বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের টি টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে টাইগাররা। হোয়াইট ওয়াশের লক্ষ্যে আজ মাঠে নামে সাকিব, লিটনরা।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশরা। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিংয়ে নামে লিটন দাস ও রনি তালুকদার। শুরুটা অসাধারন হয় বাংলাদেশের। প্রথম থেকেই দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি ভাঙে রনি তালুকদার। ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে আদিল রশিদের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয় আদিল রশিদ। এরপর লিটনকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসে নাজমুল হোসেন শান্ত।
লিটন ও শান্তর অসাধারণ পারফরমেন্সে দ্রুত এগোতে থাকে বাংলাদেশ। তাদের জুটি কোনভাবেই ভাঙতে পারছিল না ইংলিশ বোলাররা। দ্রুতই হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেয় লিটন দাস। হাফ সেঞ্চুরি করে আরও আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে লিটন দাস।
অবশেষে লিটনকে থামাতে সক্ষম হয় ক্রিস জর্ডান। ১ টি ছক্কা ও ১০ টি চারে ৫৭ বলে ৭৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ১৭তম ওভারে জর্ডানের বলে ফিলিপের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে লিটন দাস।
অপর প্রান্তে অসাধারণ সাপোর্ট দিয়ে যাওয়া শান্তও রান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল দ্রুত। লিটন আউট হলে শান্তকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসে সাকিব আল হাসান। তবে লিটন আউট হওয়ার পর আর রান তেমন এগোয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৮ রান। ৩৬ বলে ৪৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল লিটন দাস। ইংল্যান্ডের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করে আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে নিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাঠে নামে দাউদ মালান ও ফিলিপ সল্ট। তবে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই ফিলিপ সল্টকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরায় তানভীর ইসলাম। এরপর মালানকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসে জস বাটলার। তাদের দুজনের অসাধারণ জুটিতে দ্রুত রান এগোতে থাকে ইংল্যান্ডের। মালানের হাফ সেঞ্চুরির সাথে সাথে দলীয় শত রানও পূর্ন করে ফেলে ইংল্যান্ড।
অবশেষে তাদের থামাতে সক্ষম হয় মুস্তাফিজুর রহমান। ১৪তম ওভারে বলে এসে প্রথম বলেই মালানকে সাজঘরে ফেরায় মুস্তাফিজ। ৪৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে মালান। পরের বলেই ৩১ বলে ৪০ রান করা জস বাটলার রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে।
এতেই ম্যাচের দিক ঘুরে যায়। বেন ডাকেট ও মঈন আলী দলের হাল ধরে। তবে তেমন সুবিধা করতে পারেনি তারা। ১৭তম ওভারে ১০ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে তাসকিনের বলে মিরাজের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে মঈন আলী। একই ওভারের শেষ বলে ১১ বলে ১১ রান করা বেন ডাকেটকে বোল্ড করে তাসকিন। এতে জয়ের থেকে অনেক দূরে সরে যায় ইংল্যান্ড।
১৯তম ওভারে স্যাম কারেনকে তুলে নেয় সাকিব। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দু’টি উইকেট শিকার করে তাসকিন আহমেদ।
এই জয়ের মাধ্যমে ৩ – ০ ব্যবধানে সিরিজ জয় পায় বাংলাদেশ। এই প্রথম ইংল্যান্ডকে বাংলা ওয়াশ করার স্বাদ গ্রহন করলো বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ – ১৫৮/২ (২০)
লিটন দাস ৭৩ (৫৭)
নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৭ (৩৬)
রনি তালুকদার ২৪ (২২)
ক্রিস জর্ডান ১ – ২১ – ৩
আদিল রশিদ ১ – ২৩ – ৪
ইংল্যান্ড – ১৪২/৬ (২০)
দাউদ মালান ৫৩ (৪৭)
জস বাটলার ৪০ (৩১)
ক্রিস ওয়াকস ১৩ (১০)
তাসকিন আহমেদ ২ – ২৬ – ৪
মুস্তাফিজুর রহমান ১ – ১৪ – ৪
ম্যান
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছে লিটন দাস।
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত।