ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা

ধ্বজভঙ্গ রোগ কি, কেন হয়, এর লক্ষণ ও প্রতিকার!

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি জরিপে দেখা গেছে, পুরুষরা নারীদের তুলনায় ডাক্তারের কাছে কম যান। এর পেছনে কারণ হলো, পুরুষেরা যেকোনো রোগকে গুরুত্ব কম দেন। পুরুষের দৃষ্টিগোচোর হওয়া এমন একটি রোগ হলো ধ্বজভঙ্গ । ধ্বজভঙ্গ রোগ কি এবং কেন হয় তা অনেকের কাছেই অজানা।

তাই আজ আমরা এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা

ধ্বজভঙ্গ রোগ কি

এই রোগ নিয়ে বহু মানুষ বহু মতামত পোষণ করেন। আসলে  সহবাসের ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও লিঙ্গের শিথিলতার জন্য সহবাসে ব্যর্থ হলে তাকে ধ্বজভঙ্গ রোগ বলে। ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি দেখুন।

সহবাসে লিপ্ত হতে যাওয়ার সময় লিঙ্গ শক্ত এবং উথ্যান না হওয়ায় কারণে মৈথুন করতে ব্যর্থ হয়। এসময়ে পুরুষ হাঁফাতে শুরু করে এবং মুখে ঘাম জমে যায়।

মূলত ধ্বজভঙ্গ যেসব পুরুষদের থাকে তাদের  বীর্য খুব কম তৈরি হয়। বীর্য হলেও তা হয় পাতলা। যার ফলে  যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়।

ধ্বজভঙ্গ রোগ কেন হয়?

ধ্বজভঙ্গ রোগ পুরুষের জন্য জটিল ও মারাত্মক একটি রোগ। অনেক কারণেই এই রোগের সৃষ্টি হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ধ্বজভঙ্গ রোগ এর কিছু মূল কারণ

  1. হস্তমৈথুন।
  1. অতিরিক্ত স্ত্রী সঙ্গম।
  1. আঘাত প্রাপ্তি। 
  1. বহুমূত্র।
  1. সিফিলিস।
  1. গনোরিয়া। 
  1. পুরাতন অন্ডকোষ প্রদাহ। 
  1. বহুদিন যাবৎ অজীর্ণ রোগ। 
  1. স্নায়বিক রোগ।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সমূহ জেনে নিন!

ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ 

মূলত ধ্বজভঙ্গ রোগ বিশেষ কিছু লক্ষণ এর মাধ্যমে নির্ণয় করা সম্ভব। লক্ষণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • দুই মাসের অধিক সময় যাবৎ যৌন ক্রিয়ার প্রতি কোন আগ্রহ অনুভব না করা।
  • যৌনসঙ্গম এড়িয়ে চলা।
  • যৌন মিলনের বাসনা কমে যাওয়া।
  • যৌন মিলনের প্রতি দুঃশ্চিন্তা কিংবা উদ্বেগ থাকা।
  • আগে আগে বীর্যপাত ঘটা।
  • যৌন মিলনের সময় ব্যথা হওয়া। 
  • তীব্র যৌন সুখ পেতে অক্ষমতা দেখা দেওয়া।

ধ্বজভঙ্গ কত ধরণের হয়?

ধ্বজভঙ্গ রোগ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণত এই দুই ধরণের মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়:

  1. জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগ। 
  2. মানসিক কিংবা দৈহিক ধ্বজভঙ্গ রোগ।

জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের চেনার এর উপায়

যৌবনের গুনাবলী ঠিক যে সময় প্রকাশ পাওয়া স্বাভাবিক সেটা দেখা যায় না জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগীদের মধ্যে। যৌনতার ভাব যথাযথ ভাবে তাদের মাঝে বৃদ্ধি পায় না। 

দেহের নানা হরমোনের অভাব ও স্নায়ুবিক অক্ষমতার কারণ দেখা দেয়। যৌবনে পা দিলেও যৌনইন্দ্রিয়ের কোনো উত্তেজনা থাকে না। পেনিস ঠিক মত শক্ত ও উথ্যান হয় না।

সর্বদাই এদের চরিত্রে নারীর মতো ভাবভঙ্গি প্রকাশ পায়। অদ্ভুদ ধরনের হাবভাব প্রকাশ পায় যা  কোন পুরুষের মধ্যে থাকে না। এদের যৌন উত্তেজনা ও পেনিসের উত্থান কিংবা বীর্যপাত কিছুই দেখা যায় না। এরা  মানুষের কাছে হস্যম্পদ হয়ে থাকে এবং মানুষ তাদের নিয়ে উপহাস করে।

মানসিক কিংবা দৈহিক ধ্বজভঙ্গ রোগ চেনার উপায়

হরমোন ক্রিয়ার কম বেশির জন্য  এবং দীর্ঘকাল যাবৎ বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে এই দৈহিক ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়ে থাকে। অনেক সময়  রোগ না হয়েও শুধু মাত্র মানসিক কারণেই এই রোগ দেখা দেয়। অন্ডকোষের ৬টি রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন!

অনেকের ক্ষেত্রে যৌন হরমোন বা অন্য কোন গ্রন্থির হরমোন সমান্য কিছু কম নিঃসরণের জন্য যৌন উত্তেজনা কম হতে পারে। কিন্তু যথাযথ ট্রিটমেন্ট করলে হরমোনের এই গোলযোগ ঠিক করা যায়। এই ক্ষেত্রে অধিক মানসিক দূর্বলতা এই রোগের মূল কারণ হয়ে দারায়।

ধ্বজভঙ্গ রোগীর দূর্বলতা কাটাতে যা খাবেন 

ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা তে ধ্বজভঙ্গ রোগী হোমিওপ্যাথি দিয়ে সুস্থ করা সম্ভব। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার একজন ধ্বজভঙ্গ রোগীর জন্য অনেক জরুরি। 

যেসব খাবার খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি এবং ধ্বজভঙ্গ রোগীর দূর্বলতা কাটানো সম্ভব তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ডিম- এই তালিকার মধ্যে প্রথমেই আছে ডিম। ডিম ধ্বজভঙ্গ  রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে। যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • মধু- মধু অনেক রোগের নিরাময় করে। যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে মধু অনেক কার্যকরী। 
  • দুধ- বিশেষ করে ছাগলের দুধ যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। দুধ দেহের শুষ্কতা দূর করে ও দ্রুত হজমে সাহায্য করে।
  • বাদাম- বাদামে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি করে। সেক্স হরমোনগুলো ঠিক ভাবে কাজ পরিচালনার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 
  • রসুন- রসুন আমাদের দেহের ফোঁড়া ভালো করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক করে ও এবং বীর্য বৃদ্ধি করে থাকে। 
  • মাছ- মাছের তেলে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারি। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এই ফ্যাটি এসিড শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয়।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

শেষ কথা 

ধ্বজভঙ্গ রোগ কি এবং কেন হয় আশাকরি উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তা আমরা জানতে পেরেছি। প্রতেক পুরুষের জন্য তার পুরুষত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

তাই মানসিক কিংবা দৈহিক কারনে যৌনশক্তি যেন নষ্ট না হয় সেদিক বিবেচনায় ধ্বজভঙ্গ রোগ কী তা জানুন এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা নিন। 

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

1 thought on “ধ্বজভঙ্গ রোগ কি, কেন হয়, এর লক্ষণ ও প্রতিকার!”

  1. আমি অনেক দিন ধরে মৈঠন করে আমার ধ্বজভংগ হয়েগাসে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top