ঘি এর উপকারিতা

ঘি এর উপকারিতা এবং ঘি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন!

ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই  জানা রয়েছে। তবে যাদের এ বিষয়ে খুব একটা জানা নেই তাদেরকে  আলোচনার দ্বারা জানানোর চেষ্টা করবো ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে। দুগ্ধ জাতীয় একটি খাবার হলো ঘি। ঘি নামটার সাথে  আমরা সবাই পরিচিত প্রায়।

গরম ভাতের সাথে ঘি খেতে কে না পছন্দ করে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই ঘি এর ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘি এমন একটা খাবার যা অনেকেই পছন্দ করে থাকেন আবার অনেকেই করেন না। 

সকল ধরনের অর্গানিক ফুড কিনুন আমাদের শপ থেকে!

আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা মানবদেহে দেখা যেতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘি খেয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই তা বর্জন করুন। অন্যথায় আপনাকেও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে। 

ঘি কতটা পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হবেঃ

যে কোন খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। যদি সেটা কার্যকারী খাদ্য হয় তবুও। যদি ঘি এর কথা ধরেন। ঘি খাওয়া ভালো তবে অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা  বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে পরিমাণে কতটুকু ঘি খাওয়া উত্তম? চিকিৎসকের মতানুযায়ী প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খাওয়া উত্তম এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। হেলদি গাওয়া ঘী কিনুন আমাদের শপ থেকে!

ঘি এর উপকারিতা

যেসকল মানুষের ঘি খাওয়া উচিত নয়ঃ

সেসকল ব্যক্তিরা ঘি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন যাদের উচ্চ রক্তচাপ,  যারা অতিরিক্ত ভারী, হার্টের সমস্যা,  তারা ঘি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর মধ্যেই অনেকের ভাবনায় চলে এসেছে ঘরোয়া উপায়ে ঘি বানানো  কি সম্ভব? অনেকেই হয়তো এ বিষয়টি জানার জন্য গুগলে সার্চ করার কথা ভাবছেন। গুগলে সার্চ করার প্রয়োজন পড়বে না আসলেই ঘরে বসে থেকেই আপনি ঘরোয়া উপায়ে ঘি তৈরি করতে পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন পড়বে উন্নত মানের অর্গানিক মাখন। যা লবনমুক্ত হতে হবে। 

ঘি তৈরির পূর্বে  আপনাকে একটি পাত্র নিতে। তারপর পাত্রে মাখন রেখে হাল্কা আঁচে আঁচ দেওয়ার ২০ ২২ মিনিট  পর দেখবেন মাখন্ টি বাদামী আকার ধারণ করেছে এবং পাত্রের নিচে জমা হচ্ছে। তারপর ছাকনির সাহায্যে তা ছেঁকে ফেলুন। মাত্র ২০ -২৫ মিনিটের মধ্যেই আপনার ঘি প্রস্তুত।

এটা যদি আপনার কাছে কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে তবে বাজার থেকে ঘি কেনার পরামর্শ আমি আপনাকে দেব। ঘি এর উপকারিতা ব্যপক যা বলে শেষ করা যাবে না। আপনারা যদি ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে আরো জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। 

ঘি হাড় ভালো রাখতে ঘি এর উপকারিতাঃ

এতে তে অধিক মাত্রায় ভিটামিন কে বিদ্যমান রয়েছে। ঘি এর সাথে ভিটামিন ক্যালসিয়াম মিশে হাড়ের স্বাস্থ্য গঠন রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন কে এর ফলে আমাদের শরীরে শর্করার হার বজায় থাকে। ঘি তে ভিটামিন কে ছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই বিদ্যমান রয়েছে। যা মানবদেহের রিদপিন্ড ও হাড়ের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। ঘি এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট যা গিটে ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আরো অনেক গুণাগুণ রয়েছে ঘি তে । 

ঘি স্মৃতিশক্তি ঘি এর উপকারিতাঃ

নার্ভের কার্যপ্রক্রিয়া বৃদ্ধি করাতে ঘি বিশেষ ভূমিকা পালন করে । এর পাশাপাশি ব্রেন ও মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে ঘি কাজ করে চলেছে। ঘিতে ওমেগা-৩ ওমেগা-৬ বিদ্যমান রয়েছে। গবেষণায় প্রামাণিত এই দুই ফ্যাটি এসিড ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করে। 

ঘি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে-ঃ

ত্বকের  উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ঘি এর   প্রয়োজন রয়েছে। ময়েশ্চারাইজার ও রোগ সিরোসিস কমাতে ঘি কার্যকারী ভাবে কাজ করে। নিয়মিত খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

ক্যানসারকে দূরে রাখতে ঘিঃ

আমরা আগেই জেনেছি ঘি এর উপকারিতা ব্যপক ।ঘিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। শরীরের ফ্রি রেডিক্যালদের ক্ষতি করার হারকে কমিয়ে আনতে এন্টিঅক্সিডেন্ট ভূমিকা পালন করে। যার ফলে মানবদেহে খারাপ কোষ ধ্বংস ও পরিবর্তন হয় যার কারণে ক্যান্সার সেলের উৎপত্তি হওয়ার ভয় দূর হয়। 

ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেই আমাদের দেশের বিভিন্ন বাড়িতে ঘি এর ব্যবহার হয়ে থাকে। ঘি এর দাম একটু চড়া হওয়াই গরীবেরা ঘি খাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকে। তাও ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক পরিবার কষ্ট করে  ঘি খাওয়ার চেষ্টা করেন। 

ভিটামিনের উৎস  বিদ্যমান  ঘি তেঃ

ঘি তে অনেকগুলো ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছ। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াতে তৈরীকৃত  ঘি তে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বিউটারিক এসিড লাইনোলেইক এসিড রয়েছে। ঘি তে বিদ্যমান ভিটামিন এ যাতে রয়েছে ভিটামিন এ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি, ও যৌনাঙ্গ ইত্যাদি সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। ঘিতে কিছু পরিমাণে রয়েছে বি-১২, ঘিতে উপস্হিত ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-কে তে চর্বি রয়েছে। এর কারণে আপনি যদি ঘি চর্বি জাতীয় খাবারের সাথে খান তাহলে তা ভালোভাবে শোষিত হবে। এর ফলে বোঝা যায় ঘি এর উপকারিতা ব্যপক।

 সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

অ্যালার্জি কমাতে ঘি এর ব্যবহারঃ

গবেষক চ্যাডউইক বলেন, মাখন কে ১০০ ডিগ্রি  তাপমাত্রায় তাপ প্রদান করে ঘি উৎপাদন করা হয়। এর কারণে সকল আমিষ উপাদান পাত্রে অবস্থান করে । তার ফলে শুধু চর্বি অংশগুলো ঘি তে বিদ্যমান থাকে। যার ফলে বলা হয় ঘি এর উপকারিতা অনেক। মাখনে রয়েছে ক্যাসেইন ও ল্যাকটেজ যা অনেকেরই ক্ষেত্রে হজম শক্তিতে বাধা প্রদান করে। তখন অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। মাখন  থেকে এ সকল উপাদান বের করে নিয়ে ঘি তৈরি করলে পাশ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই পুষ্টি গুণাগুণ পাওয়া সম্ভব। ঘি আপনার সহ্য হয় কি না তা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আরো পড়ুন- এলার্জির ঘরোয়া সমাধানঃ

পরিসমাপ্তিঃ

আজকের আর্টিকেল দ্বারা আপনারা জানতে পেরেছেন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে। ঘি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো আপনারা আজকের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন। নিয়মিত খাদ্যাভাসে পরিমাণ মতো ঘি রাখা উত্তম। আশা করি আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। 

2 thoughts on “ঘি এর উপকারিতা এবং ঘি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন!”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top