এইডস প্রতিরোধের উপায়

এইডস কেন হয়? এইডস এর লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় জানুন!

এইডস প্রতিরোধের উপায় আধুনিক বিশ্বে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। অবাধ যৌনতা, ইঞ্জেকশনে মাদক সেবন এবং হাসপাতালে একই সুঁচের একাধিক ব্যবহার এইডস ছড়ানোর অন্যতম কারণ। 

এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি সমাজে তিরষ্কৃত হয়। ফলে এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই সেবা শুশ্রূষার অভাবে প্রাণ হারায়। যেহেতু এইডস রোগের ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয়নি সেহেতু এটি প্রতিরোধ করার উপায় আমাদের জেনে রাখা দরকার। 

এইডস কী ও এর উৎপত্তি

এইডস এক ধরনের ভাইরাস যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। একজন এইডস আক্রান্ত মানুষ তাই প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এবং তার শেষ পরিণতি হয় মৃত্যু। 

ভিডিও তে এইডস এর লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় দেখতে এখানে ক্লিক করুন!

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এইডস এর উৎপত্তি জানতে একটি গবেষণা চালান। গবেষণায় তারা প্রমাণ পান যে ১৯২০ সালে মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো রাষ্ট্রের রাজধানী কিনসাসা শহরে সর্বপ্রথম এইডস ধরা পড়ে৷ এইডস ধরা পড়ার তিন দশক পরেও হাজারো মানুষের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে তারা এইডস এর উৎপত্তির হদিস পান। 

এইডস কেন হয়? 

এইডস এর জন্য দায়ী এইচ আই ভি নামের ভাইরাসটি। এটি মানুষের রক্ত ও অন্যান্য দেহরসেই একমাত্র বেঁচে থাকতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক মিলন অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত কোনো কারণে শরীরে প্রবেশ করালে এইডস আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। 

এছাড়াও আরো বেশকিছু কারণে এইডস হতে পারে। যেমন: 

  • একই সিরিঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তি ও অপর একটি ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করলে। 
  • নবদম্পতির মধ্যে কেউ একজন শরীরে এই ভাইরাস বহন করলে। 
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একই সুঁচ ব্যবহার করে ড্রাগ সেবন করলে। 
  • প্রসূতি মায়ের শরীরে এইডস ভাইরাস থাকলে নবাগত শিশুও এতে সংক্রমিত হবে। 
  • ঝুঁকিপূর্ণ যৌনমিলনের ফলে। 
  • মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্ত নিলে তা পরীক্ষা না করলে। 

এইডস প্রতিরোধের উপায় 

এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো এইডস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এইডস প্রতিরোধে মানুষকে অনেকাংশেই সচেতন করতে পেরেছে। 

নিম্নে এইডস প্রতিরোধের উপায় হিসেবে কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো

  • শিক্ষা ও সচেতনতা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার৷ এক্ষেত্রে সমাজের মানুষের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। 
  • ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস প্রতিরোধ হয়। কেননা কোনো ধর্মই অবাধ যৌনমিলন এবং মাদকসেবিদের পশ্র‍য় দেয় না। 
  • যৌনতা সম্পর্কে সুষ্ঠু জ্ঞান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস করে চলেছে। 
  • ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নেওয়া বন্ধ করতে হবে। কেননা এতে ঝুঁকি থেকেই যায়।
  • হাসপাতালের সুঁচ ও সিরিঞ্জ একবার ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ডাক্তারদেরও সচেতন হতে হবে। 
  • প্রেগন্যান্সি টেস্টের সময় অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে। রক্তে এইচ আই ভি ভাইরাস থাকলে বাচ্চা না নেওয়ায় উত্তম। 
  • বিভিন্ন প্রচার ও সভা সমাবেশের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। 

এইডস এর লক্ষণ

এইচ আই ভি ভাইরাস প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত মানুষের শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। এরপর আস্তে আস্তে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। লক্ষণগুলো নিম্নরূপ। 

  • ঘন ঘন জ্বর হওয়া এবং এক থেকে দেড় মাস একটানা জ্বর। 
  • জ্বরের পাশাপাশি গলায় অস্বাভাবিক ব্যথা হওয়া। এবং খাবার খেতে সমস্যা দেখা দেওয়া। 
  • গলায় ও মাথায় র‌্যাশ দেখা দেয় প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যে। এবং তীব্র প্রদাহের সাথে রোগী অনবরত ঘামতে থাকে। 
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে হরহামেশাই রোগী অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। 
  • ঘুমের মধ্যেই প্রতিনিয়ত ঘাম হয়। 
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

শেষ কথা

অতএব এইডস প্রতিরোধের উপায় জেনে সেগুলো ঠিকমতো মেনে চললে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। আমাদের উচিত ছোট বড় সকলের মাঝেই এইডস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং নিজে সচেতন থাকা।

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top