হাত পা ঘামার কারণ ও প্রতিকার

হাত পা ঘামার কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন!

হাত পা ঘামার কারণ ও প্রতিকার – হাত পা বেশি ঘামলে সমস্যা কি? মুছে ফেললেই হয়ে গেল- এমনটাই ধারণা করে অনেকে। কিন্তু হাত পা ঘামার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন কারণ এটি স্বাভাবিক কোন লক্ষন নয়। আর এই অস্বাভাবিকতা নির্দেশ করতে পারে বড় কোন সমস্যার আশঙ্কা। জানুন বিস্তারিত-

হাত পা ঘামার কারণ ও প্রতিকার

নাক, মুখ ও গলার সমস্যায় কার্যকরী (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!

কারণ

আমাদের হাত ও পায়ে শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঘাম গ্রন্থির পরিমান তুলনামূলক কিছু বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এই গ্রন্থিগুলো থেকে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত যেটা সবসময় উদ্বেগের বিষয় নয়। 

তবে কিছু ক্ষেত্রে এগুলো বড় ধরণের শারীরিক সমস্যাকে নির্দেশ করতে পারে, যেমন- ডায়াবেটিস, মেনোপোজ, লো-ব্লাড সুগার, ওভারএকটিভ থাইরয়েড, স্নায়ুত্বন্ত্রের সমস্যা, বিভিন্ন সংক্রমণ ইত্যাদি।

তাছড়া মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা জেনেটিক কারণেও হাত পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। তাই আপনি হয়ত লক্ষ করে থাকবেন ঘুমের সময় এই সমস্যা একেবারেই হয় না। তবে আপনি যদি নিয়মিত এই সমস্যাটির সম্মুখীন হন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

হাত পা ঘামার কারণ ও প্রতিকার

প্রতিকার

সমস্যা যদি খুব গুরুতর না হয় তাহলে হাত পা ঘামার কারণ ও  প্রতিকার নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। ঘরোয়া পদ্ধিতিতে খুব সহজেই আপনি এর সমাধান করতে পারবেন। 

বেকিং সোডা

অতিরিক্ত ঘাম বন্ধ করতে বেকিং সোডা একটি দ্রুত ও সাশ্রয়ী উপাদান। রান্নাঘরের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ উপদান বেকিং সোডা, দাঁত পরিস্কার ও সাদা করতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর এবং সুপরিচিত। পাশাপাশি বেকিং সোডা ক্ষারযুক্ত হওয়ায় এটি ঘাম কমাতে এবং ঘামটি দ্রুত বাষ্পীভূত করতে পারে। 

কয়েক চামচ বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। হাত বা পায়ের যে অঞ্চলে বেশি ঘাম হচ্ছে সেখানে ৫ মিনিট ধরে পেস্টটি ঘসতে থাকুন। এরপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। 

ডিওডোর‌্যান্ট (Deodorant)

বোগলের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সাধারণত ডিওডোর‌্যান্ট ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ঘাম প্রতিরোধেও অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা অ্যালুমিনিয়াম সল্টের এ্যাকটিভ ইনগ্রিডিয়েন্ট ঘাম গ্রন্থিগুলোকে ব্লক করার মাধ্যমে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে। 

বোগলের ক্ষেত্রেই নয়, আপনার শরীরের যেখান থেকেই অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হয় আপনি সেখানেই ডিওডের‌্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে সুবিধা হয় যদি আপনি রাতে ঘুমানোর পূর্বে ব্যাবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্কিন অনেকটা সময় পাবে এটি শোষণ করার জন্য। 

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার (Apple cider vinegar)

আপনি হাত পা ঘামার কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে ভাবলে আপনাকে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে হবে। এটি আপনার শরীরের পি.এইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রেখে ঘামের ফোটাগুলোকে শুকিয়ে রাখতে পারে। 

আপনি ঘুমানোর আগে এটি দিয়ে ঘামঝরা অংশগুলো মুছে ফেলতে পারেন। অথবা আপনার ডায়েটে প্রতিদিন দুই চামচ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। মধু বা ফলের জুসের সাথে মিশিয়ে আরো মজাদার পানীয় হিসাবেও পান করতে পারেন। 

শেষ কথা

হাত পা ঘামা কোন জটিল রোগ নয়। তাই হাত পা ঘামার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। কিন্তু যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিৎ হবে না। এক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতির কোন একটি প্রয়োগ করতে পারেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ করতে পারেন।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top