পিএসএলের এলিমিনেটর

অ্যালেক্স হেলসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে পেশাওয়ার জালমিকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড!

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলের এলিমিনেটর ১ -এ মুখোমুখি হয় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড এবং পেশাওয়ার জালমি। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পেশাওয়ার জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ। 

হারলেই বিদায় নিশ্চিত, এরকম সমীকরণের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠে নেমেছিল দল দুইটি। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের দলে যুক্ত হন ইনজুরির কারণে আগের ম্যাচ খেলতে না পারা শাদাব খান।

১ম ইনিংস:

পেশাওয়ার জালমির হয়ে ওপেনিং করেন কামরান আকমাল ও মোহাম্মদ হারিস। প্রথম ৩ ওভার এই দুই ব্যাটসম্যান দুর্দান্তভাবে খেলতে থাকেন। কিন্তু, ৪র্থ ওভারের চতুর্থ বলে ফাহিম আশরাফের বলে ১২ রান করে আউট হন মোহাম্মদ হারিস। 

তারপর দলের হয়ে ব্যাটিং করতে আসেন ইয়াসির খান। পাওয়ার প্লে শেষে পেশাওয়ার জালমির স্কোর হয় ১ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান। ৮ম ওভারের তৃতীয় বলে ৮ রান করে হাসান আলির উইকেটে পরিণত হন ইয়াসির খান। এরপর, শোয়েব মালিককে সাথে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটির সূচনা করেন কামরান আকমাল। 

১১তম ওভারের পঞ্চম বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন কামরান আকমাল। পরে, ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ৫৮ রান করে শাদাব খানের বলে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। কামরান আকমালের পর জালমির হয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। মাঝে হুসেইন তালাত আউট হলেও শেষ ওভারের চতুর্থ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শোয়েব মালিক। 

আর, এরই উপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে পেশাওয়ার জালমি। পেশাওয়ারের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৫৮ রান করেন কামরান আকমাল। বোলিংয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ৪ ওভার করে ৩০ রান খরচে ৩ উইকেট শিকার করেছেন পেসার হাসান আলি। 

২য় ইনিংস:

ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামেন দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস ও উইল জ্যাক্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএলে দুর্দান্ত এক আসর কাটানোর পর ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়েও ভালো কিছু করারই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন উইল জ্যাক্স। 

কিন্তু, ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ১১ রান করে খালিদ উসমানের কাছে নিজের উইকেট হারাতে হয় উইল জ্যাক্সের। পাওয়ার প্লে শেষে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটের বিনিময়ে ৫৩ রান। উইল জ্যাক্স আউট হলেও শাদাব খানকে সঙ্গে নিয়ে অপর প্রান্তে ঠিকই টিকে ছিলেন অ্যালেক্স হেলস। 

১১তম ওভারের প্রথম বলে শাদাব খান, সালমান ইরশাদের বলে আউট হলেও ১৩তম ওভারেই নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অ্যালেক্স হেলস। কিন্তু, পরের ওভারেই শাদাব খানের ন্যায় সালমান ইরশাদের বলে ৬২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন তিনিও। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সালমান ইরশাদের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আসিফ আলি। 

এরপরও অবশ্য জয় পেতে বেশি বেগ পেতে হয়নি ইসলামাবাদকে। ফাহিম আশরাফ ও আজম খানের ছোট ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর করে পেশাওয়ার জালমিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে নেয় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। 

এরই মাধ্যমে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো পেশাওয়ার জালমির। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ৪৯ বলে ৬২ রান করেছেন অ্যালেক্স হেলস। পেশাওয়ার জালমির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন সালমান ইরশাদ। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ: ফাহিম আশরাফ [ ১/১৫ (৩ ওভার) ও ১৯*(১৩) ]

স্কোর:

পেশাওয়ার জালমি – ১৬৯/০৫ (২০ ওভার)

কামরান আকমাল ৫৮(৩৯) ; শোয়েব মালিক ৫৫(৪৩)

হাসান আলি ৩/৩০ (৪ ওভার) ; ফাহিম আশরাফ ১/১৫ (৩ ওভার)

ইসলামাবাদ ইউনাইটেড – ১৭০/০৫ (১৯.৩ ওভার)

অ্যালেক্স হেলস ৬২(৪৯) ; আজম খান ২৮(২২)

সালমান ইরশাদ ৩/৩১ (৪ ওভার) ; খালিদ উসমান ১/১৭ (৪ ওভার)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top