বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে আজকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
হেগলি ওভালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অসাধারণ শুরু করে পাকিস্তান। ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের জুটিতে অনেকটা এগিয়ে যায় পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের বোলারদের বেশ চাপে রেখেছিল রিজওয়ান।
অসাধারণ শুরু করলেও খুব বেশীক্ষণ রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে পারেনি মোহাম্মদ রিজওয়ান। অষ্টম ওভারে বল হাতে আক্রমণে আসে মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম বলেই তুলে নেয় বাবর আজমকে। মেহেদী হাসানের বল সুইপ করতে গেলে মুস্তাফিজুর রহমানের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে অধিনায়ক বাবর আজম। রিজওয়ানের সাথে ৫২ রানের পার্টনারশিপের সাথে ব্যক্তিগত ২৫ বলে ২২ রানের সংগ্রহ নিয়ে সাজঘরে ফিরে বাবর আজম।
বাবর আজম ফিরলে রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামে শান মাসুদ। প্রথম উইকেট পেয়ে বোলিং একটু ভালো শুরু করলেও ছন্দ হারিয়ে ফেলে খুব দ্রুতই। দলকে দ্রুত এগিয়ে নিতে থাকে রিজওয়ান ও মাসুদ। শেষ পর্যন্ত দলীয় ৯৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান আহমেদের হাত বন্দি হয়ে ২২ বলে ৩১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে শান মাসুদ।
এরপর একপাশ মোহাম্মদ রিজওয়ান আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। শান মাসুদের পরে ক্রিজে এসে ৬ বলে মাত্র ৬ রানের ইনিংস খেলে তাসকিনের শিকার হয়ে বিদায় হায়দার আলী। ইফতিখার আহমেদও ৮ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেয় আফিফের হাত বন্দি হয়ে। ৪ বলে ৪ রান করে আসিফ আলী তাসকিনের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে।
শেষপর্যন্ত রিজওয়ানের ৫০ বলে ৭৮ রানের বিশাল ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৭ রান। ৫ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিল মোহাম্মদ নওয়াজ এবং ৫০ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিল মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট শিকার করে তাসকিন আহমেদ। হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ শিকার করে একটি করে উইকেট।
১৬৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশে। ওপেনিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান নেমে ধীরগতিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকে। তবে ওপেনিং জুটি বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি। শর্ট বলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আসিফ আলীর হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে মেহেদী হাসান। এতে ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ১০ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান আউট হলে সাব্বির রহমানও খুব বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। মিরাজ আউট হওয়ার পরের ওভারেই ১৮ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয় সাব্বির।
দুই ওপেনার আউট হলে দলের হাল ধরে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। লিটন ও আফিফ ধীর গতিতে ব্যাটিং শুরু করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে হায়দার আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে লিটন দাস। লিটন দাস আউটের পরের ওভারেই আফিফ হোসেনকেও তুলে নেয় শাহনেওয়াজ দাহানি। ২৩ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে আফিফ আউট হলে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। এক প্রান্তে ইয়াসির আলী প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ছিল না কেউ। মোসাদ্দেক হোসেন গোল্ডেন ডাকে আউট হলে ক্রিজে আসে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৯ বলে ৮ রানের ইনিংস খেলে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে সোহানও। এরপর ইয়াসির আলী ছাড়া ছাড়া দুই সংখ্যার স্কোরের দেখা কেউই পায়নি।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.comশেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারে ইয়াসির আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এতে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৬ রান। ২১ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল ইয়াসির আলী। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট শিকার করে মোহাম্মদ ওয়াশিম। দুইটি উইকেট শিকার করে মোহাম্মদ নওয়াজ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান – ১৬৭/৫ (২০)
মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৮
শান মাসুদ ৩১
বাবর আজম ২২
তাসকিন আহমেদ ২/২৫
মেহেদী হাসান মিরাজ ১/১২
বাংলাদেশ – ১৪৬/৮ (২০)
ইয়াসির আলী ৪২
লিটন দাস ৩৫
আফিফ হোসেন ২৫
মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩/২৪
মোহাম্মদ নওয়াজ ২/২৫
