গলগন্ড রোগ কেন হয়

গলগন্ড রোগ কেন হয় জানেন কি?

গলগন্ড রোগ কেন হয় – আমাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি এবং শরীরের যাবতীয় কার্যাদি সম্পাদনে বিভিন্ন গ্রন্থি জড়িত। এর মধ্যে থায়রয়েড গ্রন্থি অন্যতম। 

আমরা অনেকেই জানি না যে, গলগণ্ড রোগ কেন হয়? থায়রয়েড গ্রন্থি কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে তা ফুলে যায়। এই ফুলে যাওয়াকেই গলগণ্ড রোগ বলা হয়। 

এখন জেনে নিন গলগণ্ড রোগ কি এবং গলগণ্ড রোগ হওয়ার কারণ। 

গলগণ্ড রোগ কী?

আমাদের  সকলেরই জানা উচিৎ গলগণ্ড কি এবং গলগণ্ড রোগ কেন হয়। থায়রয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন ধরনের রোগের মধ্যে গলগন্ড পরিচিত।

অস্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত থাইরয়েড গ্রন্থি হলো গলগন্ড বা ঘ্যাগ। থায়রয়েড গ্রন্থটি গলার সামনে নিচের অংশে থাকে। এটি স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা যায় না। কিন্তু গ্রন্থটি যখন আকার-আয়তনে বড় হয় তখন সহজেই দেখা যায় এবং কথা বলার সময় বা খাবার সময় এর নড়াচড়া বিশেষ ভাবে বোঝা যায়। 

থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেহে যে কয়টা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি রয়েছে তার মধ্যে থাইরয়েড অন্যতম। কারণ এই গ্রন্থি দেহের সামগ্রিক ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে থাকে। 

গলগন্ড রোগ কেন হয়?

বিভিন্ন কারণে গলগণ্ড রোগের আবির্ভাব ঘটে। এর মধ্যে খাদ্যভ্যাস অন্যতম। নীচে গলগণ্ড রোগ হওয়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো৷ 

১. খাদ্যে আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড রোগ হয়। যখন দেহে আয়োডিনের অভাব হয়, তখন থাইরয়েড গ্রন্থিটি অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যায়। যা গলগন্ড রোগ হিসেবে প্রকাশ পায়। 

২. শুনতে অদ্ভূত হলেও এটি সত্য যে, শরীরের অতিরিক্ত বৃদ্ধি গলগন্ড রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এমন কিছু দূর্ভাগা বিশালদেহী মানুষ রয়েছেন যারা তাদের শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য গলগন্ড রোগের স্বীকার। 

৩. কোনো কারণে যদি আপনার গলায় রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে পরবর্তীতে থায়রয়েড গ্রন্থির ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।  

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

গলগণ্ড রোগের প্রকারভেদ 

১. সাধারণ গলগণ্ড 

২. টিউমার গলগণ্ড 

৩. মাল্টি নডুলার গলগণ্ড 

৪. সলিটারি থাইরয়েড নডিউল

৫. ক্যান্সার গলগণ্ড 

৬. স্বাভাবিক গলগণ্ড 

৭. ইনফেকশন জনিত গলগণ্ড। 

উপসংহার 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানা গেল যে, গলগন্ড রোগ কেন হয়, গলগণ্ড হয়েছে বা হচ্ছে, এমন টি মনে হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছেন যারা এ ব্যাপারটাকে অনীহা প্রকাশ করেন এবং এর জন্য রোগী কে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। 

সুতরাং,অবহেলা না করে গলগণ্ড হয়েছে এমন রোগী কে যত তারাতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।

অসুখ-বিসুখ নিয়ে আরও পড়ুন… 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top