিকার অবশ্যই আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।
- স্ট্রোক হতে মুক্তি পেতে হলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি গুল,জর্দা, ধুমপান, মাদক ও এ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস বর্জন করতে হবে।
- নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ব্যায়াম স্ট্রোক প্রতিরোধের কার্যকর পন্থা। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এবং সপ্তাহে ৫ দিন হাটার অভ্যাস গড়ে তলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাক সবজি ও সতেজ ফলমূল খাবার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক টা কমে যায়।
- খাদ্য তালিকায় চর্বি ও শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভাত,লবন,সাদা চিনি ও ময়দা এবং গরুর দুধ পানের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার মাধ্যমে মৃত্যু ঝুঁকি এবং স্ট্রোক-পরবর্তী সময়ে অনেক টা কমিয়ে আনা সম্ভব।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
শেষ কথা
অতএব জানতে পারলাম, স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা আবশ্যক। স্ট্রোক হলে ভয় পাবার কিছু নেই। দ্রুত চিকিৎসা নিলে স্ট্রোকজনিত সমস্যায় মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। সুতরাং স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে সময়মতো চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।