ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট

ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট; যা এড়িয়ে চলবেন!

ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট : লিভার বা যকৃত একটি মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণএকটি অঙ্গ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মানবদেহে লিভারের অনেক জটিল সমস্যা দেখা দেয়।

তারমধ্যে সবথেকে গুরুতর হলো ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। তবে এই সমস্যা কিছুটা হলেও নিরাময় করা সম্ভব ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট এর মাধ্যমে।

ভিডিওঃ ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন।

তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, ডায়েট চার্টের কার্যকারিতা।

ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট

চিকিৎসকদের মতে ফ্যাট লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এর জন্য আপনি ভিটামিন জাতীয় এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। আসুন দেখে নিই একজন ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় থাকা ব্যক্তির ডায়েট কীরকম হওয়া উচিত। 

 ডায়েট চার্ট

সকালের নাস্তা– এক কাপের ও অর্ধেক ওটস এর সাথে  ২ টেবিল স্পুন আমন্ড বাটার।
– এক কাপ কফির সঙ্গে  ফ্যাট ছাড়া কিংবা সর-তোলা দুধ।
দুপুরের খাবার – সুগন্ধি মেশানো ভিনেগার দিয়ে পালং শাক এবং অলিভ অয়েল ছড়ানো।
– ২৫০গ্রাম গ্রিল চিকেন।
– একটা ছোট সিদ্ধ আলু।
– এক কাপ রান্না করা গাজর কিংবা অন্য সবজি।
– একটা আপেল।
– এক গ্লাস দুধ।
বিকালের নাস্তা– হাফ টেবিল স্পুন পিনাট বাটার এবং টুকরো টুকরো করে কাটা আপেল।
– সাথে কাঁচা সবজির হিউমাস।
রাতের খাবার – সিম বা বিনসের মিক্সড সবজি।
– ২৫০ গ্রাম গ্রিলড স্যালমন মাছ।
– এক কাপ রান্না করা ব্রকলি।
– একটা গোটা সবজি দিয়ে তৈরি রোল।
– এক কাপ মিক্সট বেরি।

ফ্যাটি লিভার কী?

মানবদেহে যকৃতের ওজন ৫ থেকে ১০ ভাগের বেশি ফ্যাট দিয়ে পূর্ণ হলে তাকেই ফ্যাটি লিভার বলা হয়। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমতে জমতে সেটি ফ্যাটি লিভারে পরিণত হয়। 

ফ্যাটি লিভার রোগটি হওয়ার ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যায়। শুধুমাত্র এটি বেশি তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে কিংবা মুখরোচক ফাস্টফুড এর কারণেই হয়ে থাকে না। অতিরিক্ত এলকোহল সেবনের কারণেও যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। 

ফ্যাটি লিভার হলে যা যা খাবেন 

মূলত ফ্যাটি লিভার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে—

  1. অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার 
  1. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

সাধারণত অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কম গুড কোলেস্টেরল সমস্যার কারণে লিভারে চর্বি জমে। তাই এই সমস্যা দূর করার জন্য সঠিক খাদ্যভ্যাস খুবই জরুরি।

  • সবুজ শাকসবজি –  প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি যেমন: ব্রকলি,কচু শাক, পালং শাক,লাল শাক বেশি পরিমানে খাওয়া উচিত।
  • রসুন রসুনের এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে থাকে। তাই রসুন লিভারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • আপেল আপেলের পেক্টিন ও ফাইবার দেহের পরিপাক নালী হতে টক্সিন ও রক্ত থেকে কোলেস্টরোল দূর করে। এবং সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে।
  • ওটস  ওটস সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে। লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না এবং ওজন ও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ওটস নিয়মিত খাবার চেষ্টা করুন।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

ফ্যাটি লিভার রোগীর সাধারণত প্রথম দিকে কোনও উপসর্গ থাকে না। তবে নিম্নে উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। লিভার ভালো রাখার উপায় সমূহ জেনে নিন!

চলুন দেখে নেওয়া যাক, ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ সমূহ:

  1.  শরীরে খিদে কমে যাবে।
  1.  শরীরের ওজন বেড়ে যাবে।
  1. অবসাদ, দুর্বলতা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিবে।
  1.  চোখ ও চামড়ার রঙ হলুদ হয়ে যাবে।
  1. পেটে জল জমা আর পা ফুলে যাবে।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

শেষকথা

নিয়মিত যেকোনো পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করলে লিভার ও শরীর সুস্থ রাখা যায়। আশাকরি, উপরোক্ত ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট ফলো করে খাদ্য গ্রহন করে আপনি ফ্যাটি লিভারের  সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে পারবেন। লিভার ভালো রাখতে ফিট থাকার কোনো বিকল্প নেই।

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top