কুশল পেরেরার দূর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতেও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে নি।
তাই স্বাগতিক বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮৯ রানে। এর ফলে ৯৭ রানের জয় পেয়ে প্রথম হোয়াইটওয়াশ থেকে নিজেদের বাঁচালো লঙ্কানরা।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে লঙ্কান পেসার দুশমান্থ চামিরা একাই ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। শুরুটা ভাল হয় নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১ রান করে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাসের বদলি হিসেবে মাঠে নামা নাঈম শেখ।
সাকিব আল হাসান ৪ রান করে চামিরার বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন মেন্ডিসের হাতে। এই সিরিজের ব্যাট হাতে তেমন আলো ছড়াতে পারেন নি তিনি।
তামিম ইকবাল ১৭ রান করে চামিরার বলে আউট হয়েছেন ডিকওয়েলার হাতে ক্যাচ দিয়ে। তারপর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে বেশ ভালোই খেলছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। তবে মুশফিক ব্যক্তিগত ২৮ রানে রামেশ মেন্ডিসকে বিগ শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ডি সিলভার তালুতে।
এর পর মাহমুদউল্লাহকে সাথে নিয়ে ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মোসাদ্দেক। এটি তাঁর তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। হাফ সেঞ্চুরির পর লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মোসাদ্দেক।
আফিফ হোসেন ১৬ রান করে বিদায় নেন। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ (০) ও তাসকিন আহমেদ (০) ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। মাহমুদউল্লাহ ৬৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা- ২৮৬/৬ (৫০-ওভার) (পেরেরা ১২০,গুনাথিলাকা ৩৯, মেন্ডিস ২২, নিশাঙ্কা ০, ধনঞ্জয়া ৫৫*, হাসরঙ্গা ১৮; তাসকিন আহমেদ ৪/৪৬)
বাংলাদেশ- ১৮৯/১০ (৪২.৩-ওভার) (তামিম ইকবাল ১৭, নাঈম শেখ ১, সাকিব আল হাসান৪, মুশফিকুর ২৮, মোসাদ্দেক ৫০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৩; চামিরা ৫/১৬)
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com