টক দই এর উপকারিতা

টক দই এর উপকারিতা | প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক দই কেন এত জরুরী!

টক দই এর উপকারিতা এতই বেশি যে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখা অত্যন্ত জরুরী। বিশ্বাস হচ্ছে না? দই যে শুধুমাত্র হজমে সহায়তা করে তাই না, এটি রোগ প্রতিরোধ করে, দাঁত ও হাড় মজবুত করে, ত্বকের উপকার করা সহ আরো অনেক উপকার করে থাকে। আসুন বিস্তারিত জেনে নি।

সকল ধরনের অর্গানিক ফুড কিনুন আমাদের শপ থেকে!

টক দই এর উপকারিতা

  • দই এ রয়েছে প্রচুর পরিমান ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। যা দাঁত ও হাড়কে করে শক্তিশালী ও মজবুত। এটি আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং মজবুত কঙ্কালতন্ত্র গঠনে ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি, যা আমাদের দেহের জন্য উপকারী মাইক্রো অর্গানিজম ধারণ করে। এটি অনেকগুলো সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং সামগ্রিক ইমিউনিটি উন্নত করে। যে কারণে রোগাক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কমে যায়। যাদের ঘনঘন ডাক্তারের কাছে যেতে হয় তারা বেশি বেশি টক দই খাবেন।
  • টক দই হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এতে থাকা প্রোবায়োটিকগুলো হজমের সময় সক্রিয়ভাবে কাজ করে। তাই টক দই এর উপকারিতা তারা ভুলতে পারবে না যাদের হজমশক্তি কম। এটি নিশ্চিতভাবেই হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।

>> চুল পড়া বন্ধ করার ডায়েট – চিকিৎসা ও উপায় সমূহ জেনে নিন!

  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে টক দই ব্যবহারের মাধ্যমে ফর্সা সুন্দর ত্বক ও দুর্দান্ত চুল পেতে পারেন। ঘরে থাকা অন্যান্য কিছু উপাদান টক দই এর সাথে মিশিয়ে ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করার মাধ্যমে সহজেই আপনি নরম কোমল ত্বক ও চকচকে চুল পেতে পারেন। 
টক দই এর উপকারিতা
  • হার্ট এর জন্য টক দই এর উপকারিতা অনেক বেশি। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। কিছু গবেষণা দেখায় যে টক দই এ থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের ফলে “ভাল” কোলেস্টেরল (এইচ.ডি.এল) বৃদ্ধি পায় যা হার্টের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দিতে পারে।
>> হার্টের সমস্যার লক্ষণ -এই ১২ টি সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন!
  • ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে টক দই। ত্রুটিযুক্ত জীবনযাত্রা এবং কর্টিসল নামক হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারনে শরীরে চর্বি জমতে থাকে। ‍দইতে থাকা ক্যালসিয়াম কর্টিসলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না এবং পেটকে ফ্ল্যাট আকারে আনতে সহায়তা করে।
  • খুশকি দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ফঙ্গাল প্রোপার্টি খুশকি দূর করার সেরা সামাধান। মাথার ত্বকে দই এবং মেহেদির মিশ্রণ প্রয়োগ করে আধা ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি থেকে মুক্তি তো পাবেনই, সাথে চুলকে করবে চকচকে ও নরম।
  • ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে টক দই এর উপকারিতা অপরিসীম। এর সহজে হজমযোগ্য প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।

>> ডায়াবেটিস হলে কি করণীয়, ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জেনে নিন!

  • দই অফুরন্ত শক্তির ভান্ডার। আপনি যদি এমন কোন খাবার খোজেন যা আপনার শরীরকে শক্তি যোগাবে তাহলে প্রতিদিন টক দই খেতে পারেন। এতে থাকা প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো আপনাকে শক্তি যোগাবে।
  • এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাই নিয়মিত টক দই খাবার মাধ্যমে যৌবন ধরে রাখতে পারবেন দীর্ঘদিন। 
  • দই এ অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমান ভিটামিন রয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিটামিন বি৫ সহ অন্যান্য আরো ভিটামিন রয়েছে।
  • দেহের সংবেদনশীল অংশে ছত্রাকের আক্রমণে ইনফেকশনের মত ঘটনা অনেকেরই ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। টক দই এই সমস্ত ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ইনফেকশন সৃষ্টি হতে দেয় না।

টক দই খাবার সঠিক সময় কখন

টক দই খাবার সবচেয়ে উপযুক্ত বা সঠিক সময় হল নাস্তার সময় বা খালি পেটে। এর কারণ হচ্ছে দইতে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিকগুলি জীবন্ত অবস্থায় বৃহদান্ত্রের কাছে পৌছানো দরকার। 

খাবারের পরে খাওয়া হলে হজম প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যাসিডের সংস্পর্শে আসার কারণে প্রোবায়োটিকের সংখ্যা কমে যাবে। যে কারণে কার্যকারীতাও কিছুটা কমে যাবে। 

তাই টক দই এর উপকারিতা পরিপূর্ণভাবে পাওয়ার জন্য সকালে নাস্তার সময় খাওয়া উত্তম। তবে যাদের পেটে দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে খালি পেটে টক দই খেতে নিষেধ করা হয়। 

খাবার খাওয়ার পর এক ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর টক দই খেতে বলা হয়। তবে বিকেলে স্ন্যাক্স হিসাবে খেলেও কার্যকর ফলাফল পাবেন। 

যাদের টক দই খাওয়া উচিৎ না

যদিও টক দই এর উপকারিতা এতটাই বেশি, কিন্তু কিছু মানুষ এটা খেতে পারবেন না। যেমন-

  • যারা মলত্যাগের সমস্যা বা অন্ত্রের রোগে ভুগছেন,
  • এক বছরের কম বয়সী শিশু,
  • যাদের ডায়াবেটিস, আর্টেরিওস্ক্লেরোসিস (arteriosclerosis), হেপাটাইটিস এবং অগ্ন্যাশয়ে সমস্যা আছে তারা মিষ্টি দই খেতে পারবেন না।

মনে রাখবেন

কৃত্রিম স্বাদ বা গন্ধযুক্ত দই খুব একটা কাজের জিনিস নয়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম টক দই খাবেন। টক দই এর সাথে ফল মিশিয়ে স্যালাড হিসাবেও খেতে পারেন। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা দই খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

উপসংহার

আসলে টক দই এর উপকারিতা নিয়ে কারো মনে কোন সন্দেহ নেই। তার উপর আপনি যদি প্রায়শই অ্যালকোহল পান করেন, ধুমপান করেন, কম্পিউটার নিয়ে কাজ করেন, কোষ্ঠকাঠিন্যতে বা অস্টিওপোরোসিসে ভোগেন তবে অবশ্যই আপনার বেশি বেশি দক দই খাওয়া উচিৎ।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

>> For more Information – visit here: relmentor.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top