আসরের ২৯তম ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্লে-অফ নিশ্চিত করার জন্য মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। প্লে-অফ নিশ্চিত করতে হলে এই ম্যাচ জিততে হতো অথবা কম ব্যবধানে হারলেও এলিমিনেটর ম্যাচ নিশ্চিত করতো ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
অন্যদিকে, আসরে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৮ ম্যাচে জয় লাভ করে আগেই কোয়ালিফায়ার-১ এ খেলা নিশ্চিত করেছে মুলতান সুলতান্স। তাই, এই ম্যাচটি তাদের জন্য শুধুমাত্র নিয়মরক্ষার ম্যাচ ছিল। ম্যাচে টসে জিতে প্রথমেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইসলামাবাদ অধিনায়ক আসিফ আলী।
১ম ইনিংস :
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। ওপেনিং করতে নেমেই ইনিংসের ৩য় ওভারেই ৮ বলে মাত্র ২ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন মোহাম্মদ হুরায়রা। তারপর, দলের আরেক ওপেনার নাসির নওয়াজ এবং বিদেশি অলরাউন্ডার লিয়াম ডসন দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন।
কিন্তু, লিয়াম ডসনও পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ১০ বলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। ফলে, পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২ উইকেটের বিনিময়ে ৪১ রান। পাওয়ার প্লে’র পরে নাসির নওয়াজও ইনিংসের ৮ম ওভারে ১৭ বলে ১৪ রান করে ফিরলে, আজম খানও আর বেশিক্ষণ মাঠে স্থায়ী হতে পারেননি। তিনিও ১৮ বলে মাত্র ৮ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন।
এরপর, ইসলামাবাদ নিয়মিত বিরতিতে দলের অধিনায়ক আসিফ আলী, দানিশ আজিজ এবং জাফর গোহারদের উইকেট হারাতে থাকলেও মোহাম্মদ মুসার ২১ বলে ২৬ রানের ছোট একটা ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানের ছোট্ট একটা পুঁজি পায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে দলের কেউই তেমন বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। মুলতান সুলতান্সের হয়ে ৪ ওভার সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে শিকার করেন ইমরান তাহির এবং আসিফ আফ্রিদি।
২য় ইনিংস :
প্লে-অফে জায়গা করে নিতে হলে বড় ব্যবধানে হারা যাবে না এবং হারলেও মুলতান সুলতান্সকে ১৬.১ ওভারের আগে লক্ষ্য তাড়া করতে দেওয়া যাবে না, তাহলেই ইসলামাবাদ ইউনাইটেড এলিমিনেটর ম্যাচে খেলা নিশ্চিত করবে।
১০৬ রানের ছোট লক্ষ্য প্রতিহত করতে নামে ইসলামাবাদ। মুলতান সুলতান্সের হয়ে লক্ষ্য তাড়া করতে ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শান মাসুদ। কিন্তু, শুরুতেই হোঁচট খায় মুলতান। পাওয়ার প্লে’র ৩য় ওভারের শুরুতেই ওপেনার শান মাসুদ ৯ বলে মাত্র ৪ রান করেই সাজ ঘরে ফিরলে তার বদলি হিসেবে নামা আমের আজমাতও একই ওভারের চতুর্থ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরেন।
এরপর, খুশদিল শাহও বেশিক্ষণ মাঠে টিকে থাকতে পারেননি। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে মুলতান সুলতান্স সংগ্রহ করে ৩ উইকেটের ব্যবধানে ৩১ রান। ইনিংসের ৮ম ওভারে দলের বিদেশি ব্যাটসম্যান টিম ডেভিড ১২ বলে ১৭ রান করে জাহিদ মাহমুদের শিকার হয়ে ফিরলে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরেক ইংলিশ অলরাউন্ডার ডেভিড উইলে৷ দুইজনে মিলে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এবং ইনিংসের ১৭তম ওভারের শুরুর দিকে দুই জনের পঞ্চাশ রানের জুটি পূরণ হয়।
প্রশ্ন করুন এখানে
এরপরের ওভারের শেষ বলে মুলতান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন এবং ১৬ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে দলকে আসরের ৯ম জয় এনে দেন। একই সাথে পিএসএলে এক আসরে ৯ জয়ের রেকর্ড গড়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের মুলতান সুলতান্স। মুলতানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন অপরাজিত ছিলেন দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ৪ ওভার করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে নেন দলের অলরাউন্ডার লিয়াম ডসন। ইসলামাবাদ এই ম্যাচ হারলেও নেট রান রেটের ভিত্তিতে এলিমিনেটরের খেলা নিশ্চিত করে দলটি এবং তারা এলিমিনেটর নিশ্চিত করায় পিএসএল সপ্তম আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইসলামাবাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করা কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্সের।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : ইমরান তাহির [ ২/৮ (৪ ওভার) ]
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড : ১০৫/৭ (২০ ওভার)
মোহাম্মদ মুসা ২৬(২১); লিয়াম ডসন ২২(১১)
ইমরান তাহির ২/৮ (৪ ওভার); আসিফ আফ্রিদি ২/২১ (৪ ওভার)
মুলতান সুলতান্স : ১১১/৪ (১৭.২ ওভার)
মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫১(৪২); ডেভিড উইলে ২৮(৩২)
লিয়াম ডসন ৩/১৬ (৪ ওভার); জাহিদ মাহমুদ ১/২০ (৪ ওভার)
