ঔষধের নাম ও কাজ

প্রয়োজনীয় সকল ঔষধের নাম ও কাজ সহ সকল তথ্য জানুন!

ঔষধের নাম ও কাজ জানা থাকলে কঠিন বিপদের সময় ডাক্তারের সাময়িক অভাব পূরণ করতে পারেন আপনিও। সাধারণত হোমিও, এলোপ্যাথি ও আয়ুর্বেদি এই তিন ধরনের ঔষধ আমাদের চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আজকের আলোচনায় থাকছে প্রয়োজনীয় আয়ুর্বেদ, এলোপ্যাথি ও হোমিও ঔষধের কার্যকরীতা ও এদের মূল্য নিয়ে। যেগুলো জানা থাকলে যেকোনো ঔষধ ব্যবস্থপনা হবে খুবই সহজ।

সতর্কতা : তবে মনে রাখবেন ঔষধের নাম ও কাজ জানলে ঘরে বসেই কিছু ওষুধে অসুখ সারতে পারে। এসব ওষুধ বাসায় রাখা যেতে পারে। তবে অসুখ ছোট হোক বা বড় তার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

Table of Contents

ঔষধের নাম ও কাজবিভিন্ন রোগের প্রয়োজনীয় ঔষধ 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য  এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে। যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রাণিদেহের অথবা টিস্যুর জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম ঔষধ। 

আফিম ব্যথা কমায় 

ব্যথা কমানোয় আফিমের প্রয়োগ শুরু হয়েছিল চার হাজার বছরেরও বেশি আগে৷ পপি গাছে মরফিন এবং কোডেনের মতো ঔষধ তৈরির উপাদান রয়েছে৷

ব্যথা নিরোধে উইলো গাছের ছাল

চার হাজার বছর আগে মিশর এবং সুমেরু অঞ্চলে প্রথম দেখা যায় ব্যথা কমানোায় এই প্রজাতির উইলোর ছালের প্রয়োগ৷ গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের উইলোর ছালে রয়েছে সালিসিন নামের একটি উপাদান, যা এক সময় অ্যাসপিরিন তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিল৷

পারকিনসন্সের ঔষধ ভেলভেট বিনস থেকে 

চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় কাঁপুনি রোগই পারকিনসন্স রোগ৷ ভেলভেট বিন নামের এই বুনো ফলটিতে যে সত্যিই পারকিনসন্স রোগের ওষুধ লেভোডোপার উপাদান রয়েছে তা এখন গবেষণালব্ধ তথ্য৷

হথর্ন বা কাঁটাগাছ হৃদ রোগের চিকিৎসায়

রক্তচাপ কমানোয় হথর্ন, এক ধরনের কাঁটা গাছের বিস্ময়কর কার্যকারিতার খবর৷ এর উপাদান হৃদরোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে৷ হথর্নের এই গুণের কথা অবশ্য গ্রিক চিকিৎসক ডিয়োস্কোরিডস প্রথম শতাব্দিতে এবং চীনা চিকিৎসক ট্যাং-বেন-চাও সপ্তম শতাব্দিতেই জানতে পেরেছিলেন৷

টাফনিল

এটি মাইগ্রেন আক্রমণের চিকিৎসায় সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধ। টাফনিল আপনার সব রকম মাথা ব্যথার অবসান ঘটাবে।

এটি গ্রহণের ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ব্যাথার পরিমান অর্ধেকে নামিয়ে নিয়ে আসে। ৩০ বা ৪৫ মিনিট পর ব্যাথা ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনবে। শুধু মাথা না, শরীর ব্যাথা, দূর্বলতা ও বমিভাব কমিয়ে আনবে।

ভারগন

এমন কিছু মানুষ আছে যাদের গাড়িতে অভ্যাস একেবারেই নেই। আবার সামান্য ভ্রমণ মাথা ঘুরান তার পর অসম্ভব বমি। তখন যদি একটি ভারগন নেয়া যায় তাহলে আর বমি হবার সম্ভবণা থাকবে না।  

ডুরালাক্স ট্যাবলেট বা সিরাপ

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে স্বস্তি পেতে ডুরালাক্স গ্রহন করতে পারি। এতে রয়েছে “বিসাকডিল-৫ মিলি”। কার্যকারী ফলাফল পেতে সিরাপ সেবন করবেন। তবে এগুলো থেকে ভেজষ পাতা অনেক উত্তম।  

ইনো/ওমিপ্রাযল

অনেকের বুকে জালাপোড়া বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়। পাকস্থলীতে হাইড্রক্লোরিক এসিডের পরিমান বেড়ে গেলে এ সমস্যা বেশী হয়, অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়। তখন উপরোক্ত যে কোনো ট্যাবলেট খেলে ব্যাথা অনেকটাই নিরাময় হয়। 

এছাড়া দ্রুত ফল পেতে পানিতে মিশিয়ে “ইনো” খাওয়া যেতে পারে, এরপর ও যদি ব্যাথা না কমে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

ফ্লাজিল

ডাইরিয়া ও ডিসেন্ট্রি থেকে মুক্তি দেয় ফ্লাজিল। ফুড পয়জনিং এমনকি গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যার কারণেও ডাইরিয়া কিংবা ডিসেন্টি হতে পারে। 

এমন সময় একটি ফ্লাজিল ট্যাবলেট ও একটি গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেটে খেতে পারেন। এর প্রতিটি ট্যাবলেটে রয়েছে মেট্রোনিডাজল “২০০/৪০০ এমজি”। 

ফেক্সোফেনাডিন

অ্যালার্জি প্রতিষেধক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। নাক বন্ধ, বারবার হাঁচি দেয়া ইত্যাদি সমস্যায় এই ট্যাবলেটটি খুবই কার্যকার। 

১০টি গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম ও কাজ 

Arsenicum  album :  

আর্সেনিকের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  মধ্যে  প্রচণ্ড  অস্থিরতা অর্থাৎ  রোগী  এক  জায়গায়  বা  এক  পজিশনে  বেশীক্ষণ  থাকতে  পারে  না।  এমনকি  গভীর  ঘুমের  মধ্যেও  সে  নড়াচড়া  করতে  থাকে।

ফল-ফ্রুট  খেয়ে (ডায়েরিয়া,  আমাশয়,  পেট ব্যথা  ইত্যাদি)  যে-কোন  রোগ  হলে  আর্সেনিক  হলো  তার  এক  নম্বর  ঔষধ।

Rhus  toxicodendron :  

রাস  টক্সের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  প্রচণ্ড  অস্থিরতা,  রোগী  এতই  অস্থিরতায়  ভোগে  যে  এক  পজিশনে  বেশীক্ষণ  স্থির  থাকতে  পারে  না,  রোগীর  শীতভাব  এমন  বেশী  যে  তার  মনে  হয়  কেউ  যেন  বালতি  দিয়ে  তার  গায়ে  ঠান্ডা  পানি  ঢালতেছে,  নড়াচড়া  করলে  অথবা  শরীর  টিপে  দিলে  তার  ভালো  লাগে  অর্থাৎ  রোগের  কষ্ট  কমে  যায়,  স্বপ্ন  দেখে  যেন  খুব  পরিশ্রমের  কাজ  করতেছে।  

Lycopodium  clavatum : 

লাইকোপোডিয়ামের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগের  মাত্রা  বিকাল  ৪-৮টার  সময়  বৃদ্ধি  পায়,  এদের  রোগ  ডান  পাশে  বেশী  হয়,  রোগ  ডান  পাশ  থেকে  বাম  পাশে  যায়,  এদের  পেটে  প্রচুর  গ্যাস  হয়,  এদের  সারা  বৎসর  প্রস্রাবের  বা  হজমের  সমস্যা  লেগেই  থাকে। এই ঔষধ সেবনে আরোগ্য হতে পারে। 

Bryonia  alba : 

ব্রায়োনিয়ার  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  ঠোট-জিহ্বা-গলা  শুকিয়ে  কাঠ  হয়ে  থাকে,প্রচুর  পানি  পিপাসা  থাকে,  রোগী  অনেকক্ষণ  পরপর  একসাথে  প্রচুর  ঠান্ডা  পানি  পান  করে,  নড়াচড়া  করলে  রোগীর  কষ্ট  বৃদ্ধি  পায়,  রোগীর  মেজাজ  খুবই  বিগড়ে  থাকে,  কোষ্টকাঠিন্য  দেখা  দেয়  অর্থাৎ  পায়খানা  শক্ত  হয়ে  যায়,   ব্রায়োনিয়া  ঔষধটি  নিউমোনিয়ার  জন্য  আল্লাহ্‌র  একটি  বিরাট  রহমত  স্বরূপ।

Belladonna :

তিনটি  লক্ষণের  উপর  ভিত্তি  করে  বেলেডোনা  ঔষধটি  প্রয়োগ  করা  হয়ে  থাকে,  যথা-উত্তাপ,  লাল  রঙ  এবং  জ্বালা-পোড়া  ভাব।  যদি  শরীরে  বা  আক্রান্ত  স্থানে  উত্তাপ  বেশী  থাকে,  যদি  আক্রান্ত  স্থান  লাল  হয়ে  যায় (যেমন- মাথা  ব্যথার  সময়  মুখ  লাল  হওয়া,  পায়খানার  সাথে  টকটকে  লাল  রক্ত  যাওয়া),  শরীরে  জ্বালা-পোড়াভাব  থাকে,  রোগী  ভয়ঙ্কর  সব  জিনিস  দেখে,  ভয়ে  পালাতে  চেষ্টা  করে,  অনেক  সময়  মারমুখী  হয়ে  উঠে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  জ্বরের  সাথে  যদি  রোগী  প্রলাপ  বকতে  থাকে,  তবে  বেলেডোনা  তাকে  উদ্ধার  করবে  নিশ্চিত।

Aconitum  napellus

যে-কোন  রোগই  হোক, যদি  হঠাৎ  শুরু  হয়  এবং  শুরু  থেকেই  মারাত্মকরূপে  দেখা  দেয়  অথবা  দুয়েক  ঘণ্টার  মধ্যে  সেটি  মারাত্মক  আকার  ধারণ  করে,  তবে  একোনাইট  ঔষধটি  হলো  তার  এক  নাম্বার  ঔষধ।

Arnica  montana :  

যে-কোন  ধরনের  আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো,  ঘুষি,  লাঠির  আঘাত  বা  উপর  থেকে  পড়ার  কারণে  ব্যথা  পেলে  আর্নিকা  খেতে  হবে।  শরীরের  কোন  একটি  অঙ্গের  বেশী  ব্যবহারের  ফলে  যদি  তাতে  ব্যথা  শুরু  হয়,  তবে  আর্নিকা  খেতে  ভুলবেন  না।  

Mercurius  solubilis:  

মার্ক  সল  ঔষধটির  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  প্রচুর  ঘাম  হয়  কিন্তু  রোগী  আরাম  পায়  না,  ঘামে  দুর্গন্ধ  বা  মিষ্টি  গন্ধ  থাকে,  কথার  বিরোধীতা  সহ্য  করতে  পারে  না, 

ঘুমের  মধ্যে  মুখ  থেকে  লালা  ঝরে,  পায়খানা  করার  সময়  কোথানি,  পায়খানা  করেও  মনে  হয়  আরো  রয়ে  গেছে,  অধিকাংশ  রোগ  রাতের  বেলা  বেড়ে  যায়।  রোগী  ঠান্ডা  পানির  জন্য  পাগল।  ঘামের  কারণে  যাদের  কাপড়ে  হলুদ  দাগ  পড়ে  যায়,  তাদের  যে-কোন  রোগে  মার্ক  সল  উপকারী।  

Gelsemium  sempervirens

জেলসিমিয়ামের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  মধ্যে  ঘুমঘুম  ভাব  থাকে  বেশী,  রোগী  অচেতন-অজ্ঞান-বে‍ঁহুশের  মতো  পড়ে  থাকে,  দেখা  যাবে  গায়ে  প্রচণ্ড  জ্বর  অথচ  রোগী  নাক  ডেকে  ঘুমাচ্ছে,  মাথা  ঘুড়ানি  থাকে,  শরীর  ভারভার  লাগে,  

পরীক্ষার  বা  ইন্টারভিউর  পূর্বে  বেশী  উৎকন্ঠিত  হলে  Argentum  nitricum  অথবা  Gelsemium (শক্তি  ৩০)  এক  মাত্রা  খেয়ে  নিতে  পারেন।

Hepar  sulph‍

হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এরা সাংঘাতিক সেনসেটিভ , এতই সেনসেটিভ যে রোগাক্রান্ত  স্থানে সামান্য  স্পর্শও  সহ্য  করতে  পারে  না,  এমনকি  কাপড়ের  স্পর্শও  না।

হিপারের  শুধু  শরীরই  সেনসেটিভ  নয়,  সাথে  সাথে  মনও  সেনসেটিভ।  অর্থাৎ  মেজাজ  খুবই  খিটখিটে।  ইহা  সাধারণত  ফোড়া, ঘা,  ক্ষত  ইত্যাদি  অর্থাৎ  ইনফেকশান  দূর  করার  জন্য  এন্টিবায়োটিক  হিসাবে  বেশী  ব্যবহৃত  হয়ে  থাকে ।  তবে  লক্ষণ  থাকলে  যে-কোন  রোগে  হিপার  প্রয়োগ  করতে  পারেন ।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

১০টি প্রয়োজনীয় এলোপ্যাথি ঔষধের নাম ও কাজ 

প্যারাসিটামল 

জ্বর হলে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

টাইমোনিয়াম সালফেট :

যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ। 

ট্রামাডল

কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন।

ওমিপ্রাযল : 

অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করে ভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে। 

ওরস্যালাইন: 

ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। 

অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন :

 বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ২ চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই।

ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন

এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো তুলনামুলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ, তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে।

সিল্ভার সালফাডিয়াযিন

হালকা পুড়ে গেলে প্রথমে পোড়া জায়গাটি কলের পানি ঢালুন। পানি শুকিয়ে গেলে যত্ন সহকারে পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট দিন। ফোসকা পড়লে সেটা উঠানোর চেষ্টা করবেন না। বেশি পুড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।

পভিডন-আয়োডিন মলম

রক্তপাত সহ ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে কাটা জায়গায় পভিডন-আয়োডিন অয়ন্টমেন্ট দিন। 

অ্যাসপিরিন : 

আকস্মিক বুকে ব্যথা এবং পরবর্তীতে বাম হাত, চোয়াল বা গলার বাম দিকে ব্যথা হওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ২/৩ টি বেবি অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

১০টি অজানা আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর নাম ও কাজ 

সিনকারা সিরাপ

অপুষ্টি, সাধারণ দুর্বলতা, স্নায়বিক দুর্বলতা, স্মৃতি শক্তি হ্রাস, গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতা, লিভারের গোলযোগ, ক্ষুধামান্দ্য, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি, রোগ পরবর্তি দুর্বলতা।

কারমিনা সিরাপ

বদহজম, পেটফাঁপা, অজীর্ণ, ক্ষুধামান্দ্য, বায়ুজনিত পেটফাঁপা, অম্লাধিক্য, কোষ্টকাঠিন্য, লিবারের দুর্বলতা, বমি-বমি ভাব, চুকা ঢেকুর, বুক জ্বালা-পোড়া। ।

সাদুরি সিরাপ

তরল কাশি, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, বুকের কফ জমা, শ্বাসনালীর খিঁচুনি।

নিশাত ট্যাবলেট

যৌন দুবলতা, যৌনাকাংখা হ্রাস, দ্রুত বীর্যস্থলন, স্নায়ু দুর্বলতা, সাধারণ দুর্বলতা, অবসাদ, প্রমেহ ।

এনডিউরেক্স ট্যাবলেট

সাধারণ দুর্বলতা, অসময়ে বীর্যপাত, শুক্রানুর সংখ্যা হ্রাস, সঙ্গম পরবর্তী অসাড়তা ও দুর্বলতা, পক্ষাঘাত, মুখের পক্ষাঘাত, অনুভূতিহীনতা।

নিউটোন ট্যাবলেট

যৌন শিথিলতা, দ্রুত বীর্যস্থলন ও স্নায়ু দুর্বলতা।

মাসুখ ট্যাবলেট

মাথা ব্যথা, অর্ধ-মাথা ব্যথা, (মাইগ্রেন) ও পেটফাঁপা।

জিনসেন্ট সিরাপ

সাধারণ দুর্বলতা, স্নায়বিক দুর্বলতা, যৌন দুবলতা, অকাল বার্ধক্য, রক্ত স্বল্পতা, অবসাদ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা।

নরমাটেনসিন ট্যাবলেট

উচ্চ রক্তচাপ, তীব্র মাথা ব্যথা, নিদ্রাহীনতা, দুশ্চিন্তা, মৃগী ।

পেনিটোন /তিলাজাদীদ

পুরুষাঙ্গের শিথিলতা ও দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা, পুরুষাঙ্গের বক্রতা।

হামদর্দ আমলা তেল

চুল পড়া, অকালে চুলপাকা, মাথায় খুসকী, নিদ্রাহীনতা।

ঔষধের নাম ও দাম 

  • কারমিনা সিরাপ ৪৫০ মিলি -১৩০ টাকা
  • সিনকারা ২২৫ মিলি – ৮৫ টাকা
  • পেনিটোন (তিলা জাদীদ) ১৫ মিলি ড্রপার-২০০ টাকা
  • হামদর্দ আমলা তেল ১৩০ মিলি -২০০ টাকা।
  • পেনিটোন ২০ গ্রাম অয়েন্টমেন্ট ২০০ টাকা
  • নরমাটেনসিন ট্যাবলেট -৩ টাকা।
  • জিনসেন্ট সিরাপ ৪৫০ মিলি- ২৪০ টাকা; সিনকারা ২২৫ মিলি ১৫০ টাকা
  • মাসুখ ট্যাবলেট- ৭ টাকা।
  • সেকলো ২০ ক্যাপসুল- ৭ টাকা
  • সেকলো ৪০ ক্যাপসুল- ৯ টাকা
  • সেকলো মাপস্ ২০ – ৮ টাকা
  • সারজেল ২০ ক্যাপসুল- ৭ টাকা
  • সারজেল ৪০ ক্যাপসুল-৯ টাকা
  • সারজেল ৪০ ট্যাবলেট- ৯ টাকা 
  • ফিনিক্স ১০ ক্যাপসুল- ৪ টাকা
  • ফিনিক্স ২০ ক্যাপসুল- ৭ টাকা
  • ফিনিক্স ২০ ট্যাবলেট- ৮ টাকা
  • প্যানটোনিক্স ২০  – ৬ টাকা 
  • প্যানটোনিক্স ৪০ ট্যাবলেট- ৮ টাকা
  • প্যানটোনিক্স ৪০ ইনজেকশন- ৯০ টাকা
  • অমিডন ট্যাবলেট – ৩ টাকা 
  • ফ্লাজিল ২০০ মি.গ্রা. সিরাপ- ৬০ টাকদ
  • ফ্লাজিল ২০০ ট্যাবলেট- ১.৫০ টাকা
  • ফ্লাজিল ৪০০ ট্যাবলেট- ২ টাকা 
  • এমোডিস ৪০০ মি.গ্রা. – ১.২৭ টাকা
  • এমোডিস ৫০০ মি.গ্রা. -১.৫৫ টাকা
  • জোরেল ২০ ক্যাপসুল- ৪ টাকা
  • জোরেল ২০ ট্যাবলেট- ৩ টাকা
  • মোনাস ১০ মি.গ্রা. -১৬ টাকা
  • মোনাস ৪ মি.গ্রা. -৬.০৪ টাকা
  • মোনাস ৫ মি.গ্রা. -৮.০৭ টাকা
  • পাইরিনল -২ টাকা
  • এনডিউরেক্স ট্যাবলেট- ৬০ টাকা।
  • নিশাত ট্যাবলেট- ২৩ টাকা।
  • পাইরিনল এক্স- আর -১.৫০ টাকা
  • জয়ট্রিপ ট্যাবলেট-৫ টাকা
  • প্যারাসিটামল- ০.৮০ টাকা
  • নাপা ৫০০ মি.গ্রা. – ০.৮০ টাকা
  • নাপা ডিটি ৫০০ মি.গ্রা. – ১.২৮ টাকা
  • নাপা এক্সট্রা – ২.৫০ টাকা
  • নাপা এক্সটেন্ড – ১.৫১ টাকা

শেষকথা

ঔষধের নাম ও কাজ জানলে ঘরে বসেই কিছু ওষুধে অসুখ সারতে পারে। এসব ওষুধ বাসায় রাখা যেতে পারে। তবে অসুখ ছোট হোক বা বড় তার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

1 thought on “প্রয়োজনীয় সকল ঔষধের নাম ও কাজ সহ সকল তথ্য জানুন!”

  1. আমার ছেলের বয়স ১ বছর। আমি কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করতে পারবো কী? কোন ওষুধটা ব্যবহার করা যাবে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top