পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা – পাইলস রোগের যাতনা একমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তিই জানে। বর্তমান সময়ে এটি একটি পরিচিত রোগ। এখনকার মানুষের খাদ্যভ্যাস ও ব্যস্ততার কারণে সময়মতো টয়লেট ইউজ না করাই মূলত পাইলস রোগের প্রধান কারণ।
কোন ব্যক্তির পাইলস হলে তার মাথায় খারাপ চিন্তা ভর করে ফলে সে মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়ে। পাইলস এর অপারেশনও অনেক ব্যয়বহুল, আবার অপারেশন করার পরেও এই সমস্যাটি পূনরায় দেখা দিতে পারে।
অর্শ-গেজ-পাইলস রোগের লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
এসব বিষয়ে যাবতীয় আলোচনাসহ পাইলস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো আজকের নিবন্ধে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন শেষ পর্যন্ত।
Table of Contents
পাইলস কি ?
বর্তমান যুগে পাইলস খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। এটি মলদ্বারের এক ধরনের জটিল রোগ। পাইলস এর ফলে রক্তনালিগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোন বয়সের মানুষ এ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এটি সাধারণত দুই স্থানে হয়ে থাকে মলদ্বারের ভিতরে এবং বাইরে। পাইলস হলে সাধারণত চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। লজ্জায় অনেকে এ সমস্যার কথাটি মানুষের সামনে বলতে পারে না ফলে অনেকেই ভুল চিকিৎসার শিকার হন যা স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করে।
পাইলস কে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হেমরোয়েডস বলা হয়। মলদ্বারের নিচের অংশে গোল আকারে ফুলে উঠে, ফলে যে কোন সময় সেই জায়গা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। এটি খুবই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রনাদায়ক।
পাইলস এর লক্ষণ
পায়খানার সময় গুহ্যদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ পাইলস এর প্রধান লক্ষণ। এছাড়া জ্বালাপোড়া, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এক নজরে দেখে নিন পাইলস এর প্রধান লক্ষণগুলো।
- পায়ুপথে শক্ত যন্ত্রণাদায়ক লাম্প অনুভূত হওয়া।
- মলত্যাগের সময় রক্ত পড়া এবং ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- মলদ্বার জ্বালাপোড়া, অসহনীয় যন্ত্রনা, ব্যথা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হওয়া।
- মলদ্বারের বাইরের স্থান ফুলে যায় ফলে ব্যথা অনুভব।
- অনেক সময় রক্তপাত হয় এবং আক্রান্ত স্থানটি ফুলে উঠে।
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আ্যানিমিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া।
পাইলস কি ভালো হয় ?
পাইলস এর রোগী শুধু একটি কথাই ভাবতে থাকে, পাইলস কী আদৌ ভালো হয়? দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে একজন পাইলস রোগী সেসময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। কিন্তু এখানে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অপারেশনের মাধ্যমে পাইলস ভালো হয়। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় অপারেশনের পরেও পাইলস আবার ফিরে আসে। সেক্ষেত্রে আপনি পাইলস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করতে পারেন যা আপনার পাইলস রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিরতরে দূর করতে সহায়তা করবে।
পাইলস থেকে ক্যান্সার
আমাদের দেশে পাইলস রোগে ভুক্তভোগী হচ্ছেন অনেকে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা মলদ্বারে চুলকানি, রক্তপাত, ফুলে উঠা, ব্যথা ইত্যাদি পাইলস এর উপশম। এ ধারণা টি আসলে ভুল। উপরিউক্ত সমস্যা গুলোর কারণ ক্যান্সারও হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় এগুলো সমস্যার কারণ ফিস্টুলা।
আমরা সাধারণত জানি পাইলসের লক্ষণ হচ্ছে রক্তপাত। রক্তপাত হলে রক্তের প্রকারভেদ এবং রক্তের রঙটা খেয়াল করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ফোটা ফোটা রক্ত ঝড়ছে। এগুলো সাধারন জিনিস। অনেক সময় রক্তের কালার কালো হয়, ব্রাউন বা বাদামি হয়ে থাকে। এগুলোর সাথে আমাশয়ের সম্পর্ক আছে কি না তা খেয়াল করতে হবে। আমাশয়ের লক্ষণ খেয়াল রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এগুলো সমস্যা বরাবর দেখা গেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
>> আমাশয় হলে কি খাবার খাওয়া যাবে | আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন!
অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা
ঔষধের সাহায্যে পাইলস নিরাময় সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে বিনা অপারেশনে রোগীর চিকিৎসা করানো সম্ভব। যেমন- ইনফ্রারেড, কোয়াগুলেশন, বেন্ডিং, স্কেলেরথেরাপি ইত্যাদি। লংগো পদ্ধতি অবলম্বন করে পাইলসের চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে মলদ্বারের সাহায্য এক ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কাটা-ছেড়া মুক্ত পাইলসের চিকিৎসা করানো যায়। এতে রোগী খুব একটা ব্যথা পায় না। ৩-৪ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে এ পদ্ধতিতে রোগীকে অতিরিক্ত কিছু টাকা খরচ করতে হয়।
পাইলস এর চিকিৎসা
পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার পূর্বেই এর চিকিৎসা করা জরুরি। রিং লাইগেশন এবং লংগো অপারেশনের দ্বারা শতকরাই প্রায় ১০০% রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রচলিত এই অপারেশনে মলদ্বারের তিনটি অংশ কাটার প্রয়োজন হয়। এই অপারেশন শুধু তাদের জন্যই করা হয় যাদের রিং লাইগেশন এর জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং যারা লংগো অপারেশন করানোর জন্য মেশিন কিনতে অক্ষম।
চলিত অপারেশনের মতই আরেকটি অপারেশন হলো লেজার অপারেশন। পার্থক্য শুধু এটাই যে, লেজার অপারেশনে বিম ব্যবহার করা হয়। এবং প্রচলিত অপারেশনে সার্জিক্যাল নাইফ ব্যবহার করে কাটাকাটির কাজ করা হয়। চলিত অপারেশনের মতো লেজার অপারেশনে ক্ষত স্থান হবে তিনটি । লেজার অপারেশন ও সাধারণত অপারেশন এর মধ্যে তেমন কিছু তফাৎ নেই কারণ দুটি অপারেশনেই সমান ব্যথা অনুভব করতে হয়। ক্ষত স্থান টি শুকাতে ১-২ মাস সময় লাগে।
পাইলস চিকিৎসা শাস্ত্রে বহু ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমনঃ– ক্রায়োথেরাপি, ইঞ্জেকশন, আল্ট্রয়েড, লেজার থেরাপি, রিং লাইগেশন ইত্যাদি।
তবে আপনি যদি উপরিউক্ত চিকিৎসাগুলো না করে ঘরোয়া ভাবে এর সমাধান বের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নীচে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো আপনার জন্য।
পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা ঘরোয়া ভাবে ও করা সম্ভব। পাইলস থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যেন আপনার মল কখনো শক্ত না হয়। শক্ত না হওয়ার জন্য আপনার খাদ্যভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। পাইলস এর লক্ষণ পাওয়া গেলে তৎক্ষনাত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেকেই কম টাকায় চিকিৎসা পাওয়ার জন্য হাতুড়ি ডাক্তারের কাছে যায়। উক্ত ডাক্তারেরা রোগীকে মলদ্বারে এক ধরনের মলম বা এসিড জাতীয় কিছু লাগাতে বলে। তখনই শুরু হয় মারাত্মক সমস্যা।
মলদ্বারে এসিড জাতীয় কিছু লাগানোর ফলে সেই জায়গাটা পুড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে মলদ্বার কেটে ফেলা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় থাকে না। এর ফলে রোগীকে সারাজীবনের জন্য পেটের মধ্যে বাগ লাগিয়ে চলা-ফেরা করতে হয়।
পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে বরফ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ বরফ দেহে রক্ত চলাচল সচল করতে সহায়তা করে এবং ব্যথা দূর করে থাকে। এক টুকরো বরফ নিয়ে মলদ্বারের আক্রান্ত জায়গাটুকুতে তে দিলে আরাম পাওয়া যায়।
অনেক ক্ষেত্রেই পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা অনুসরণ করে পাইলস মোকাবিলা করা যায়। আপনার মলদ্বার অত্যন্ত ব্যথা করলে আপনি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এটি লাগানোর সাথে সাথে উক্ত স্থান কিছুক্ষণ জ্বালাপোড়া করবে তারপর আস্তে আস্তে কমে যাবে। এই পদ্ধতি সারাদিনে বেশ কয়েকবার অবলম্বন করুন। এছাড়াও আপনি ১ গ্লাস পানির সাথে ১ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে দুই বার খেতে পারেন।
- পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা পালনে নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে।
- দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- মল শক্ত হয় এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। অতিরিক্ত গরুর মাংশ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পরিমাণ মতো আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। পাইলসের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে পাইলসের লক্ষণ ধরা দেওয়ার পূর্বে এ সকল খাবার খেতে হবে।
- দরকার হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পাইলস এর ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
- পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা আপনি বাসায় বসে কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন।
>> আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম – ২০ টি স্বাস্থ্যকর টিপস!
পাইলস অপারেশন খরচ কত
সাধারণত ২ ভাবে পাইলস অপারেশন করা যায় যথা লংগু ও ডায়াথারমি পদ্ধতি। এই দুটোর মধ্যে লংগু পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল। এ পদ্ধতিতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে ডায়াথারমি পদ্ধতিতে দ্বারা ১০-১২ হাজার টাকার মতো খরচ পড়ে। এ দুটো পদ্ধতি বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত । এ সকল আধুনিক পদ্ধতিতে রোগীকে এক দিনের বেশি হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না।
যেসকল পরিবার এসব আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে সক্ষম নয় তারা পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করে ইঞ্জেকশনের সাহায্য চিকিৎসা নিয়ে থাকে।
পাইলস এর ঔষধ
বর্তমানে লেজার সার্জারির দ্বারা পাইলস চিকিৎসা করা হচ্ছে। এ বিষয় টির সত্যটা নেই বললেই চলে। কারণ আন্তর্জাতিক ভাবে প্রকাশিত এই যে, লেজারের দ্বারা পাইলস চিকিৎসায় রোগীরা অতিরিক্ত কোন সুবিধা পান না । রিং অপারেশন লংগো অপারেশন ছাড়া অনেকেই পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এ চিকিৎসা বিভিন্ন ভাবে নেওয়া যায়।
যেমনঃ- অ্যালোভেরার দ্বারা পাইলস আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করলে পাইলস থেকে ক্যান্সার দূরে থাকে। আপনার জন্য এই অ্যালোভেরা পাইলস এর ঔষধ হতে পারে। কারণ অ্যালোভেরাই রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণাগুণ যা পাইলস সারতে সহায়তা করে।
>> হামদর্দ এর ঔষধ সমূহ | কোন রোগে কোন ঔষধ খাবেন বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন!
পাইলস এর হোমিও চিকিৎসা
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পাইলস বড় হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে ফলে অপারেশন করা লাগে কিন্তু অপারেশন এর বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে আপনি হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। অপারেশনের চেয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ভালো। অপারেশন করলে মলদ্বারের বেশ কিছু জায়গা কাটার দরকার পড়ে, ফলে মলত্যাগ করার সময় ব্যাথা অনুভূত হয়। ক্ষত স্থান থেকে অনবরত খারাপ রক্ত ও পু্ঁজ বের হতে থাকে। ক্ষত স্থানটি শুকোতে দেরি হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায়ে আদা, লেবু খুবই উপকারী।
ডিহাইড্রেশন পাইলস এর অন্যতম একটি কারণ বলা যেতে পারে। আদা, লেবু নিয়মিত খেলে পাইলস নিরাময়ে দ্রুত সুবিধা হয়। আপনি যদি নিয়ম করে পাইলস এর হোমিও চিকিৎসা এবং ঘরোয়া চিকিৎসা চালিয়ে যেতে থাকেন তাহলে আশা করা যায় আপনার শরীর থেকে পাইলস চিরতরে বিদায় নিবে।
পাইলস এর হোমিও ঔষধ এর নাম
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ পাইলসের রোগীদের সকালে সালফুর এবং সন্ধ্যায় নাক্স ভোমিকা এই ঔষধ দুটি দিয়ে থাকেন। সাধারণ ক্ষেত্রে ৩০ পাওয়ারের এই ঔষধ খেলে পাইলস ভালো হয়ে যায় অন্য কোন ঔষধের প্রয়োজন পড়ে না। এই দুটো ঔষধ সরাসরি পাইলস ভালো করে না এটা কোষ্টকাঠিন্য সরানোর দ্বারা পাইলস চিরতরে দূর করে। কোন কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, নাক্স, ভোমিকা, সালফার এই তিনটি ঔষধ পৃথিবীর সকল অসুখ দূর করে।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
আপনি পাইলসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষ করে মসলা জাতীয় খাবার। যেসব খাবার খেতে বিধিনিষেধ আছে সেগুলো নীচে আলোচনা করা হলো:-
- চিকিৎসকদের মতে পাইলস এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মসলাযুক্ত খাবার থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ মসলাযুক্ত খাবার হজম শক্তিতে বাধা প্রদান করে ফলে পাইলসের ব্যথা বাড়ে।
- আপনার পাইলস হলে চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চা, কফি পাইলসের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী করে।
- বেকারি খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে। কারণ এগুলোতে ভেজালযুক্ত উপাদান পাওয়া যায় ফলে হজম শক্তি দুর্বল হয়ে যায়। এ সকল খাবার পাচনতন্ত্রের জন্য উপযুক্ত নই। ফাইবার না থাকার কারণে এ খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে কোষ্টকাঠিন্য বাড়ে।
পরিসমাপ্তিঃ
পাইলস শনাক্তের পর প্রথম ধাপে পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধের ডোজ নিতে থাকুন। এ সময় বেশি চিন্তা না করাই ভালো । মানসিকভাবে নিজেকে তৈরী করুন এ রোগের সাথে মোকাবেলা করার জন্য। উপরে যেসব নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো ঠিকভাবে মেনে চললে আশা করা যায় পাইলস মোকাবিলায় আপনি নিশ্চিতভাবে সফল হবেন। দুশ্চিন্তা না করে সুষ্ঠ চিকিৎসা নেওয়াই পাইলস এর একমাত্র নিরাময়।
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!