বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায় – আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে, বাচ্চারা বিভিন্ন প্রকার ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে থাকে । যেমন- সর্দি, কাশি ইত্যাদি। এসকল রোগ তেমন একটা মারাত্মক নয় তবে এটা আপনার ছোট সোনামণির জন্য অস্বস্তিকর সমস্যার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা তাদের সমস্যার কথা ঠিকভাবে তাদের বাবা মার কাছে বলতে পারে না ফলে উপযুক্ত চিকিৎসা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। সর্দি, কাশি নির্ণয় করা খুব সহজ একটি কাজ। আপনি আপনার বাচ্চার উপর নজর রেখেই নির্ণয় করতে পারবেন ।
শ্বসনতন্রের ওষুধ (সর্দি ও কাশি নিরাময়ে) (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) কিনুন আমাদের শপ থেকে!
আপনার বাচ্চার যদি সর্দি, কাশি হয় তাহলে এর প্রতিকার কি! তা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। উপরের তথ্যের মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয় আচ করতে পেরেছেন আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু কি হতে চলেছে!
বেশি কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
Table of Contents
বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায় :
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সর্দি, কাশি, জ্বর হলে আমরা বাচ্চাদের কে ট্যাবলেট, সিরাপ ইত্যাদি জাতীয় ঔষধ খাইয়ে থাকি। এটা কি উচিত! এটি অবশ্যই উচিত নয়, কারণ এ সকল অসুখ সাধারণত ১-২ মাস অন্তর হতে থাকে।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন! আমরা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করছি নাকি কমাতে! বাচ্চাদের সাধারণ কিছু অসুখে ঔষধ দিয়ে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করছি না তো! সকল অসুখ যে ক্ষতিকর তা কিন্তু নয়, কিছু অসুখ আছে যেগুলো আসলে উপকারী। সর্দি, কাশি, জ্বর এই তিনটা অসুখ বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
>> বাচ্চাদের খাবার রেসিপি । ফল রাখুন প্রতিদিনের খাবার রুটিনে!
এটা বলার কারণ এই যে এসকল অসুখ এর একটি হলে বাচ্চার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনি এমনিই সৃষ্টি হয় তবে এই অসুখ গুলো হলে অবহেলা না করে এর চিকিৎসা করতে হবে। ঔষধ খাইয়ে যেহেতু এ সকল অসুখ নিরাময়ে নিষেধ করা হচ্ছে তাহলে এর বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এর বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায় কি তা জানা প্রয়োজন।
লেবুর রস –
শিশুদের কাশি নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে লেবুর রস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান যা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। একটি পাত্রে পানি গরম করে একটি লেবু নিয়ে গরম পানিতে ১০ মিনিট লেবু চুবিয়ে রাখুন। এরপর পানি ছেকে নিন স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু কিংবা চিনি মেশাতে পারেন। বাচ্চাকে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়ান ভালো ফলাফল পাবেন ।
>> মধু লেবু দিয়ে রূপচর্চা করুন ঘরোয়া উপায়ে!
আদা –
বাচ্চাদের কাশি দূর করতে আদা খুব কার্যকারী। গরম পানিতে স্বল্প পরিমাণ আদা কুচি করে কেটে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আদা ছেকে নিয়ে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন এতে কাশি দূর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
>> আদার উপকারিতা -১৩ টি গুণাগুণ ৷ প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়?
কমলালেবু –
কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা রক্তকোষের উৎপাদন বাড়ায়। এর ফলে সর্দি, কাশি ইত্যাদি জীবাণু গুলো সুবিধা করতে পারে না। দুই বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের নিয়মিত ১ থেকে ২ গ্লাস কমলালেবু খাওয়াতে হবে এবং ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের হাফ গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে কমলালেবুর রস মিক্সড করে খাওয়াতে হবে।
বুকের দুধ –
বলা হয়, মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধ বাচ্চার জন্য সেরা পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ খাবার এটি যেকোন রোগবালাই থেকে বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখে। ৬ মাসের ছোট বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ খাওয়ালে তারা সর্দিকাশি মুক্তি পায়।
উপরের তালিকাভুক্ত খাদ্য বাচ্চাকে খাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে সর্দি, কাশি দূর করা সম্ভব।
পরিসমাপ্তি –
সর্দি, কাশি ভয়ংকর না তাই বলে এই রোগ নিয়ে বসে থাকার কোন কারণ নেই। মনে রাখবেন যে কোন রোগ আপনার বাচ্চার জন্য মারাত্মকরুপ নিতে পারে। এ সকল সাধারণ রোগ হলে ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চার চিকিৎসা করার চেষ্টা করুন। যদি মনে হয় সর্দি, কাশি জটিল রুপ নিচ্ছে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চাকে চিকিৎসা দিন।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com