প্রথম প্লে অফ

প্লে অফে চট্টগ্রামের কাছে হেরে খুলনার বিদায়!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল ২০২২) এর প্রথম প্লে অফ এ আজকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মেহেদি হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্স ও মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। টসে জিতে বোলিং বেছে নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিক।

প্লে অফের ওপেনিং এ চট্টগ্রামের হয়ে নামেন উইন্ডিজ তারকা কেভিন লুইস ও বাংলাদেশি জাকির হাসান। দলীয় ১২ রানে নিজের রানের খাতা না খুলতেই খালেদ আহমেদের বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে ক্যাচ দিয়ে জাকির হোসেন আউট হন। জাকিরের আউটের পর আফিফ এসেও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।

রুয়েল মিয়াহ এর বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরেন মাত্র ৩ বলে ৩ রান করে। চট্টগ্রাম দলীয় ১৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে যায়। কেভিন লুইস তখন জুটি গড়েন তাঁরই স্বদেশী চ্যাডউইক ওয়াল্টনের সাথে। 

দলীয় ৫৪ রানে নাবিল সামাদের বলে লেগ-বিফরে আউট হন ৩২ বলে ৩৯ করা কেভিন লুইস। লুইস আউট হলে চ্যাডউইক ক্রিজ ভাগাভাগি করেন শামিম হোসেনের সাথে। যদিও তা দীর্ঘ হয়ে উঠেনি মাহেদি হাসানের জন্য। ব্যক্তিগত ৭ বলে ১০ রানের মাথায় লেগ-বিফরে আউট হন শামিম।

একপাশে ক্রিজ আঁকড়ে পরে থাকা চ্যাডউইক এবার সঙ্গী হিসেবে পান আস্থাবান মেহেদি মিরাজকে। দুজনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের এক অসাধারন জুটি। ১১৫ রানের এ জুটিই মুলত আজকের চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহের মূল মেরুদন্ড। 

এ জুটি কাটা পরে দলীয় ১৮০ রানের মাথায় খালেদ আহমেদের বলে মেহেদি মিরাজের বোল্ড আউটে। ৩০ বলে ৩৬ করে আউট হন মেহেদি। ওপর দিকে ম্যাচ শেষে ৪৪ বলে ৮৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন চ্যাডউইক। সঙ্গে বিনি হাওয়েল অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৮ রান করে। সবশেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান। 

ক্রিকেটের আরও খবর…

বোলিং এ খুলনার খালেদ আহমেদ নেন ৪০ রানের বিনিময়ে ২ টি উইকেট। নাবিল সামাদ ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। সাথে রুয়েল মিয়াহ আর মাহেদি হাসান নেন ১ টি করে উইকেট।

চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্সের দেয়া ১৯০ রানের টার্গেটে ওপেনিং এ নামে খুলনা টাইগার্সের উইন্ডিজ তারকা আন্দ্রে ফ্লেচার বাংলাদেশি তরুণ অলরাউন্ডার মাহেদি হাসান। যদিও বড় টার্গেটে খেলতে নেমে খুলনার ওপেনিং এর শুরুটা ফিকে হয়ে যায় মাহেদি হাসানের আউটে। 

দলীয় ২১ রানের মাথায় ইনিংসের ২.২ ওভারে নাসুম আহমেদের বলে ৪ বলে ২ রান করে চ্যাডউইককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাহেদি হাসান। মাহেদি হাসানের পর সৌম্য সরকার এসেও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। সৌম্যকে এক প্রান্তে রেখে খেলতে থাকেন ফ্লেচার। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় ২ বলে ১ রান করে মৃত্যুন্জয়ের বলে আকবর আলিকে ক্যাচ দিয়ে  আউট হন সৌম্য। 

অধিনায়ক মুশফিকের সাথে ক্রিজ ভাগাভাগি করেন ফ্লেচার আর দুজনে মিলে জুটি করেন ৬৪ রানের। ১২.১ ওভারে  দলীয় ১০৭ রানে তাঁদের এ জুটি ভাঙ্গেন মেহেদি হাসান মিরাজ ২৯ বলে ৪৩ রান করা মুশফিককে আকবর আলির  হাতে ক্যাচ দিয়ে।

তখনো ক্রিজে থাকা ফ্লেচারের এবারের সহযোগী ইয়াসির আলি রাব্বি। দুজনে মিলে আবার জুটি করে তোলেন ৬৫ রান। দলীয় ১৭২ রানে ১৮.৩ ওভারে শরিফুলের বলে বিনিকে ক্যাচ দিয়ে ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ইয়াসির আলি। অবশেষে থিসারা পেরেরা মেহেদি হাসানের বলে  ৪ বলে ৩ রান করে আউট হলে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে। 

৫৮ বলে ৮০ রানের এক চমৎকার ইনিংস খেলে ম্যাচশেষ অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে ফ্লেচার। চট্টগ্রামের বোলিং এ মেহেদি হাসান নেন ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট। এছাড়াও মৃত্যুন্জয়, শরিফুল, নাসুম নেন ১ টি করে উইকেট।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্সঃ ১৮৯-৫ (২০)

কেভিন ৩২(৩৯), আফিফ ৩(৩), চ্যাডউইক ৮৯(৪৪), শামিম ১০(৭), মেহেদি ৩৬(৩০), হাওয়েল ৮(৩)

খালেদ ৪-০-৪০-২, নাবিল ৪-০-১৫-১, রুয়েল ৩-০-৩২-১, মাহেদি ৩-০-৩৭-১, থিসারা ৩-০-৩৮-০, রেজা ৩-০-২৫-০

খুলনা টাইগার্সঃ ১৮২-৫ (২০)

ফ্লেচার* ৮০(৫৮), মাহেদি ২(৪), সৌম্য ১(২), মুশফিক ৪৩(২৯), ইয়াসির ৪৫(২৪), থিসারা ৩(৪)

নাসুম ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৪-০-৪৩-১, মেহেদি ৪-০-৪০-২, মৃত্যুন্জয় ৪-০-৩৪-১, হাওয়েল ৪-০-৩৬-০

ফলাফলঃ চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্স ৭ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরাঃ চ্যাডউইক ওয়াল্টন ৮৯(৪৪)*।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top