২য় টি টোয়েন্টিতে

রভম্যান পাওয়েল ও ব্রেন্ডন কিংয়ের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে ২য় টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩৫ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

১ম টি টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর ২য় টি টোয়েন্টিতে ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। টসে জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিল ১টি ও বাংলাদেশ দলে ছিল ২টি পরিবর্তন। ডেভন থমাসের পরিবর্তে উইন্ডিজ দলে যুক্ত হন কিমো পল। অন্যদিকে, মুনিম শাহরিয়ার ও নাসুম আহমেদের পরিবর্তন হিসেবে টাইগারদের একদাশে জায়গা পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিন আহমেদ। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), কাইল মায়ার্স, ব্রেন্ডন কিং, শামারাহ ব্রুক্স, রভম্যান পাওয়েল, রোমারিও শেপার্ড, ওডিন স্মিথ, কিমো পল, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাক্কয়, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।

১ম ইনিংস: ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেন ব্রেন্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। ১ম ওভার থেকেই আক্রমনাত্মক হয়ে খেলতে শুরু করেন কাইল মায়ার্স। কিন্তু, শেখ মেহেদীর ২য় ওভারেই আউট হন এই ব্যাটসম্যান। ৪র্থ ওভারে সাকিব আল হাসানের শিকারে পরিণত হন শামারাহ ব্রুক্সও।

অবশ্য এরপর আর রান সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। মাঝে, নিকোলাস পুরান ৩৪ রান করে আউট হলেও ঠিকই নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ব্রেন্ডন কিং। রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে গড়েন এক অসাধারণ জুটি। ১৮তম ওভারে ব্রেন্ডন কিং ৫৭ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন এবং একই ওভারে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রভম্যান পাওয়েল।

অবশেষে, ব্রেন্ডন কিং এর হাফ সেঞ্চুরি ও রভম্যান পাওয়েলের অপরাজিত ২৮ বলে ৬১ রানের এক ঝড়ো ইনিংসের পর স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩ রান।

২য় ইনিংস: উইন্ডিজের দেওয়া ১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ের শুরুটা করেন এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস। কিন্তু, ২য় ওভারেই হোঁচট খায় টাইগাররা। ওবেদ ম্যাক্কয়ের ঘূর্ণিতে নিজেদের উইকেট হারান এই দুইজন ওপেনার। এরপর, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেমেও কোনো সুবিধা করতে পারেননি।

পরের ওভারে তিনিও ফিরেন মাত্র ১১ রান করে। এরই ধারাবাহিকতায় পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান। আফিফ হোসেনকে নিয়ে দলের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আফিফও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।

রোমারিও শেপার্ডের বলে আউট হন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। আফিফের পর মাঠে আসেন নুরুল হাসান সোহান। তিনিও খুব দ্রুত সাজ ঘরে ফিরেন। ব্যাটসম্যানদের এই আসা যাওয়ার মধ্যেও অপরপ্রান্ত ঠিকই ধরে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ সাকিব। কিন্তু, চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশের রানের চাকা ছিল খুব ধীর।

১৮তম ওভারে সাকিব নিজের অর্ধ শতক পূর্ণ করলেও ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান। যার ফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩৫ রানের হার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ দলের।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: রভম্যান পাওয়েল।

স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৯৩/০৫ (২০ ওভার)

রভম্যান পাওয়েল – ৬১* (২৮)

শরিফুল ইসলাম – ২/৪০ (৪ ওভার)

বাংলাদেশ – ১৫৮/০৬ (২০ ওভার)

সাকিব আল হাসান – ৬৮* (৫২)

রোমারিও শেপার্ড – ২/২৮ (৪ ওভার)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top