কাঁঠালের উপকারিতা

কাঁঠালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জেনে নিন!

কাঁঠালের উপকারিতা – বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের ফলমূল রয়েছে । তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি খেতে অনেক রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় ছোট থেকে বড়, প্রায় অনেকেই এই ফলটি খেতে পছন্দ করেন। 

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসেবে ভূষিত করার তাৎপর্য রয়েছে। এই ফল স্বাদ ও গন্ধে ভরপুর এবং এতে প্রচুর পুষ্টিগুণাগুণও রয়েছে। এবং এটি জনপ্রিয়তার দিক থেকেও শীর্ষে।

সকল ধরনের অর্গানিক ফুড কিনুন আমাদের শপ থেকে!

আজকে আমরা কাঁঠালের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। কাঁঠালের উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন, তাহলে ঝটপট পড়ে ফেলুন আমাদের আর্টিকেলটি। 

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ –

কাঁঠালে  অনেক পুষ্টিগুণাগুণ বিদ্যমান। কাঁঠালের ৪-৫ কোয়াতে ১০০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি রয়েছে। তাছাড়া ২-৩ কোয়া কাঁঠাল আমাদের একদিনের ভিটামিন-এ এর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। 

সকল বয়সের মানুষের জন্যই কাঁঠাল বেশ উপকারী। এছাড়াও এ ফলে বেশ কিছু পুষ্টি রয়েছে।  যেমন: ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, আয়রন, রাইবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের খনিক উপাদান।  এ সকল উপাদান আমাদের দেহ কে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও পূরন করে থাকে কাঁঠাল। 

কাঁঠালের উপকারিতা

কাঁঠালের উপকারিতা –

কাঁঠালের বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে। আমাদের দেহের প্রায় বিশেষ ক্ষতি পূরণে কাঁঠাল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই অনেকের কাছেই এই ফলটি বেশ প্রশংসনীয়। চলুন একনজর সে উপকারিতাগুলি দেখে নেওয়া যাক। 

  • কাঁঠাল হজমশক্তি বাড়াতে  সহায়তা  করে। 
  • কাঁঠালে ব্যাপক পরিমাণে ভিটামিন-এ বিদ্যমান যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। 
  • রক্তশূন্যতা দূর করে কাঁঠাল। 
  • কাঁঠাল দুশ্চিন্তা এ ঘাবড়ানো দূর করতে সহায়তা করে। 
  • কাঁঠাল গাছের শেকড় চিবিয়ে খেলে হাপাঁনী দূর হয়। তাছাড়া জ্বর ও ডায়ারিয়া নিরাময়েও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 
  • গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে তাদের বাচ্চার সব ধরনের অপুষ্টি দূর হয়ে যাবে। 
  • কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা হার্ট অ্যাটার্ক ও স্টোকের ঝুকি কমায়। 
  • কাঁঠাল চোখ ভালো ও হাড় মজবুত করে। 
  • কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভয়ংকর ব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

কোন সময় খাবেন, কিভাবে খাবেন:

  • সকালে রুটির সাথে কাঁঠাল রাখতে পারেন। 
  • রাতের খাবারের শেষে কাঁঠাল খেতে পারেন। 
  • দুধ, ভাতের সাথে কাঁঠাল মিক্সড করে খেতে পারেন। 
  • কাঁঠালের বিচি ভেজে খেতে পারেন। 
  • কাঁঠালের বিচি কেটে যে কোন তরকারির সাথে দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। 
  • মুড়ি নারিকেলের সাথে কাঠাঁল মিক্সড করে খেতে পারবেন। 

শেষ কথা:

আমাদের দেশে কাঁঠাল বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। কাঁঠালের উপকারিতা ব্যাপক। যাদের এ ফলটির পুষ্টিগুণাগুণ সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা নিঃসন্দেহে এ ফলটি খেতে ভালোবাসে। বলতে গেলে, কাঁঠাল প্রায় সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাই আসুন, এবারের গ্রীষ্মে কাঁঠাল খাওয়া অভ্যাস গড়ে তুলি। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top