পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা

পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা, ব্যবহারের নিয়ম এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিন!

Pevisone cream : হাতে পায়ে চুলকানি হলে অনেক চর্ম বিশেষজ্ঞ পেভিসন ক্রিম এর প্রেসক্রিপশন দিয়ে থাকেন। কেননা পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা অনেক। এটি ব্যবহারে পায়ের যেকোনো চর্মজনিত রোগ দূর হয়। 

মূলত দাদ বা ফাঙ্গাস জাতীয় চুলকানি দূরীকরণে পেভিসন ক্রিম ব্যবহৃত হয়। ত্বকীয় যেকোনো প্রদাহ, ছত্রাক অথবা ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। 

তবে এই ক্রিম এর কী কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে? জানতে হলে লেখাটি পড়তে থাকুন শেষ অব্দি। 

ভিডিওঃ হামদর্দ এর ঔষধ সমূহ | কোন রোগে কোন ঔষধ কার্যকারি বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য 

চুলকানি দূর করার পাশাপাশি এটি হাত পায়ের যেকোনো ধরণের দাগ দূর করতে পারে। এছাড়াও আর পেভিসন ক্রিম এর আরো কী কী উপকারিতা আছে তা নীচে তুলে ধরা হলো৷ 

  • অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি পায়ের যেকোনো ধরণের দাগ দূর করে। 
  • শরীরের যেকোনো অঙ্গের বিভিন্ন চুলকানি যেমন: দাদ, ছত্রাক, ফাঙ্গাস, ইত্যাদি দূর করে। 
  • এলার্জিজনিত সমস্যা শরীরের যেকোনো জায়গা ফুলে গেলে পেভিসন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফোলা কমে। 
  • ছত্রাক ও জীবাণু মিশ্রণের প্রাদুর্ভাবে ঘটা পূনঃপ্রদাহ, একজিমা ইত্যাদি দূরীকরণে দারুণ কার্যকর।  
  • আক্রান্ত কোষঝিল্লির ব্যপ্তিকে পরিবর্তন করে এবং লিপিড বিপাকে বাঁধা প্রদান করে ফলে দ্রুত চুলকানি সেরে যায়। 
  • অতীতের দাদ হওয়া স্থানের কালো দাগ দূর করতেও পেভিসন ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। চামড়ার চুলকানিজনিত দাগ দূর করতে পেভিসন ক্রিম দারুণ কার্যকর। 

[বিঃদ্রঃ যেকোনো ব্যবহারবিধির পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক।] 

পেভিসন ক্রিম (Pevisone cream) কেন ব্যবহার করা হয়

শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ দূর করতে পেভিসন ক্রিম ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত শক্তিশালী উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এটি যেকোনো ধরনের চুলকানির বিরুদ্ধে ব্যবহার মিরা যায়। 

যেসকল ক্ষেত্রে পেভিসন ক্রিম ব্যবহার করা হয় তা নিম্নরূপ:

  • একজিমাটোস মাইকোসেস
  • সোরিয়াসিস
  • টিনিয়া পেডিস (অ্যাথলেটস ফুট)
  • টিনিয়া করপোরিস (রিং ওরম)
  • টিনিয়া ক্রুরিস (জক ইটছ) 
  • ইনফ্লামেটোরি ইন্টারট্রিগো
  • ডায়াপার ডার্মাটাইটিস 

পেভিসন ক্রিম (Pevisone cream) ব্যবহারের নিয়ম 

মূলত দিনে ২ থেকে ৩ বার পেভিসন ক্রিম ক্ষতস্থানে লাগাতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তারেরা সকালে ও রাতে দিনে দু’বার পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তারপর পেভিসন ক্রিম পরিমাণমতো ব্যবহার করতে হবে। 

পেভিসন ক্রিম (Pevisone cream) এর দাম কত

পেভিসন ক্রিম এর দাম মূলত ৫৫ টাকা। তবে স্থানভেদে দামের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। তবে এর সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এর বেশি হবে না। নিকটস্থ যেকোনো ফার্মেসিতেই আপনি এটি পেতে পারেন। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

[নোট: কেনার আগে অবশ্যই মেয়াদ ঊত্তীর্ণের তারিখ ভালোভাবে দেখে নিন। কোনোক্ষেত্রে মেয়াদ যদি ৩ মাস বাকি থাকে সেক্ষেত্রে কিনবেন না।]

পেভিসন ক্রিম এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অত্যন্ত সংবেদনশীল ত্বকেও পেভিসন ক্রিম দারুণভাবে সুসহনীয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে যে লালচে ভাব অথবা মৃদু জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়নি এমন নয়। তবে সংখ্যাটি অতি নগন্য। 

প্রয়োজনীয় সতর্কতা 

ত্বকের বড় অংশ জুড়ে অথবা ব্যান্ডেজ দিয়ে আবৃত করে এই ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়৷ দিনে দুইবার আক্রান্ত স্থান গরম পানি দিয়ে ধুয়ে তাতে অল্প পরিমাণে পেভিসন ক্রিম লাগিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। 

যদিও চুলকানি ভালো না হওয়া পর্যন্ত পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, তবুও সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহের বেশি এই ক্রিম ব্যবহার করা অনুচিত। এতে বিভিন্নরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। 

সমাপ্তি 

শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ বা চুলকানি দূর করতে পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা অপরীসিম। এটি শক্তিশালী ছত্রাকনাশক একটি ক্রিম যা শরীরের যেকোনো চুলকানির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই বাঞ্চনীয়। 

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top