টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় আমাদের অনেকেরই অজানা। মানব শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোনের নাম টেস্টোস্টেরন। শরীরে টেস্টোস্টেরন এর ঘাটতি দেখা গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
টেস্টোস্টেরন পরিক্ষা করে নির্ণয় করে নিন যদি আপনি টেস্টোস্টেরন ঘাটতি সম্পর্কিত সমস্যায় ভুগতে থাকেন। কয়েকটি বিষয় ঠিকভাবে পালন করলেই এ হরমোনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব।
আজকের পর্বে আমরা টেস্টেস্টোরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। আলোচনার ক্ষেত্রে প্রথমে যে বিষয়টি আসে তা হলো টেস্টোস্টেরন হরমোন কি ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পুরুষ হরমোন কমে গেলে কি হয় ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Table of Contents
টেস্টোস্টেরন হরমোন কি ?
এই টেস্টোস্টেরন টি হরমোন হলো এন্ড্রোজেন শ্রেনিভুক্ত স্টেরয়েড হরমোন। পুরুষত্বের জন্য অন্তর্ভুক্ত প্রধান স্টেরয়েড হরমোন যা আন্ড্রেজোন গ্রুপের। মানুষসহ সকল প্রাণীজগতের শুক্রাশয়ে এ হরমোন উৎপন্ন হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় ও নারীর ডিম্বাশয় থেকে এ হরমোন উৎপন্ন হয়। যদিও কিছু পরিমানে আড্রেনাল গ্রন্থি থেকে নিঃস্বরণ হয়। এ হরমোন পুরুষত্বের ক্ষেত্রে প্রধান। পুরুষের জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত) মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয় ?
আগেই বলা হয়েছে টেস্টোস্টেরন হরমোন মানবশরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ইন্সটিটিউট অব হেলথ এর মতানুসারে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর উপর পুরুষের শারীরিক উর্বরতা নির্ভর করে। নারীদেহেও কিছু পরিমাণে এ হরমোনের দেখা পাওয়া যায়। পুরুষের শরীরে এ হরমোনের ঘাটতি দেখা গেলে কি কি সমস্যা হতে পারে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
বাড়তি ওজনঃ-
শরীরের বাড়তি ওজনের কারণে মানবদেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা যেতে পারে। বাড়তি ওজন টেস্টোস্টেরন কে ইস্ট্রোজেনে রুপান্তর করে। বিনা কারণেও মানবদেহে এ হরমোনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার, ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
অবসাদঃ-
দুপুরের খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই শারীরিক ক্লান্তি চলে আসে। অনেকেই কোনো কাজ করতে উৎসাহ পাই না। শরীর ভারী অনুভব হয়। অনেকের নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়। শারীরিক বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারো শরীরে এই রকম সমস্যা দেখা গেলে তার টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা পরিক্ষা করানো উচিত।
ঘুমের সমস্যাঃ-
যেসকল পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন জনিত সমস্যা বিদ্যমান তাদের সাধারণত ভালোমতো ঘুম হয় না। ঘুম না হওয়ার ফলে ঘুম না হওয়া জনিত বিভিন্ন রোগ তাদের মানবদেহে সংক্রমিত হয়। যেমনঃ- হার্ট অ্যাটাক, খিটখিটে মেজাজ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
বিষণ্নতাঃ–
এক গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে ছেলেরা বিষণ্নতায় ভোগে। তাছাড়া শারীরিক, মানসিক সমস্যায় ভোগে।
অস্বস্তিবোধ ও ব্যথাঃ-
টেস্টোস্টেরন এর অভাবে পেশির শক্তি কমে যায়। শরীরের বিভিন্ন পয়েন্টের হাড়ে ব্যথা অনুভব হয়। এছাড়া এ হরমোন এর অভাবে শারীরিক, মানসিক উভয়ক্ষেত্রে অস্বস্তিবোধ অনুভব হয়।
হাড়জনিত সমস্যাঃ-
বলা হয়ে থাকে, হাড়জনিত সমস্যা কেবল নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু যেসকল পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন জনিত সমস্যা বিদ্যমান তাদের ক্ষেত্রেও হাড়জনিত সমস্যা দেখা যেতে পারে।
স্তন বৃদ্ধি পাওয়াঃ-
দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর অভাব হলে এস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন এর মধ্যকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়ে ফলে পুরুষের স্তন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। এ রোগকে গাইনোকোমাস্টিয়া বলা হয়।
মনোযোগের অভাবঃ-
এ হরমোন এর অভাব হলে মস্তিষ্কে কোন কিছু মনে রাখতে সমস্যা হয়। যার ফলে কোন কিছুতে মনোযোগ আনা যায় না। এগুলো সমস্যা ছাড়া আরোও যেসকল সমস্যা গুলো হয়ে থাকে যেমন,
*পুরুষের যৌননাঙ্গ বিকশিত না হতে পারে।
*ভালোভাবে দাঁড়ি- গোফ ওঠে না। মাংশপেশীর শক্তি থাকে না।
*গ্রোথ হরমোনে বাধাগ্রস্ত হয়।
*পেশি গঠনে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় আমাদের সকলের জানা উচিত, বিশেষ করে পুরুষের। ধরুন আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনের সমস্যা রয়েছে। এখন আপনি এ সমস্যা সমাধানের জন্য, চিকিৎসা করতে চাচ্ছেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এ হরমোনের সমস্যা হলে কি ধরনের ঔষধ চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ –
আমরা সকলে জানি যে, টেস্টোস্টেরন হরমোন এর চিকিৎসা কেবলমাত্র একজন দক্ষ চিকিৎসকই করে থাকেন। চিকিৎসক চিকিৎসা দেওয়ার আগে রোগীর টেস্টোস্টেরন এর ঘাটতি, তাছাড়া যেগুলো পরীক্ষা করা দরকার টেস্টোস্টেরন এর চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেগুলো পরীক্ষা করে থাকেন।
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের হাইপোগোনাদিজম ভালো করতে যেসব ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেগুলোর ডোজ নিচে দেওয়া হলোঃ-
- প্রাথমিক ডোজঃ- ১২০ থেকে ১৬০ মি.লি গ্রাম টেস্টোস্টেরন আন্ডার সাইকেলেনেট এস্টার নিয়মিত ।
- অবিরাম ডোজঃ- ৪০ থেলে ১২০ মি.লি গ্রাম টেস্টোস্টেরন আন্ডার সাইকেলেনেট এস্টার নিয়মিত।
*ডি অ্যাসপার্টিক এসিড, ন্যাচারাল অ্যামিনো অ্যাসিড, এগুলো কম টেস্টোস্টেরন হরমোনকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
*ভিটামিন ডি সূর্যের আলোতে প্রকাশিত হয়ে ত্বকে উৎপাদিত হয়।
*মেথি।
*আদা।
*দস্তা।
*অশ্বগন্ধা।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার –
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় এর অন্যতম দিক হলো কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া। যেসকল খাবার খেলে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো।
পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার ব্যায়াম এবং খাদ্য তালিকা ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
বয়স ত্রিশ পার করার পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা কমতে পারে। ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা যেতে পারে। যেমনঃ-স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, লিঙ্গে সমস্যা, খিটখিটে মেজাজ, মনোযোগের অভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এইগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে, টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় বের করতে যেসকল খাবার খেতে হতে পারে। তা হলোঃ-
*মধুঃ- মধুতে রয়েছে বেরোন যা প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান। টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা বাড়াতে এবং নাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা সঠিক পরিমাপে রাখতে সহায়তা করে।
বাঁধাকপিঃ-
শীত মৌসুমি ফসল হিসেবে এই ফসল টি আমাদের কাছে অতি পরিচিত। এই ফসলে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। ইনডোল থ্রি-কার্বিনল নামক এক উপাদান বিদ্যমান রয়েছে এই ফসলে। এই উপাদান স্ত্রী হরমোন ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমিয়ে টেস্টোস্টেরন হরমোন কার্যকর করে।
রসুনঃ-
অনেক গুণাগুণ সম্পন্ন একটি ফসল। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন যৌগ। যা মানসিক হরমোনের করটিসলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। ফলে টেস্টোস্টেরন হরমোন ভালোভাবে কাজ করে। রসুন মানবদেহের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে।
ডিমঃ-
ডিমে যেসকল উপাদান বিদ্যমান তা হলোঃ-স্যাচারেইটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি এস, ভিটামিন-ডি, কোলেস্টেরল, ও প্রোটিন, টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি ক্ষেত্রে এই উপাদান অতি প্রয়োজনীয়।
কলাঃ-
কলার মধ্যে যেসকল উপাদান রয়েছে তা হলোঃ- ভিটামিন, প্রোটিন, ব্রোমেলেইন, এনজাইম, ইত্যাদি পুষ্টিগুণ। এ ফলের কিছু উপাদান টেস্টোস্টেরন হরমোন এর পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি ও এনার্জি ধরে রাখা সম্ভব হয়। টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে এই ফলটি গ্রহণ করা যেতে পারে।
কাঠবাদামঃ-
নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে কাঠবাদাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কাঠবাদাম সেক্স ড্রাইভ এর পক্ষে জরুরি। কাঠবাদামে জিংক উপাদান রয়েছে। যা টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ায় এবং কামবাসনা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে এ উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
ঝিনুকঃ-
টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরির ক্ষেত্রে জিংক গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়ে এক প্রকার জিংক জরুরি। ঝিনুকে রয়েছে অনেকে পরিমাণে খনিজ উপাদান। যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ঝিনুক অপছন্দ হলে, তার বিকল্প পনির বা চিজ হতে পারে।
টক ফলঃ-
টক জাতীয় ফলে স্ট্রেস হরমোন কমানোর ক্ষমতা রয়েছে পাশাপাশি এ জাতীয় ফলে রয়েছে ভিটামিন এ। টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে বিবেচনা করে অনেকেই এ ফল খেয়ে থাকছে। এ ফল ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমায় এবং পুরুষ হরমোন কে ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
পালংশাকঃ-
পালংশাক ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এ সকল উপাদান টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে পরীক্ষিত।
আঙ্গুরঃ-
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে পরীক্ষিত ফল আঙ্গুর। এক গবেষণায় দেখা গেছে,পরিমাণ মতো লাল আঙ্গুর নিয়মিত খেলে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়।
ডালিমঃ-
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে জানা গেছে। যারা নিয়মিত ডালিম খেয়ে থাকেন। সেসকল পুরুষদের মাঝে ৪৭ শতাংশ পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন এর বৃদ্ধি লক্ষণীয়।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
মাংসঃ-
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে মাংস খুবই উপকারী। যারা একেবারেই মাংস খায় না তাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কম থাকে। তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া থেকে সাবধান। গবেষকরা জানিয়েছে, গরু, ভেড়ার মাংসে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যয়াম –
মানবদেহকে সুস্থ-সবল রাখতে ব্যয়ামের বিকল্প নেই। আপনি জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন আবার বিভিন্ন কাজ করার মধ্য দিয়ে শারীরিক শক্তি খরচ করেও আপনার ব্যায়াম হতে পারে। টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় শারীরিক শক্তি খরচ করে যেকোনো কাজের দ্বারা হতে পারে। যারা ভাবছেন জিমে গিয়ে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়াবেন তাদের যেসব ওয়ার্কআউট করা লাগতে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ- পুশ আপ, সিট আপ, বারবেল কার্ল, নী-আপ, বাইসেপ ওয়ার্ক আউট, থাই ইত্যাদি ব্যায়ামের মাধ্যমে এ হরমোনের মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ –
বর্তমান প্রক্ষাপটে পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীনতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। হোমিওপ্যাথ চিকিৎসায় সময় একটু বেশি লাগলেও এর দ্বারা মানুষ তাদের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করছে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন চিকিৎসা –
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে চিকিৎসাও গ্রহণ করা যেতে পারে। মাঝে মাঝেই আপনি নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার হরমোনের মাত্রা পরিমাপ করে নিতে পারেন। টেস্টোস্টেরন পরিমাপ করতে ভুলে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মাফিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত ঔষধ তীব্র তাপ, বাতাসের আদ্রতা, সূর্যের আলো থেকে সংরক্ষণ করে দূরে রাখুন।
ঔষধ প্যাকেজিংয়ের সকল তথ্যাদি ভালো করে পড়ে টেস্টোস্টেরন ব্যবহারের জন্য ডাক্তার পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে। টেস্টোস্টেরন ব্যবহার করার পূর্ব পরে হাত ধুয়ে ফেলা উচিত। টেস্টোস্টেরন ক্যাপসুলগুলি খাবারের সাথে গ্রহণ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে টেস্টোস্টেরনের ইঞ্জেকশন কেবলমাত্র একজন দক্ষ চিকিৎসকের দ্বারা দেওয়া হয়ে থাকে। টেস্টোস্টেরন হরমোন চিকিৎসার পূর্বে আপনার শারীরিক কি কি সমস্যা থাকলে আপনাকে দেখে শুনে চিকিৎসা নিতে হবে তা নিচে দেওয়া হলোঃ-
- ঔষধের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে আপনারা টেস্টোস্টেরনের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারবেন না।
- কিডনি, হার্ট, লিভার, ডায়াবেটিস, মাইগ্রেন, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি অসুখ থাকলে টেস্টোস্টেরন হরমোন চিকিৎসার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- বর্তমানে আপনি নির্দিষ্ট কোন হাসপাতাল বা মেডিক্যাল থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করাচ্ছেন কি না তা ডাক্তারকে জানান। বিশেষ অ্যান্টিডোপিং টেস্টগুলো।
- রক্তের ঘনত্ব কম, পরিপূরক বা ভেষজ ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তা ডাক্তার কে জানান।
- টেস্টোস্টেরন ব্যবহার করার পর যদি দেখেন অ্যালর্জির সাইড ইফেক্ট লক্ষ করেন তবে একজন দক্ষ ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
পরিসমাপ্তি-
উপরের আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চয় আমরা টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। টেস্টোস্টেরন এর ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন অসুখ মানবদেহ কে ঘিরে ধরে। শারীরিক অক্ষমতা, দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়া, ইত্যাদি। এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে ব্যয়াম, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা, রাত না জাগা, কোন কিছু নিয়ে বেশি না ভাবা ইত্যাদি । কথায় আছে স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। অর্থাৎ স্বাস্থের যত্ন নিলে আশা করা যায় টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থেকে আপনার শরীর মুক্ত থাকবে।
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!
**লেখক- আরিফুল আবির**
ট্যাগঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার , টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম , টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ , টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয় , টেস্টোস্টেরন হরমোন চিকিৎসা ।
>> হরমোন কি | এর ভারসাম্যহীনতা,লক্ষণ সহ সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ!
পুরুষ বয়স ৫৮+, ব্লাড টেষ্ট রিপোর্টে টেষ্টোষ্টেরন কম আছে এটি বাড়াতে কোন আয়ুর্বেদিক বা অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে জানান। 🙏