হার বাংলাদেশের

টি টুয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও হার বাংলাদেশের!

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। আজকের অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিংয়ে মাঠে নামে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। ইনজুরির কারণে খেলছেন না লিটন দাস।

গত ম্যাচে রানের তেমন গতি না থাকলেও আজকে শুরু থেকেই দলকে টানতে থাকেন তামিম ইকবাল। দলীয় হাফ সেঞ্চুরির পরে নিজের অর্ধশতকও তুলে নেয় বাঁহাতি এই ওপেনার। ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে আর বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তামিম। ৪তম বলে তানাকার বলে কাইতানোর হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে তামিম ইকবাল। 

তামিম ফেরার পরে বিজয়ও বেশীক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। অদ্ভুত এক রান আউটে ২৫ বলে ২০ রান ঝুলিতে নিয়ে ফিরতে হয় বিজয়কে। শান্তর স্ট্রাইক লরা বল তানাকার হাতে লেগে উইকেটে লাগে। তখন দাগ থেকে অল্প বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল বিজয়। এই অসাবধানতার কারণেই রানআউট হয়ে বিদায় নিতে হয় বিজয়কে। 

তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তবে বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাদের জুটি। ৩১ বলে ২৫ রান করে ওয়েসলি মাধেভেরের বলে  টনির হাত ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন মুশফিক। মুশফিক ফেরার কয়েক ওভার পরেই বিদায় নেয় শান্ত। মাধেভেরের পরের শিকার ছিল লিটনের পরিবর্তে একাদশে খেলতে নামা শান্ত। ৫৫ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফিরে শান্ত। 

দলীয় ১৪৮ রানে চারটি উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে এই সময়েই দলকে অনেক এগিয়ে দেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন জুটি। ৮১ রানের এক ভালো জুটি উপহার দেয় রিয়াদ – আফিফ। ৪১ বলে ৪১ রান করে রাজার বলে চিভাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে আফিফ হোসেন। আফিফের পরেই রাজার বলে এলবিডব্লিউ-এর শিকার হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে মিরাজ। তবে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সক্ষম হয় মাহমুদউল্লাহ্। 

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভর শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯০ রান। ৮৪ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত ছিল মাহমুদউল্লাহ্। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সিকান্দার রাজা। এবং দুইটি উইকেট নিয়েছেন ওয়েসলি মাধেভেরে। 

২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। হাসান মাহমুদের বলে উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিমের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে তাকুওয়াদনাশে কাইতানো। শূন্য রানে ফিরে কাইতানো। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ইনোসেন্ট কাইয়াকেও সাজঘরে ফেরায় হাসান মাহমুদ। কাইতানোর মতো কাইয়াও একইভাবে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় কাইয়াকে। 

হাসান মাহমুদের পরে দলকে উইকেটের দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ১৬ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে মাধেভেরে। পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয় জিম্বাবুয়ে। 

মাধেভেরের পরে মারুমানিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করে সিকান্দার রাজা। তবে তাইজুলের বলে মিজারের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে মারুমানি। ৪২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরে মারুমানি। 

মারুমানির পরে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে রাজা ও রেজিস চাকাভা। ছক্কা দিয়েই ৬৭তম বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রাজা। সিকান্দার রাজার পর পর সেঞ্চুরির দেখা পান চাকাভাও। সেঞ্চুরির পরেই অবশ্য আউট হয় চাকাভা। ৭৫ বলে ১০২ রান করে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিমের হাত বন্দি হয় বল। এর মাধ্যমে তাদের ২০১ রানের জুটি ভেঙে যায়। চাকাভা ফিরলেও জয় নিশ্চিত করে রাজা। 

১৫ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। ১২৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে অপরদজিত ছিল রাজা অপর প্রান্তে ১৬ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিল মনিয়ঙ্গা।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

বাংলাদেশ – ২৯০/৯ (৫০)

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮০

তামিম ইকবাল ৫০

আফিফ হোসেন ৪১

নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৮

সিকান্দার রাজা ৩/৫৬

জিম্বাবুয়ে – ২৯১/৫ (৪৭.৩)

সিকান্দার রাজা ১১৭

রেজিস চাকাভা ১০২

টনি মনিয়ঙ্গা ৩০ 

হাসান মাহমুদ ২/৪৭

মেহেদী হাসান মিরাজ ২/৫০ 

ফলাফল – জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে জয়ী ।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ – সিকান্দার রাজা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top